পুঁই শাক বড়ি দিয়ে বা চার পাঁচ রকমের সবজি দিয়েই বেশির ভাগ সময় খাওয়া হয়ে থাকে। আজকের রেসিপি পুরনো বাংলার প্রায় হারিয়ে যাওয়া একটি পদ। সরষে বাটা বড়ি সহযোগে পুঁইডাঁটার নিরামিষ চচ্চড়ি। এর স্বাদ এতই অমৃত যে এক থালা ভাত চোখের নিমেষে শেষ হয়ে যাবে।
পুঁইডাঁটা নিরামিষ চচ্চড়ি শুধু যে খেতেই ভালো তা না। গরমের দিনে এটা খাওয়াও খুব ভালো। চলুন কথা না বাড়িয়ে দেখে নেওয়া যাক বাংলার প্রাচীন একটি পদ।
পুঁইডাঁটা নিরামিষ চচ্চড়ি বানানোর উপকরণঃ
- পুঁই শাক ডাঁটা সহ এক বাটি
- একটা আলু ডুমো ডুমো করে কাটা
- কুমড়ো ডুমো ডুমো করে কাটা ১০ পিস
- বড়ি ২০ টা
- হাফ চামচ পাঁচফোড়ন
- কাঁচা লঙ্কা পাঁঁচটা
- হলুদ সরষে হাফ চা চামচ
- পোস্ত হাফ চামচ
- সরষের তেল হাফ বাটি
- ১/৪ চামচ হলুদ
- নুন স্বাদ অনুযায়ী
পুঁইডাঁটা নিরামিষ চচ্চড়ি বানানোর পদ্ধতিঃ
নিরামিষ এই চচ্চড়ি বানানো খুবই সহজ। বানানোর আগে একটা কাজ অবশ্যই করে নেবেন। তাহলে এটা বানাতে ২০ মিনিট মত লাগবে। আর স্বাদও হবে দ্বিগুণ।
পুঁইডাঁটা সেদ্ধ করাঃ
পুঁই শাক থেকে পাতা আলাদা করে কুচিয়ে একটি পাত্রে রাখুন। বাকি ডাঁটাটা ছোট ছোট টুকরো করে কেটে নিন। কাটা হলে একটি পাত্রে গরম জলে করে তাতে ডাঁটা ৫ মিনিটের জন্য সেদ্ধ করে নিন। আঁচ হাই রাখবেন। সেদ্ধ করার পর জল ঝরিয়ে রাখুন একটি বাটিতে। এটা করে নিলে মূল রান্না করার সময় বেশি লাগবে না।
কড়াই গ্যাসে বসিয়ে হাফ বাটি তেল দিন। তেল গরম হলে বড়ি গুলো ভেজে তুলে রাখুন। এবার হাফ চামচ পাঁচফোড়ন ও তিনটে কাঁচা লঙ্কা চিঁরে এতে দিন। তারপর আলু দিয়ে ২ মিনিট ভাজুন। কুমড়ো ও পুঁইশাক দিন। দুই থেকে তিন মিনিট ভাজার পর সেদ্ধ ডাঁটা যোগ করুন। ভালো করে সব ভাজুন। পাঁচ থেকে ছয় মিনিট মত। তারপর এতে হলুদ দিন। হলুদ দেওয়ার পর এতে সরষে পোস্ত ও দুটো কাঁচা লঙ্কা বেটে দিন। এটা দেওয়ার পর ভালো করে কষান। শাক থেকে জল ছাড়তে শুরু করলে স্বাদ অনুযায়ী নুন দিন। ২ মিনিট রান্না করার পর সামান্য জল দিয়ে ঢেকে আলু সেদ্ধ হওয়া পর্যন্ত রান্না করুন। গা মাখা গা মাখা হলে ভাজা বড়ি গুঁড়ো করে ছড়িয়ে নামিয়ে নিন।
এই নিরামিষ পুঁইডাঁটা চচ্চড়ি একদিন অবশ্যই বানিয়ে খেয়ে দেখুন। কথা দিলাম এরকম চচ্চড়ি একবার বানিয়ে খেলে বারবার খেতে মন চাইবে। যদি বানিয়ে খান তাহলে জানাবেন কমেন্ট করে কেমন লাগলো।