skip to content
CurryNaari
Welcome to Nandini’s world of cooking & more...

বেকিংয়ে ডিম ছাড়া আরও সেরা ১৫টি বিকল্প

ডিম

ডিম বেকিংয়ের ক্ষেত্রে সবচেয়ে প্রয়োজনীয় ও গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। এটি কেক, পেস্ট্রি, মাফিন ইত্যাদির টেক্সচার এবং স্বাদের উন্নতি করে। তবে অনেক সময় ডিমের পরিবর্তে অন্য কিছু ব্যবহার করতে হয়। হতে পারে আপনি নিরামিষভোজী, ডিমের প্রতি অ্যালার্জিক, অথবা ডিমের স্বাদ পছন্দ করেন না। এমনকি ডিম না থাকায় আপনি বেকিং শুরু করতে পারছেন না। এ ধরনের সমস্যায় ডিমের বিকল্প হিসেবে কিছু উপাদান ব্যবহার করা যেতে পারে। যা খাবারের স্বাদ এবং গুণমান বজায় রাখতে সহায়ক হয়। চলুন জেনে নেওয়া যাক বেকিংয়ের সময় ডিমের ১৫টি সেরা বিকল্প।

১. আপেল সসঃ

আপেল সস প্রাকৃতিকভাবে মিষ্টি এবং আর্দ্রতাযুক্ত। যার জন্য বেকিংয়ে চমৎকার বিকল্প হিসেবে কাজ করে। প্রায় ১/৪ কাপ আপেল সস একটি ডিমের সমতুল্য। এটি মাফিন, কেক এবং ব্রেড তৈরিতে ভালো কাজ করে। আপেল সস স্বাদে হালকা হলেও বেকিংয়ের সময় এটি একটি সুন্দর আর্দ্রতা যোগ করে। সুপারমার্কেট বা অনলাইন স্টোরে অনায়াসে আপনি এই সস পেয়ে যাবেন।

২. ম্যাশড কলাঃ

ডিমের বিকল্প হিসেবে ম্যাশড কলা বেশ জনপ্রিয়। এটি বেকিংয়ের ক্ষেত্রে আর্দ্রতা এবং মিষ্টতা বাড়াতে সাহায্য করে। ১/৪ কাপ ম্যাশড কলা একটা ডিমের সমান। কেক, ব্রেড এবং প্যানকেক তৈরিতে এটি ভালো কাজ করে। তবে মনে রাখতে হবে, কলার স্বাদটি কিছুটা মিষ্টি এবং গন্ধযুক্ত হতে পারে। যা আপনার রেসিপিতে প্রভাব ফেলতে পারে।

৩. অ্যাকুয়াফাবাঃ (কাবলি ছোলা সেদ্ধ জল)

কাবলি ছোলার সেদ্ধ জল (অ্যাকুয়াফাবা) একটি নতুন এবং চমৎকার ডিমের বিকল্প হিসেবে পরিচিত হয়েছে। ৩ টেবিল চামচ অ্যাকুয়াফাবা একটি ডিমের সমান। এটি মেরাং, কুকি এবং মাফিন তৈরিতে বেশ ভালো কাজ করে। বেকিং এর জন্য বিশেষ করে নিরামিষ কেক বানানোর ক্ষেত্রে এটি অনায়াসে ব্যবহার করতে পারেন।

৪. ফ্ল্যাক্স সিডঃ (ফ্ল্যাক্স সিড মিশ্রণ)

ফ্ল্যাক্স সিড বা তিসি বীজ স্বাস্থ্যকর ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের একটি ভালো উৎস। ১ টেবিল চামচ ফ্ল্যাক্স সিড পাউডার ও ৩ টেবিল চামচ জল মিশিয়ে ৫ মিনিট রাখতে হবে। একটি ডিমের সমান বিকল্প পেয়ে যাবেন। এটি সাধারণত কুকি এবং ব্রেডের মতো ভারী টেক্সচারযুক্ত খাবারে ব্যবহার করা হয়।

৫. চিয়া সিডঃ

চিয়া সিডের ব্যবহার ওজন কমাতে দারুন সাহায্য করে। তবে এটি ডিমের বিকল্প হিসেবে বেকিংও ব্যবহার করতে পারেন। চিয়া সিডের ব্যবহার ফ্ল্যাক্স সিডের মতোই। ১ টেবিল চামচ চিয়া সিড ও ৩ টেবিল চামচ জল মিশিয়ে একটি জেলি তৈরি করুন। যা একটি ডিমের সমান। এটি সাধারণত মাফিন, ব্রেড এবং কুকিতে ভালো কাজ করে।

৬. সিল্কেন টোফুঃ

সিল্কেন টোফু ডিমের বিকল্প হিসেবে একটি ভাল উৎস হতে পারে। ১/৪ কাপ সিল্কেন টোফু একটি ডিমের সমান। এটি খাবারে প্রোটিন যোগ করে এবং আর্দ্রতা ধরে রাখে। সাধারণত কেক, ব্রেড এবং কুকিতে এটি ব্যবহৃত হয়।

৭. দইঃ

সাধারণ দইও ডিমের বিকল্প হতে পারে। ১/৪ কাপ প্লেইন দই এক ডিমের সমান। এটি কেক, মাফিন এবং ব্রেডের জন্য বেশ ভালো কাজ করে। দই খাবারে আর্দ্রতা যোগ করে এবং খাবারকে নরম রাখে।

৮. বাটারমিল্কঃ

বাটারমিল্ক বেকিংয়ে ডিমের বিকল্প হিসেবে ব্যবহৃত হতে পারে। ১/৪ কাপ বাটারমিল্ক একটি ডিমের সমান। এটি সাধারণত কেক এবং প্যানকেক তৈরিতে ব্যবহার করা হয়। বাটারমিল্ক ব্যবহারে খাবারে একটি হালকা টক স্বাদ আসতে পারে। তাই এর পরিমাপ খুব বুঝে ব্যবহার করবেন।

৯. ভিনেগার এবং বেকিং সোডাঃ

ভিনেগার ও বেকিং সোডার সংমিশ্রণ বেকিংয়ে ডিমের বিকল্প হিসেবে বেশ কার্যকর। ১ টেবিল চামচ ভিনেগার ও ১ টেবিল চামচ বেকিং সোডা মিশিয়ে নিন। সেটি একটি ডিমের সমান। এটি কেক ও মাফিনে ফোলাভাব যোগ করে। নরম স্পঞ্জের মত বানিয়ে তোলে।

১০. কোকোনাট ক্রিমঃ

কোকোনাট ক্রিম বেকিংয়ে ডিমের বিকল্প হতে পারে। ১/৪ কাপ কোকোনাট ক্রিম একটি ডিমের সমান। এটি সাধারণত কেক এবং মাফিনে ব্যবহার করতে পারেন। কোকোনাট ক্রিম খাবারে মিষ্টতা এবং কোকোনাটের স্বাদ যোগ করে। তাই কোকোনাট ফ্লেভার জাতীয় কিছু বানানোর সময় ডিমের বিকল্প হিসেবে এটি বেছে নিন।

১১. কুমড়োর পিউরিঃ

কুমড়োর পিউরি ডিমের বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করুন। ১/৪ কাপ কুমড়ার পিউরি একটি ডিমের সমান। এটি সাধারণত মাফিন ও কেকের জন্য ভালো কাজ করে। কুমড়ার পিউরি আর্দ্রতা এবং স্বাদ যোগ করে। ফ্লেভারে কোন পরিবর্তন আনে না। তাই এটি অনায়াসে বেকিং এর জন্য ব্যবহার করা যায়।

১২. মাখন ও মাখনের বিকল্পঃ

মাখনও ডিমের বিকল্প হতে পারে। বিশেষ করে কেক ও প্যানকেকের ক্ষেত্রে। গলানো ১/৪ কাপ মাখন একটি ডিমের সমান। এটি খাবারে আর্দ্রতা ও মাখনের স্বাদ যোগ করে। এছাড়া আপনি ভেগান মাখনের বিকল্পও ব্যবহার করতে পারেন।

১৩. পেকটিনঃ

পেকটিন একটি প্রাকৃতিক গেলিং এজেন্ট। যা ফল থেকে পাওয়া যায়। এটি ডিমের বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে। ১ টেবিল চামচ পেকটিন এবং ৩ টেবিল চামচ জল মিশিয়ে একটি ডিমের সমান করা যায়। এটি বিশেষত জেলি বা পেস্ট্রিতে ভালো কাজ করে। সুপারমার্কেটে পাওয়া যায়।

১৪. ওটমিল পেস্টঃ

ওটমিল পেস্ট বেকিং এ ডিমের বিকল্প হিসেবে কার্যকর হতে পারে। ১/৪ কাপ ওটমিল পেস্ট একটি ডিমের সমান। এটি সাধারণত প্যানকেক, মাফিন এবং ব্রেড তৈরিতে ব্যবহার করা হয়। এটি খাবারে আর্দ্রতা যোগ করে এবং স্বাস্থ্যকরও বটে।

১৫. জেলাটিনঃ

জেলাটিন বেকিংয়ে ডিমের বিকল্প হতে পারে। ১ টেবিল চামচ জেলাটিন ও ৩ টেবিল চামচ জল মিশিয়ে একটি ডিমের সমান তৈরি করা যায়। এটি সাধারণত কেক এবং কুকির মতো রেসিপিগুলিতে ব্যবহার করা হয়।

ডিমের পরিবর্তে এই বিকল্পগুলো বেকিংয়ের সময় দারুণ কাজ করে এবং খাদ্যের পুষ্টিমান ও স্বাদ বজায় রাখতে সহায়তা করে। আপনি যদি নিরামিষভোজী হন, ডিম খেতে না চান বা ডিম না থাকায় বেকিং থেমে থাকে, তবে এই বিকল্পগুলি ব্যবহার করে আপনার প্রিয় খাবারগুলি উপভোগ করতে পারেন।

প্রতিটি বিকল্পই স্বতন্ত্র এবং নির্দিষ্ট বেকড আইটেমে কার্যকরভাবে কাজ করে। তাই আপনি আপনার পছন্দ অনুযায়ী সঠিক বিকল্পটি বেছে নিতে পারেন। বেকিংয়ে এই নতুন বিকল্পগুলি ব্যবহার করে আপনি নতুন অভিজ্ঞতা লাভ করতে পারবেন। ঘরেই স্বাস্থ্যকর এবং সুস্বাদু ডেজার্ট তৈরি করতে পারবেন।

Recommended For You

Visual Stories

Article Tags:
·
Article Categories:
Food-kitchen-insights

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

মুখরোচক ফ্রাইড রাইসের ৯ টি রেসিপি বাঙালীর ঐতিহ্যবাহী সকালের জলখাবার বাঙালির ১০ টি আচার যা জিভে জল আনে নিমেষে! মধ্যপ্রাচ্যে খুবই বিখ্যাত এই ৯ টি বাঙালির খাবার অযোধ্যার বিখ্যাত ঐতিহ্যবাহী ১০ টি খাবার!