বাচ্চাদের টিফিন বা কর্তার অফিসের টিফিন বক্স যেটাই হোক একটি সহজ মজাদার খাবার হলো ম্যাকারনি বা পাস্তা। এটা তৈরি করা যেমন সহজ তেমনি এটা খেতেও খুব পছন্দ করে সকলে। কিন্তু আমরা সকলেই একটি ভুল করি। তা হলো ম্যাকারনি এবং পাস্তাকে একই খাবার মনে করি। আপনি হয়তো ভাবছেন মনে করার কি আছে এতো একই খাবর তাই না? কিন্তু না এদের মধ্যে কিছু পার্থক্য রয়েছে।
চলুন জেনে নেওয়া যাক ম্যাকারনি এবং পাস্তার কিছু অজানা তথ্য।

ম্যাকারনি আগে না পাস্তা আগে?
এক ধরনের শুকনো পাস্তাকে ম্যাকারনি বলা হয়। পাস্তাকে প্রসেস করে শুকিয়ে ম্যাকারনি তৈরি করা হয়।
অন্যদিকে পাস্তা শুকনো হয় না। এটি মূলত খামির ছাড়া ময়দা বা গমের তৈরি। ময়দা বা গমের গুড়োর সাথে পরিমান মতো জল যোগ করে তৈরি করা হয় এই পাস্তা।
বানানোর ধরণ আলাদা আলাদাঃ
ম্যাকারনি শুধু শুকনো করেই তৈরি করা হয়। অর্থাৎ ম্যাকারনি এক ধরনের হয়ে থাকে। এর কোন শ্রেণিবিভাগ বা ধরন নেই।
কিন্তু পাস্তায় এমনটা হয় না। পাস্তায় আপনি কিছু ভাগ পেতে পারেন। এটা কাঁচা বা তাজা হয়ে থাকে। তবে চাইলে শুকিয়েও নেওয়া যাবে। যার যার ইচ্ছে পছন্দ অনুযায়ি তৈরি করে নেওয়া যায় পাস্তা। তবে পাস্তা তাজা তাজাই বেশি খাওয়া হয়ে থাকে। এতে এর স্বাদ ভালো আসে।
সংরক্ষণের সময়সীমাঃ
পাস্তা যদিও বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে তারপরও এর একটি সীমাবদ্ধতা রয়েছে। আর তা হলো এর জীবনসীমা। পাস্তাকে চাইলেই অনেক সময়ের জন্য রেখে দেওয়া যায় না। তাই পাস্তার জীবন হলো সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য।
কিন্তু এই দিক থেকে ম্যাকারনি অনেক সুবিধা ভোগ করতে পারে। যেহেতু ম্যাকারনি পাস্তাকে শুকিয়ে তৈরি করা হয় তাই এটি অনেক সময় ধরে সংরক্ষণ করা যায়। সেই দিক থেকে বলা চলে ম্যাকারনির সময়সীমা হলো দীর্ঘ। কারন এটি শুকনো থাকে তাই নষ্ট হওয়ার কোন সুযোগ থাকে না।
ডিমের ব্যবহারঃ
ম্যাকারনি তৈরি করতে কখনো ডিম ব্যবহার করা হয় না। ডিম ছাড়া শুধুমাত্র ময়দা বা আটার সাথে জল মিশিয়ে এটা প্রস্তুত করা হয়।
কিন্তু পাস্তা বানানোর সময় এতে ডিম দেওয়া হয়। ময়দার সাথে ডিম ফেটিয়ে নিয়ে মিশিয়ে নিয়ে এরপর পানি দিয়ে ডো তৈরি করে প্রস্তুত করা হয় পাস্তা। যেহেতু পাস্তা অনেক ধরনের বা জাতের হয়ে থাকে তাই সব ধরনের পাস্তায় আবার ডিম মেশানো হয় না। কিছু কিছু পাস্তাতে ডিম দেওয়া হয়।
উভয়ের আকৃতিঃ
ম্যাকারনি দেখতে গোল গোল টিউবের মতো হয়ে থাকে। সেই সাথে এর মাঝখানটা কিছুটা বাঁকানো হয়। এবং ভিতরটা ফাকা থাকে। অনেকটা সরু পাইপের মতো হয়ে থাকে ম্যাকারনি। তবে শুধু মাঝখানের দিকটা কিছুটা বাঁকানো অনেকটা কনুইয়ের মতো।
কিন্তু পাস্তায় পাবেন হরেক রকমের আকার বা ধরন। পাস্তা বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে। যেমন লম্বা লম্বা, চ্যাপ্টা আকৃতির, সরু সরু, আবার কিছু কিছু পাস্তা মোটাও হয়ে থাকে। যে যেমনটা খেতে পছন্দ করে বা যার কাছে যেমন আকৃতির পাস্তা দেখতে ভালো লাগে সে সেটাই বেছে নেয়। আর এটাই হলো পাস্তার সবচেয়ে মজার অংশ। আপনি চাইলেই আপনার মন মতো শেপের পাস্তা তৈরি করে তা উপভোগ করতে পারেন।
অন্যান্য তফাৎঃ
পাস্তা তৈরি করতে সময় কম ব্যয় হয়। কিন্তু ম্যাকারনি তৈরি করতে অনেক সময় লাগে। কারন প্রথমে এটা বানাতে হয় এরপর কিছুটা সিদ্ধ করে নিতে হয়। তারপর তা শুকিয়ে ম্যাকারনির শেপ দেওয়া হয়। যাতে অনেক সময় লাগে।
পাস্তা তুলনামূলক লম্বা লম্বা আকৃতির হয়ে থাকে। কিন্তু ম্যাকরনি হয় ছোট ছোট আকৃতির। ম্যাকারনি ছোট ছোট শেপ করে কাটা হয়।
যেহেতু পাস্তা তাজা থাকে তাই ম্যাকারনির তুলনায় এর স্বাস্থ্য গুনাগুন বেশি থাকে। কারন এটা সাথে সাথেই তৈরি করে খাওয়া হয়।