রান্নাঘরের বাসনপত্র পরিষ্কার করার পর অনেক সময় আলমারিতে রেখে দিলেও কিছুদিন পরে তা বের করে দিলে অনেক সময় তাতে দাগ দেখা যায়। বিশেষ করে কাঠের পাত্রে এই সমস্যা বেশি, কারণ বাসন শুকানোর সময় অনেক সময় জলের আদ্রতার কারণে দাগ হয়ে যায়, যা অনেক সময় পরিষ্কার করাও কঠিন হয়ে পড়ে।
কাঠের বাসনপত্র ও এই দাগের কারণে নষ্ট হয়ে যায়। সেজন্য এগুলো সঠিকভাবে পরিষ্কার করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। আজ আমরা আপনাকে মাত্র ১০ মিনিটে কাঠের যেকোনো বাসন বা হাতা খুন্তি পরিষ্কার করার সহজ হ্যাক সম্পর্কে বলতে যাচ্ছি, যা অবলম্বন করার পরে কাঠের পাত্রগুলি সর্বদা নতুনের মত থাকবে।
ক. গরম জলের গামলায় ভিজিয়ে রাখুনঃ
কাঠের বাসন ধোয়ার জন্য আপনি গরম জল ব্যবহার করতে পারেন। গরম জল শুধু কাঠের বাসনে জমে থাকা গ্রীসই সহজে দূর করবে না, এতে দাগ হওয়ার সম্ভাবনাও কমিয়ে দেবে। নিজের জন্য এই হ্যাকটি করতে, একটি বড় গামলাতে সমস্ত নোংরা কাঠের বাসন রাখুন। গরম জল যোগ করুন এবং কিছু সময়ের জন্য তাতে বাসন রেখে দিন। তারপর কাঠের বাসনপত্র এক এক করে স্পঞ্জ দিয়ে পরিষ্কার করে পরিষ্কার জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এতে করে কাঠের বাসন ধুতে আপনার বেশি সময় লাগবে না।
খ. লবণ ব্যবহার করুনঃ
যেকোনো কাঠের পাত্র পরিষ্কার করতে লবণ দারুন কাজ করতে পারে। এজন্য পাত্রে সামান্য জল ফুটিয়ে নিন। তারপর এতে এক চামচ লবণ দিয়ে কাঠের বাসন দিয়ে কিছুক্ষণ রেখে দিন। কিছুক্ষণ পর বের করে রোদে শুকানোর জন্য রাখুন। দেখবেন কাঠের বাসনগুলো আগের মতই চকচক করছে। অনেকদিন পর পর কাঠের বাসন ব্যবহার করলে তা ব্যবহারের আগে এভাবে পরিষ্কার করে নেওয়া সবচেয়ে বেস্ট।
গ. বেকিং সোডা ব্যবহার করুনঃ
বেকিং সোডার সাহায্যে কাঠের বাসঙনকে আগের মতো চকচকে করতে পারেন। এর জন্য কাঠের বাসনে বেকিং সোডা ও লেবুর রসের মিশ্রণ তৈরি করে দাগযুক্ত স্থানে এই মিশ্রণটি লাগিয়ে কিছুক্ষণ রেখে দিন। কিছুক্ষণ পর জল দিয়ে পরিষ্কার করে ভালো করে শুকিয়ে নিন। এতে করে কাঠের বাসন আগের মতোই উজ্জ্বল হবে।
ঘ. ভিনেগার ব্যবহার করুনঃ
লবণ, বেকিং সোডা ছাড়াও ভিনেগারের সাহায্যে কাঠের বাসন পরিষ্কার করতে পারেন। হ্যাঁ, একটি পাত্রে ভিনেগার নিয়ে তাতে এক থেকে দুই চা চামচ মধু মিশিয়ে নিন। মেশানোর পর পরিষ্কার কাপড়ের সাহায্যে নোংরা কাঠের পাত্রে ঘষে নিন। এটি কাঠের চামচগুলিকে খুব অল্প সময়ের মধ্যেই পরিষ্কার এবং একেবারে নতুন দেখাবে।