বাঙালীর ভাতের পাতে শাক থাকলে সাথে কাসুন্দি থাকা চাই। তাছাড়া বিকেলের ভাজাভুজি থেকে শুরু করে কাটলেটে কামড় দেওয়া কাসুন্দি ছাড়া চলে না। আর কাঁচা আমের কাসুন্দি যদি হয় তাহলে আর কি চাই বলুন! কাঁচা আম দিয়ে ঘরেই সহজে বানিয়ে নেওয়া যায় আম কাসুন্দি। কিভাবে? দেখে নিন আজকের লেখায়।
কাঁচা আম দিয়ে আম কাসুন্দি বানাতে কি কি লাগবেঃ
- বড় সাইজের দুটো কাঁচা আম (৫০০ গ্রাম)
- কালো সরষে ১.১/২ চামচ
- হলুদ সরষে এক চা চামচ
- সাদা নুন ছোট ১/২ চামচ
- বিট নুন ১/২ চামচ
- হলুদ ১/২ চামচ
- লাল লঙ্কার গুঁড়ো ১/৪ চামচ
- কাশ্মীরী লাল লঙ্কার গুঁড়ো ১/২ চামচ
- সরষের তেল এক কাপ
- ১/২ চামচ চিনির গুঁড়ো
- কাঁচা লঙ্কা ৫ টা (মিডিয়াম ঝাল)
কাঁচা আম দিয়ে আম কাসুন্দি বানানোর পদ্ধতিঃ
আম ভালো করে ধুয়ে খোসা ছাড়িয়ে টুকরো করে কেটে নিন। এবার মিক্সিতে পিষে পেস্ট বানান। মিহি পেস্ট বানাবেন। হালকা দানা দানা থাকলে ভালো। মিক্সিতে এটা পেস্ট করার সময় জল মেশাবেন না।
একটা পরিষ্কার সুতির পাতলা কাপড় নিন। তাতে পেস্ট করা আম রাখুন। কাপড় মুড়ে মুড়ে আম থেকে বেরনো জলটা একটা পাত্রে বের করুন। চিপে চিপে আম থেকে সব জল বের করে নিন। বের করা হয়ে গেলে একটি বাটিতে আমের পেস্টটা রাখুন। সম্পূর্ণ জল বের করে নেবেন।
সরষে আর কাঁচা লঙ্কা বেটে নিনঃ
দেড় চামচ কালো সরষে আর এক চামচ হলুদ সরষে শিল পাটায় বেটে নিন মিহি করে। এটা বাটার সময় এর মধ্যে ৫টা কাঁচা লঙ্কা দিয়ে সেটাও বেটে নিন। সরষে ও লঙ্কা বাটা হয়ে গেলে একটি বাটিতে তুলে রাখুন।
আম কাসুন্দি মাখার পদ্ধতিঃ
- এবার আমের পেস্টে সাদা নুন হাফ চামচ, চিনির গুঁড়ো হাফ চামচ ও হলুদ ভালো করে মেশান। মেশানো হলে সরষে বাটা অল্প অল্প করে মেশাতে থাকুন এতে। একবারে সবটা দেবেন না। সরষে তিতকুটে হয় তাই অল্প অল্প করে মিশিয়ে চেক করতে থাকবেন যে খুব তেত লাগছে না তো!
- সরষে এভাবে মেশানো সম্পূর্ণ হলে এতে ১/২ চামচ বিট নুন, ১/৪ চামচ লাল লঙ্কার গুঁড়ো আর কাশ্মীরী লাল লঙ্কার গুঁড়ো হাফ চামচ যোগ করুন।
- সবকটা উপকরণ ভালো করে মেশানো হলে এতে হাফ কাপ সরষের তেল দিন। প্রথমেই এক কাপ দেবেন না। হাফ কাপ সরষের তেল এর সাথে ভালো করে মিশিয়ে নেওয়ার পর বাকি হাফ কাপ এতে ঢালুন। এটা দিয়ে আর বেশি মেশাতে হবে না।
- একটি পরিষ্কার শুকনো কাঁচের বয়ামে এই মিশ্রণটা ঢেলে দিন। বয়ামের ঢাকনা শক্ত করে আটকে ফ্রিজে রাখুন। এই আম কাসুন্দি একমাস ধরে রেখে খেতে পারবেন।
বিশেষ টিপসঃ
এই কাসুন্দি যদি একমাসের চেয়েও বেশি সময় রাখতে চান, তাহলে এতে হাফ চামচ সাদা ভিনেগার মিশিয়ে দিন বয়ামে রাখার আগে। এতে ৬ মাস পর্যন্ত রেখে খাওয়া যাবে।