আগের বছরের বানানো আচারের তেল শুধু পড়ে আছে বোতলে। ভাবলাম এই দিয়ে কি কিছু বানানো যায়! ইন্টারনেটে খুঁজে খুঁজে শেষে Quora’তে গিয়ে অনেক কিছু পেলাম। ওখানে অনেকে এই তেলের নানা ব্যবহার সম্পর্কে লিখেছেন। সেইগুলোই সংক্ষিপ্ত করে আপনাদের সাথে ভাগ করে নিচ্ছি।
আমের আচারের অবশিষ্ট তেল ব্যবহার করার নানা উপায়ঃ
ভাতের সাথে তেল মেশান, আপনার স্বাদ অনুযায়ী লবণ ঠিক করুন এবং খান। যেকোনো ভাজা তৈরি করার পর এক চা চামচ এই তেল মিশিয়ে দিন। স্বাদ বেড়ে দ্বিগুণ হয়ে যাবে। আচারি আলু, আচারি ফুলকপি, আচারি পনির বানাতে এই তেল ব্যবহার করতে পারেন। মেয়োনিজের সাথে এই তেল সামান্য মিশিয়ে যেকোনো স্ন্যাকসের সাথে খেতে পারেন।
অবশিষ্ট তেল দিয়ে আচারি পরোটা বানানঃ
উপকরণঃ
- আটা ১ কাপ
- বেসন ১ বাটি
- লবণ এক চিমটি
- লাল লঙ্কার গুঁড়ো সামান্য
- ধনেপাতা কুচি সামান্য ৩ চামচ
কিভাবে বানাবেনঃ
আটার সাথে সব উপকরণ মিশিয়ে নিন ভালো করে। প্রথমে শুকনো ময়াম দিন। তারপর অল্প অল্প করে জল দিয়ে মেখে নিন। লেচি কেটে পরোটা বেলে ভেজে নিন। তৈরি হয়ে যাবে আচারি পরোটা। শুধু খেতে পারবেন এটা। তাছাড়া আপনার পছন্দের যেকোনো পদের সাথে খেতে পারেন। কেচাপ দিয়েও ভালো লাগে খেতে।
বাকি মসলা কি হবে!
আমের আচার থেকে আম তেল শেষ করার পরে বাকি মসলা মিশ্রণ ফেলে দেবেন না। স্টাফড আচার মসলা পরোটা বানিয়ে খান। পরোটার জন্য আটা বা ময়দা মেখে এই স্টাফড আচার মসলা ভরে বেলে নিয়ে পরোটা ভাজুন।
ভর্তাতে তেল দিনঃ
ভর্তা তৈরির জন্য আমের তেল ২-৩ চামচ ব্যবহার করে দেখুন একবার। এত স্বাদ হবে খেতে যে ভর্তা মাখা সারাজীবন মনে থাকবে। তাছাড়া এই গরমে পান্তা ভাতে সামান্য তেল ছড়িয়ে খান। মুড়ি মাখার সময়ও তো এই তেল দিয়েই থাকি। কিন্তু এই তেল দিয়ে পান্তা ভাত মেখে খেয়ে দেখুন একবার।
বিশেষ কথাঃ
- প্রতিদিনের রান্নায় এই আমের তেল ব্যবহার করবেন না কারণ এতে কিছু মসলা আছে যা তেলের ধোঁয়ায় পুড়ে যাবে।
- আমি রিসার্চ করতে গিয়ে এই টিপসগুলো খুঁজে পেয়েছি। নিজে এখনও বানাইনি। তাই আগে অল্প করে বানিয়ে নিয়ে তারপর বেশি পরিমানে বানাবেন, যাই বানান না কেন।