প্রায়ই মানুষ শীতকালে সবুজ শাক-সবজি যেমন পালং শাক, মেথি, বাথুয়া ইত্যাদি খেতে পছন্দ করে। কিন্তু যখন মেথি শাকের ভাজা বা ভাজি বানানোর কথা আসে তখন মানুষ মুখ ফিরিয়ে নেয়। মেথি শাকের তিক্ততা বা তেঁতো ভাবের জন্য অনেকেই খেতে চান না। বিশেষ করে বাচ্চাদের এই শাক খাওয়ানো খুবই ঝামেলার ব্যপার। তবে এই সমস্যার সমধান রয়েছে আপনার হাতের কাছেই। তাহলে অপেক্ষা না করে জেনে নিন আর শীতে মন খুলে বানিয়ে ফেলুন মেথি শাকের নানা রেসিপি। বাচ্চা থেকে বড় সকলে মুখ না বেকিয়ে হাসি মুখে খাবে।
ক. এক চুটকি নুনঃ
মেথি শাক ভাজা খেতে তেতো লাগলে এবার থেকে তা কাটার আগে এই কাজটি করুন। এক চামচ নুন দিয়ে দিন কেটে নেওয়ার আগে মেথি শাকে। জল যোগ করুন আর মেথি শাক ভিজিয়ে কিছুক্ষণ রাখুন। এবার মেথি শাক সূক্ষ্মভাবে কেটে ভাজা বানিয়ে নিন। মেথির তিক্ততা কমে যাবে।
খ. আম চুড় পাউডার দিয়ে মেথির তিক্ততা দূর করুনঃ
শাক কাটার আগে যদি লবন মেশানো জলে মেথি শাক ভিজিয়ে রাখতে ভুলে যান তাহলে এই উপায়টি ব্যবহার করুন। মেথির তেঁতো ভাব কমাতে দারুন কাজে আসে। তিক্ততা কমাতে চাইলে আপনি এক চামচ আমের গুঁড়ো বা আম চুড় পাউডার যোগ করতে পারেন ভাজার সময়। খাবারে মেথির তিক্ততা দূর হওয়ার সাথে সাথে ভাজার স্বাদও বদলে যাবে।
গ. আলুর সাহায্য নিন তেঁতো কমাতেঃ
মেথি শাক সাধারণত বেগুন দিয়ে খেতে বেশি ভালো লাগে। তবে অনেকে আলু দিয়েও বানান। আলু ভেজে দিলে তেঁতো ভাব অনেকটা কমে তবে সম্পূর্ণ দূর হয় না। তাই এবার থেকে মেথির তেঁতো ভাব কমাতে আলু সেদ্ধ করে দিন। আপনাকে যা করতে হবে তা হল ছোট সাইজের একটা আলু ভালো করে আগে সেদ্ধ করে নিন। তারপর তা ভালো ভাবে স্ম্যাশ করে বা থেঁতলে ভাজা শাকে যোগ করে দিন। মিনিট ৫-৬ রান্না করুন। মেথিতে একটু তেঁতো ভাব থাকবে না।
ঘ. ভিনিগারে করুন ভরসাঃ
ঘরে যদি ভিনিগার থাকে তাহলে তা ব্যবহার করেও মেথি শাকের তেঁতো ভাব কমাতে পারেন সহজেই। তার জন্য আপনাকে একটি বড় পাত্রে বেশ খানিকটা জল নিতে হবে। তাতে এক চামচ ভিনিগার মেশাতে হবে। তারপর মেথি শাক কেটে এই জলে ১০ মিনিট মত ভিজিয়ে রাখতে হবে। দশ মিনিট পর জল থেকে শাক তুলে নিয়ে দুবার নর্মাল জলে ধুয়ে নিন। তারপর রান্না করুন। তেঁতো ভাবের নাম গন্ধ থাকবে না।