শ্রাবণ মাসে ভগবান শিবের পূজা ও নৈবেদ্যর বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে। এই সময়ে ভক্তেরা ভগবান শিবের পূজা করে এবং তাঁর প্রিয় জিনিসগুলি তাকে নিবেদন করে। আসুন আমরা আপনাকে বলি যে পূজা এবং উপকরণ ছাড়াও, ভোগ প্রস্তুত করার সময় কিছু জিনিস ব্যবহার করা উচিত নয়। মহাদেবের ভোগে কয়েকটি জিনিস ব্যবহার করবেন না ভুলেও। এগুলো জেনে রাখলে পূজা সঠিকভাবে সম্পন্ন করা যায়। এখানে সেই বিষয়গুলো বিস্তারিত ভাবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে।
ভগবান শিবের জন্য খাবার তৈরি করতে এই জিনিসগুলি ব্যবহার করবেন নাঃ
১. রসুন এবং পেঁয়াজঃ
রসুন ও পেঁয়াজকে তামসিক খাদ্য হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ভগবান শিবকে নিবেদন করা ভোগে এর ব্যবহার নিষিদ্ধ। নৈবেদ্যে শুধুমাত্র সাত্ত্বিক ও বিশুদ্ধ উপাদান ব্যবহার করুন। রসুন বা পেঁয়াজ ভোগের রান্নায় ব্যবহার করতে নেই। আদা ব্যবহার করা যেতে পারে তাতে কোন অসুবিধা নেই।
২. মাংস, মাছ এবং ডিমঃ
ভগবান শিবকে নিবেদনে আমিষ খাবার ব্যবহার করা উচিত নয়। নৈবেদ্য সম্পূর্ণ নিরামিষ এবং সাত্ত্বিক হতে হবে। মাছ, মাংস বা ডিমের ছোঁয়া ভোগের রান্নায় লাগবে না। তাই খুব সাবধানে ভোগ রান্না করা উচিত।
৩. লবণের ব্যবহার করবেন নাঃ
ভগবান শিবের উদ্দেশ্যে নুন বা লবণ ভোগের রান্নায় ব্যবহার করা উচিত নয়। শুধুমাত্র লবণ ছাড়া খাবার যেমন ক্ষীর, হালুয়া এবং মিষ্টি দেওয়া উচিত।
৪. অ্যালকোহল এবং অন্যান্য মাদকদ্রব্যঃ
মহাদেবের কাছে প্রার্থনা করার সময় অ্যালকোহল এবং অন্যান্য নেশাজাতীয় দ্রব্য সেবন করা বা ব্যবহার করা উচিত নয়। এটা শুধু অনৈতিক নয়, ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকেও অপবিত্র বলে বিবেচিত।
৫. বাসি খাবারঃ
নৈবেদ্যতে শুধুমাত্র তাজা এবং বিশুদ্ধ উপাদান ব্যবহার করুন। বাসি খাবার অর্পণ করা অশুভ বলে বিবেচিত হয় এবং কোন দেবতার পূজায় বাসি জিনিস নিবেদন নিষিদ্ধ।
৬. পরিশোধিত তেলঃ
ভোগ তৈরিতে খাঁটি দেশি ঘি বা তিলের তেল ব্যবহার করুন। পরিশোধিত তেল বা উদ্ভিজ্জ তেল ব্যবহার করবেন না এবং ডালডা ব্যবহার করবেন না।
৭. গাঁজানো খাবারঃ
ভোলানাথকে নিবেদনের জন্য যে কোনও ধরণের গাঁজনযুক্ত খাদ্য পণ্য যেমন ইডলি, দোসা এবং অন্যান্য খামিরযুক্ত খাবার ব্যবহার করা উচিত নয়।
৮. মসলাদার খাবারঃ
কোনও মসলাদার খাবার দেওয়া ভোগ হিসেবে ভগবান শিবকে নিবেদন করা উচিত নয়। নৈবেদ্য সরল এবং পুণ্যময় হওয়া উচিত।
ভগবান শিবকে নিবেদনের জন্য কোনও ধরণের ফাস্ট ফুড বা জাঙ্ক ফুড ব্যবহার করবেন না। এই খাবারটি অপবিত্র বলে বিবেচিত এবং পূজা ও ভোগের জন্য উপযুক্ত নয়।
এই বিষয়গুলি মাথায় রেখে, শ্রাবণ মাসে ভগবান শিবের উদ্দেশ্যে একটি শুদ্ধ, পুণ্যময় এবং সঠিক উপায়ে নৈবেদ্য প্রস্তুত করুন। এর মাধ্যমে আপনি পূজার পূর্ণ ফল পাবেন এবং আপনি ভগবান শিবের আশীর্বাদ পাবেন।