skip to content
CurryNaari
Welcome to Nandini’s world of cooking & more...

বাজারের মত চটপটা স্পাইসি সবুজ মটর ভাজা ঘরে তৈরির রেসিপি

shobuj motor bhaja

সবুজ মটর ভাজা বা নামকিন একটি জনপ্রিয় ভারতীয় স্ন্যাকস। যা স্বাস্থ্যকর এবং সুস্বাদু। এই রেসিপিটি সহজেই বাড়িতে তৈরি করা যায়। এটি যে কোনো সময়ে পরিবেশনের জন্য একদম পারফেক্ট। এটি বানানোতে তেমন কষ্টও হয় না। এর খাস্তা এবং ঝাল স্বাদ যে কোনো সময়ের জন্য উপযুক্ত। বাড়ির সব বয়সের মানুষ এই স্ন্যাকসটি উপভোগ করবে।

দোকানের মত বা বাজারে পাওয়া প্যাকেটের মত সবুজ মটর ভাজা ঘরে বানিয়ে ১ মাস মজা করে খাওয়া যায়। ঘরে যেহেতু বানানো তাই এটি খেতেও বেশি সুস্বাদু। বাইরের ভাজা পোড়া খাওয়া শরীরের জন্য ভালো নয়। তাই ঘরে বানিয়ে খাওয়াও ভালো। চলুন রেসিপি দেখে নেওয়া যাক।

সবুজ মটর ভাজা বানানোর উপকরণঃ

  1. শুকনো মটর ১ কাপ
  2. চাট মসলা ১ চা চামচ
  3. লাল লঙ্কার গুঁড়ো ১/২ চা চামচ
  4. ধনে গুঁড়ো ১/২ চা চামচ
  5. জিরা গুঁড়ো ১/২ চা চামচ
  6. আমচুর ১/২ চা চামচ
  7. হিং এক চিমটি
  8. কালো লবণ ১/৪ চা চামচ
  9. সাধারণ লবণ স্বাদ অনুযায়ী
  10. কারি পাতা ৮-১০টি (ঐচ্ছিক)
  11. সরিষার তেল বা সাদা তেল প্রয়োজন মতো (ভাজার জন্য)
  12. চিনি এক চিমটি (ঐচ্ছিক, স্বাদ ব্যালেন্স করতে)
  13. সবুজ খাবার রঙ ১ চিমটে (অরগেনিক কিনবেন)

বানানোর রেসিপিঃ

প্রাথমিক প্রস্তুতিঃ

মটর গুলোকে ভালোভাবে ধুয়ে পরিষ্কার করতে হবে। তারপর এগুলোকে ৬ ঘণ্টা অথবা সারা রাত ভিজিয়ে রাখুন। মটরগুলি নরম হলে ভাজা সহজ হয় এবং ভিতর থেকে ভালোভাবে রান্না হয়। ভিজানো মটরগুলোকে ছেঁকে নিয়ে একটি পরিষ্কার কাপড়ে বা তোয়ালে দিয়ে শুকিয়ে নিন। মটর যতটা সম্ভব শুকিয়ে নিতে হবে, যাতে ভাজার সময় তেল ছিটে না যায়।

সবুজ খাবার রঙ এবার মিশিয়ে নিন মটরে। ভাজার আগেই রঙ মেশাবেন। সবুজ রঙ না মেশালে এটি কিন্তু কোন ভাবেই সবুজ হবে না। রঙ না মিশিয়ে চাইলেও বানাতে পারেন। তখন তা সবুজ মটর ভাজা বলা যাবে না। চটপটা মটর ভাজা বা নামকিন বলতে হবে।

মটর ভাজার পদ্ধতিঃ

কড়াইয়ে প্রয়োজন মতো তেল গরম করুন। তেল যথেষ্ট গরম হলে তাতে শুকানো মটরগুলো দিয়ে দিন। ভাজার সময় তাপ মাঝারি রাখতে হবে। খুব বেশি তাপ দিলে মটরের বাইরের অংশ দ্রুত পুড়ে যেতে পারে। অথচ ভিতরটা কাঁচা থেকে যায়। মাঝারি তাপে ধীরে ধীরে মটরগুলো খাস্তা হওয়া পর্যন্ত ভাজতে থাকুন। একবার ভাজা হয়ে গেলে, এগুলি টিস্যু পেপারের উপর তুলে রাখুন যাতে অতিরিক্ত তেল শুষে যায়।

মসলা মিক্স তৈরিঃ

মটর ভাজার পর, মসলাগুলো প্রস্তুত করতে হবে। একটি পাত্রে চাট মসলা, লাল লঙ্কার গুঁড়ো, ধনে গুঁড়ো, জিরা গুঁড়ো, আমচুর, হিং, কালো লবণ এবং সাধারণ লবণ ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। আপনি চাইলে সামান্য চিনি যোগ করতে পারেন, যা ঝাল ও টকের স্বাদকে ব্যালেন্স করবে। এই মসলা মিশ্রণটি ভাজা মটরের উপর ছিটিয়ে দিন। হাতে মিশ্রণটি ভালোভাবে মেশান যাতে প্রতিটি মটরে মসলা লেগে যায়।

কারি পাতা ভাজাঃ ঐচ্ছিক

কারি পাতা মটরের সাথে একটি বিশেষ গন্ধ ও স্বাদ যোগ করে। কারি পাতা নিন এবং সামান্য তেলে ভেজে নিন। এগুলি মটরের উপর ছড়িয়ে দিন। ভাজা কারি পাতা মটরের নামকিনকে আরো আকর্ষণীয় ও খাস্তা করে তোলে। তবে এটা ঐচ্ছিক। আপনার ইচ্ছে না হলে এটা নাও দিতে পারেন।

পরিবেশন ও সংরক্ষণঃ

আপনার ঝাল সবুজ মটর নামকিন তৈরি হয়ে গিয়েছে! এটি গরম পরিবেশন করতে পারেন অথবা ঠান্ডা করে এয়ারটাইট কন্টেইনারে সংরক্ষণ করতে পারেন। এটি ৩-৪ সপ্তাহ পর্যন্ত মচমচে থাকবে। এ স্ন্যাকসটি চায়ের সাথে বা বিকেলের সময় খাওয়ার জন্য একদম পারফেক্ট।

স্বাদে ভিন্নতা আনার টিপসঃ

১. মসলার পরিবর্তনঃ আপনি চাইলে আরো কিছু মসলা যোগ করতে পারেন, যেমন গরমমসলা বা কালো মরিচ গুঁড়ো। এছাড়া তাজা ধনেপাতা কুচি মিশিয়েও ভিন্ন স্বাদ আনতে পারেন।

২. ড্রাই ফ্রুট যোগ করাঃ আপনি যদি মটরের নামকিনকে আরো স্বাস্থ্যকর ও সমৃদ্ধ করতে চান, তাহলে বাদাম, কাজু বা পেস্তা যোগ করতে পারেন। এগুলি মটরের সাথে সামান্য ভেজে নিলেই হবে।

৩. কম তেলে প্রস্তুতিঃ যদি আপনি স্বাস্থ্যকর বিকল্প চান, তাহলে মটরগুলোকে এয়ার ফ্রায়ারে ভেজে নিতে পারেন। এতে তেল কম লাগবে এবং একই সাথে খাস্তা হবে।

কেন এটি ঘরে বানিয়ে খাবেনঃ

সবুজ মটর প্রোটিন, ফাইবার এবং ভিটামিন সমৃদ্ধ একটি খাবার। এটি স্ন্যাকস হিসাবে খুবই উপকারী, বিশেষ করে যারা স্বাস্থ্য সচেতন। এছাড়া, বাড়িতে বানানো ভাজা বা নামকিনে কোনো প্রিজারভেটিভ বা ক্ষতিকারক উপাদান থাকে না, তাই এটি সম্পূর্ণ নিরাপদ।

Recommended For You

Visual Stories

Article Tags:
Article Categories:
Food-kitchen-insights

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

মুখরোচক ফ্রাইড রাইসের ৯ টি রেসিপি বাঙালীর ঐতিহ্যবাহী সকালের জলখাবার বাঙালির ১০ টি আচার যা জিভে জল আনে নিমেষে! মধ্যপ্রাচ্যে খুবই বিখ্যাত এই ৯ টি বাঙালির খাবার অযোধ্যার বিখ্যাত ঐতিহ্যবাহী ১০ টি খাবার!