মিউজিক লাভার, আর্ট লাভার, স্পোর্টস লাভারের মত আরেক ধরণের মানুষ আছে, ঠিক আমার মত বিরিয়ানি লাভার। সকাল দুপুর রাত তিনবেলা অনায়াসে বিরিয়ানি সাবাড় করে দিতে পারে যারা। এটা বিশ্বাস করা যুক্তিসঙ্গত যে বিরিয়ানি অনেক লোকের মধ্যে একটি জনপ্রিয় খাবার। এমন একজনের মুখোমুখি হওয়া অস্বাভাবিক যার স্বাদ ইন্দ্রিয় বিরিয়ানির মনোরম ঘ্রাণ দ্বারা প্রলুব্ধ হয় না। এই এক খাবারে হায়দ্রাবাদি বিরিয়ানি থেকে লখনউয়ের অনন্য বিরিয়ানি পর্যন্ত বিভিন্ন বৈচিত্র্য রয়েছে। তাদের সবার মধ্যে একটি জিনিসের মিল রয়েছে। তা হল বিরিয়ানির পাত্রের উপর মোড়ানো একটি লাল কাপড়। রাস্তার ধারের ফাস্ট ফুড স্ট্যান্ড বা উচ্চমানের রেস্তোরাঁয়, বিরিয়ানির হান্ডির চারপাশে লাল কাপড়ে মোড়ানো দৃশ্য প্রায়ই দেখা যায়। কিন্তু কেন? বিরিয়ানির হাঁড়ি কেন লাল কাপড় দিয়ে মোড়া থাকে? হলুদ, সবুজ, কমলা বা অন্য কোন রঙ নয় কেন? এর উত্তর বেশ অবাক করার মতই।
ক. মুঘল সাম্রাজ্যের ঐতিহ্য বহন করার প্রয়াস কি!
আপনি কি কখনও ভেবে দেখেছেন কেন বিরিয়ানির হাঁড়িগুলি লাল কাপড়ে মোড়ানো হয়? ব্যাখ্যাটির উৎস মুঘল সাম্রাজ্যের সময় সম্রাট হুমায়ুনের সময় থেকে পাওয়া যেতে পারে। সেই সময়ে রান্নাঘরে বাধ্যতামূলক প্রথা ছিল বলে ধারণা করা হয়। এই ঐতিহ্য অনুসারে খাবার রাখার জন্য ব্যবহৃত সমস্ত পাত্রগুলি লাল রঙের কাপড়ে মোড়ানো হত। মুঘলরা লাল রংকে সৌভাগ্য, উষ্ণতা, আনন্দ এবং ভালবাসার লক্ষণ বলে মনে করত। সেই সময়ের রীতি কি তাহলে আজও বয়ে চলা হচ্ছে! হতেই পারে কারণ আমাদের প্রাণের বিরিয়ানি যে সেই সাম্রাজ্যে প্রথম তৈরি হয়েছিল।
খ. দৃষ্টি আকর্ষণ করার প্রয়াস হতে পারেঃ
তবে, অন্যরা মনে করেন যে লাল রঙ বিরিয়ানির পাত্রের প্রতি মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে, তাই এটি একটি লাল কাপড় দিয়ে মোড়ানো হয়। কারণ যাই হোক না কেন, বিরিয়ানির গন্ধ একবার নাকে এলে থালা ফিরিয়ে দেওয়া কঠিন। কাপড় লাল হোক বা সবুজ বিরিয়ানির জয় ছিল আছে ও থাকবে।