চিনির মিষ্টি পরোটা ছোটবেলায় সব বাঙালি বাচ্চারা কম-বেশি টিফিনে খেয়েছে। আমি এই চিনির পরোটা খাওয়ার দলে শুধু পড়ি না এটা খাওয়ার ব্যাপারেও এগিয়ে। কারণ হচ্ছে ছোটবেলায় দিনে একবার কোন না কোন সময় আমার একটা চিনির পরোটা খেতে হতোই হত। এত ভালোবাসি আমি এটা খেতে যে এখনও মাঝে মাঝে ফ্রি সময়ে বানিয়ে খাই। আর লাস্ট টাইম বানাতে গিয়ে একটু এক্সপেরিমেন্ট করলাম। আর ব্যাস ছোটবেলার সেই পরোটা প্রেম এবার দ্বিগুণ বেড়ে গেল! ভাবছেন কেন? সেই কেনও উত্তরই হচ্ছে আজকের রেসিপি।
চিনির সাথে সাথে গুঁড় মিশিয়ে পরোটা বানিয়ে খেয়ে দেখুন একবার। আপনিও নতুন করে প্রেমে পরবেন এই মিষ্টি পরোটা খাওয়ার। তাহলে পেটুকগণ গল্প না বাড়িয়ে লিখে ফেলা যাক আজকের এই চিনি ও গুঁড় একসাথে মিলিয়ে বানানো ইয়াম্মি টু ইন ওয়ান পরোটা রেসিপি।
উপকরনঃ (২টো পরোটা হবে এতে)
- এক বাটি আটা ও ময়াদা সমান পরিমানে মেশানো
- দুই চা চামচ চিনি
- দুই চা চামচ পাঠালি গুঁড় গুঁড়ো করা (আমি পাউডার গুঁড় ব্যবহার করেছি)
- ঘি পরোটা ভাজার জন্য ৪ চামচ
কিভাবে বানাবেন চিনি ও গুঁড়ের পরোটাঃ
এর চেয়ে সিম্পল টেস্টি মিষ্টি পরোটা বানানোর পদ্ধতি আর নেই। একদম সহজ। প্রথমে একটি বড় বাটিতে আটা ও ময়াদা সমান পরিমানে নিয়ে মেশান। হাফ কাপ আটা ও হাফ কাপ ময়দা। দুটো ভালো করে মিশিয়ে নেওয়া হলে এক চিমটে ঘি এতে দিন। ঘি আটা-ময়দার মধ্যে ভালো করে মিশিয়ে নিয়ে সামান্য জল দিয়ে এটা মেখে নিন। পরোটার জন্য যেমন আটা মাখা হয় ঠিক তেমন করে। বেশি শক্ত নয় আবার বেশি নরমও না। মাখা হলে ভালো করে ময়াম দিন। ময়াম দিয়ে ৫ মিনিট মত ঢেকে রেখে দিন আটা-ময়দা মাখাটা।
পাঁচ মিনিট পর ময়দা মাখা থেকে দুটো সমান পরিমানের লেচি বা গোলা বের করে নিন। হাতের তালুতে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে এক একটা লেচি গোল করুন। গোল করা হলে এবার এর মাঝখানে এক চা চামচ চিনি ও এক চা চামচ গুঁড় দিন। উপরের ছবিতে ঠিক যেমন দেখছেন তেমনটা। দেওয়া হলে ভালো করে মুখটা বন্ধ করে আসতে আসতে গোল্লা বানিয়ে নিন। উপরের ছবিতে আছে। গোল্লা বানানো হলে গোল করে পরোটা বেলে নিন। চাটু হাল্কা গরম হলে আগে পরোটা দুটো সেঁকে নিন। তারপর ১ চামচ করে করে ঘি, দুই পিঠে মাখিয়ে ভালো করে পরোটা দুটো ভেজে নিন। আর কি! তৈরি হয়ে গেলো তো চিনি ও গুঁড়ের ইয়াম্মি পরোটা। গরম গরম অল্প ঘি বা মাখন দিয়ে খেয়ে ফেলুন গপগপ করে।