করলার অনেক ঔষধি গুণ রয়েছে। এটি অবশ্যই তেতো তবে এর উপকারিতা আশ্চর্যজনক। এটি স্বাস্থ্যের জন্য অমৃতের মতো কিন্তু এই জিনিসগুলি দিয়ে খেলে তা ‘বিষ’ হয়ে যেতে পারে। করলা খেলে উপকার পাওয়া যায়। করলার স্বাদ তেতো হলেও এটি ওষুধের মতো কাজ করে। প্রতিদিন করলা সেবন করলে অনেক ধরনের রোগ আপনার থেকে দূরে থাকে। করলা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য কোনো ওষুধের চেয়ে কম নয়। এটি ইনসুলিনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। করলা খেলে পেট সংক্রান্ত রোগও সেরে যায়। লিভার-অ্যাস্থমা রোগীকে করলা খেতে হবে। করলা খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য, বদহজম ও অ্যাসিডিটির সমস্যা হয় না।
কম লোকেই জানেন করলা খাওয়ার পর কিছু জিনিস ভুল করেও খাওয়া উচিত নয়। বা করলার সাথে মিশিয়ে এই ৫ টি জিনিস একদম খাওয়া উচিত নয়। এর কারণে অনেক ধরনের সমস্যা হতে পারে। আসুন জেনে নিই করলার সাথে বা পরে কোন জিনিসগুলি খাওয়া উচিত নয়।
১. ঢ্যাঁড়স বা ভেন্ডিঃ
করলা খাওয়ার পর কখনই ঢ্যাঁড়স বা ভেন্ডি খাবেন না। এটা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। এটা খেলে শরীরে করলা সহ ঢ্যাঁড়স বা ভেন্ডি হজম করতে হয়, যা সমস্যা তৈরি করতে পারে এবং আপনি সমস্যায় পড়তে পারেন। ভাতের পাতে করলা থাকলে ঢ্যাঁড়স বা ভেন্ডি রাখবেন না। একপাতে এই দুটো জিনিস খাওয়া ঠিক নয় শরীরের জন্য।
২. দুধঃ
করলা ও দুধ একসঙ্গে মিশিয়ে খাওয়ালে স্বাস্থ্যের শত্রু হিসেবে কাজ করে। তাই দুটোই একসঙ্গে খাওয়া উচিত নয়। এর কারণে পেটের স্বাস্থ্যের অবনতি হতে পারে। কোষ্ঠকাঠিন্য, ব্যথা এবং পেটে জ্বালাপোড়ার সমস্যা হতে পারে। আপনি যদি ইতিমধ্যেই পেটের সমস্যায় ভুগছেন তবে এটি আরও বিপজ্জনক হতে পারে।
৩. আমঃ
আম ও করলা এই দুটি জিনিস একসঙ্গে খাওয়া উচিত নয়। কারণ এতে আপনার স্বাস্থ্য নষ্ট হতে পারে। এর কারণে বমি, জ্বালাপোড়া, বমি বমি ভাব এবং অ্যাসিডিটি আপনাকে বিরক্ত করতে পারে। কারণ দুটো জিনিসই হজম হতে অনেক সময় নেয়।
৪. দইঃ
দই এবং বাটার মিল্ক অনেকেরই পছন্দ। আপনি যদি করলার সবজি বা এর থেকে তৈরি অন্য কোনো জিনিস খাচ্ছেন, তাহলে তার পর দই-বাটার মিল্ক খাওয়ার ভুল করবেন না। কারণ দই এবং বাটারমিল্কে ল্যাকটিক অ্যাসিড পাওয়া যায়, যা করলার পুষ্টির সাথে মিথস্ক্রিয়া করে ত্বকে ফুসকুড়ি এবং চুলকানির কারণ হতে পারে। তাই করলা, দই এবং বাটার মিল্ক কখনই একসাথে খাওয়া উচিত নয়।
৫. মুলোঃ
করলার সাথে মুলা খাওয়াও ক্ষতিকর। উভয়ের প্রকৃতি ভিন্ন হওয়ার কারণে পেটে প্রতিক্রিয়া হতে পারে। এ কারণে গলায় অ্যাসিডিটি ও কফের সমস্যা হতে পারে। আপনার যদি আগে থেকেই সর্দি-কাশি থাকে, তাহলে করলার পর মুলা খাওয়া উচিত নয়।