ছোট সাবু বা বড় সাবুদানা দিয়ে সাবুদানার ক্ষীর তৈরি করতে পারেন। উপোষ করলে তারপর সাবুদানার ক্ষীর তৈরি করে খেতে পারেন। তাছাড়া ক্ষীর খাওয়ার ইচ্ছে হলে সাবুদানা ক্ষীর কিন্তু দারুন অপশান। চলুন আজ তৈরি করি সাবুদানা ক্ষীর। সাবুদানা ক্ষীর বানানোর পদ্ধতি খুব সোজা। একদিন আপনিও বানিয়ে ফেলুন।
ক. সাবুদানা ক্ষীর বানানোর উপকরণঃ
- ছোট সাবুদানা – ১০০ গ্রাম (৩/৪ কাপ) (এক ঘন্টা ভিজিয়ে রাখা)
- দুধ ফুল ক্রিম – ১ লিটার
- চিনি – ১০০ গ্রাম
- কাজু – ১ চা চামচ
- কিশমিশ – ১ চা চামচ
- পেস্তা – ৮টা
- ছোট এলাচ – ৪ থেকে ৫টা (গুঁড়ো)
খ. সাবুদানা ক্ষীর বানানোর পদ্ধতিঃ
একটি পাত্রে দুধ রেখে গরম করুন। এর মধ্যে, শুকনো ফলগুলি অর্থাৎ কাজু, কিশমিশ, পেস্তা কেটে নিন। পেস্তাগুলিকে কুচি কুচি করে কাটুন। প্রতিটি কাজুকে ৫ থেকে৬ টুকরো করে কেটে নিন। কিশমিশ দুই টুকরো করুণ। দুধ ফুটে আসার পর দুধে ভেজানো সাবুদানা দিন। দুধে সাবুদানা যোগ করার পর, দুধ আবার ফুটে না আসা পর্যন্ত একটানা নাড়তে থাকুন। ফুটানোর পর গ্যাস কমিয়ে দিন।
ক্ষীরে কিশমিশ এবং কাজু যোগ করুন, মিশ্রিত করুন এবং ক্ষীরকে মাঝারি আঁচে রান্না হতে দিন। প্রতি ২ মিনিট পর পর চামচ দিয়ে ক্ষীর নাড়তে থাকুন নাহলে দুধ নীচে লেগে যেতে পারে। সাবুদানা স্বচ্ছ হয়ে গেলে এবং ক্ষীর ঘন হয়ে এলে এতে চিনি দিন। ৩-৪ মিনিট রান্না করুন। গ্যাস কমিয়ে ক্ষীরে এলাচ গুঁড়ো মিশিয়ে গ্যাস বন্ধ করুন। সাবুদানার ক্ষীর তৈরি।
সাবুদানা ক্ষীরের উপর পেস্তা ঢেলে সাজিয়ে নিন। আপনি এটি গরম বা ঠান্ডা খেতে পারেন। উপোষ রাখার সময়ও আপনি এটি তৈরি করতে পারেন এবং যখন আপনার মিষ্টি খাওয়ার ইচ্ছা হয় তখন আপনি বানাতে পারেন।
গ. বিশেষ কথাঃ
- বড় সাবুদানার ক্ষীরও একইভাবে তৈরি করা হয়, তবে বড় সাবুকে জলে ধুয়ে ৬ ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখতে হয় কারণ তা ছোট সাবুদানার আকারের তিনগুণ।
- দুধে সাবুদানা ফেলার পর যদি ক্ষীর আবার ফুটে ওঠা পর্যন্ত একটানা নাড়তে না থাকেন, তাহলে অনেক সময় দুধ ফেটে যেতে পারে।