skip to content
CurryNaari
Welcome to Nandini’s world of cooking & more...

নোংরা হয়েছে রান্নাঘর? কীভাবে পরিষ্কার করবেন মাত্র ১৫ মিনিটে?

নোংরা রান্নাঘর

ছুটির দিন। সকাল থেকে জমিয়ে রান্না করে ফেলেছেন লাঞ্চ-ডিনারের বিভিন্ন পদ। কিন্তু তারপর? রান্নাঘরের অবস্থা দেখেই কান্না আসছে তো? চারদিকে ছড়িয়ে এঁটো বাসনকোসন ছড়িয়ে, সিঙ্কে জমে হাতা-খুন্তি-কড়া! আসলে, রান্না করতে যত না ঝামেলা, রান্নার পর জিনিসপত্র পরিষ্কার করা, বা রান্নাঘর পরিষ্কার করা যেন ততটাই কঠিন। তবে যতই ময়লা হোক রান্নাঘর, নির্দিষ্ট ভাবে পরিষ্কারের গোটা বিষয়টি পরপর সাজিয়ে নিলে কিন্তু আপনি মোটে ১৫ মিনিটেই সেটি পরিষ্কার করে নিতে পারবেন। কীভাবে? রইল উপায়।

১. ময়লা বাসন গরম জলেঃ

এক্ষেত্রে শুধু গরম জল করার পরিশ্রমটুকু আপনাকে করে নিতে হবে। সিঙ্কে সিঙ্ক স্টপার দিয়ে ড্রেনেজের মুখটি বন্ধ করে সমস্ত এঁটো বাসন, কড়া, হাতা, খুন্তি, চামচ ওখানে রাখুন। তারপর গরম জল ঢেকে দিন। এভাবে গরম জল দিয়ে এঁটো বাসন ভিজিয়ে রাখলে দেখবেন পরে সহজেই ডিশওয়াশার দিয়ে সেগুলি পরিষ্কার করে ফেলতে পারছেন। অনেকসময় কড়া বা বাসন একটু বেশি পুড়ে যায়। সেক্ষেত্রে সেগুলিকে আর একটু বেশি সময় ধরে গরম জলে ভিজিয়ে রেখে ডিশওয়াশার দিয়ে ধুয়ে নিন। তাহলে ওগুলি দ্রুত পরিষ্কার হবে।

২. ময়লা একজায়গায় জমিয়ে রাখুনঃ

তরকারির খোসা থেকে শুরু করে মাছের কাঁটা… রান্নাঘরের নোংরা কিন্তু নানারকম হয়। এবার থেকে সবজি কাটা থেকে শুরু করে শাক বাছা, প্রতিটি পর্বে এই বর্জ্যগুলিকে কোনও একটি জায়গায় জমিয়ে রাখুন। তারপর সমস্ত রান্নার শেষে যখন রান্নাঘর পরিষ্কার করবেন, তখন সেগুলিকে একসঙ্গে ডাস্টবিনে ফেলে দিন। এটি করতে আপনাকে বারবার নোংরা ডাস্টবিন খুলে ময়লা ফেলতে হবে না।

৩. মশলার কৌটো গোছাতে আলস্য?

পোলাও থেকে শুরু করে মাটন কষা, ছুটির দিনের আনন্দে জমিয়ে রান্না করে ফেলেছেন অনেক কিছু। মনের আনন্দে র‍্যাক থেকে মশলার কৌটো পেড়ে-পেড়ে স্বাদ বাড়িয়েছেন রান্নার। কিন্তু এরপর সেই একগাদা কৌটোকে যথাস্থানে রাখতেই আলস্য? এরকমটা অনেকেরই হয়ে থাকে। এই আলস্য সিন্ড্রোম কাটানোর কিন্তু একটাই উপায়। ধরুন নুন, চিনি, ধনে, শুকনো লঙ্কা… এইসমস্তই আপনি তাক থেকে কৌটো পেড়ে সেখান থেকে বের করে রান্নায় দিলেন। তারপর অনেকেই কৌটোগুলিকে একসঙ্গে পরে গোছাবেন ভেবে জমিয়ে রাখেন। এটি না করে এবার থেকে সঙ্গে-সঙ্গে যখন যে-কৌটোটা পাড়ছেন তাক থেকে, সেটি ব্যবহারের পরেই আবার যথাস্থানে রেখে দিন। দেখবেন, এভাবে পরপর কাজ গুছিয়ে ফেলার ফলে শেষে গিয়ে আর একগাদা কাজ জমে থাকবে না।

৪. যথাস্থানে সবকিছুঃ

মশলার কৌটোর ক্ষেত্রে তো বটেই, এই যথাস্থানে সবকিছু রাখার বিষয়টি কিন্তু বাকি বিষয়ের উপরও প্রযোজ্য। ধরুন, সব ধুয়ে-মুছে পরিষ্কার করার পর পরে গোছাবেন ভেবে একজায়গায় সব বাসনগুলো ডাঁই করে রাখলেন। পরে তুলতেও আলস্য এল। ফলে সেই বাসন সেখানেই পড়ে রইল। এটি কিন্তু একেবারে করবেন না। গোছাতে শুরু করে একবার যদি ভাবেন যে, পরে করবেন, তাহলে কিন্তু সে ‘পর’ ক্রমশই পিছোতে থাকবে! তাই কোমর বেঁধে একবার যখন রান্নাঘর পরিষ্কার করবেন বলে লেগেইছেন, তখন বাসনগুলোই বা আর পড়ে থাকবে কেন! একযাত্রায় নাহয় ওদেরও যথাস্থানে ঠাঁই দিন!

৫. টিপটপ রান্নাঘরঃ

থালা, বাসন, কড়া, খুন্তি সব পরিষ্কার করে ধুয়ে-মুছে তুলে ফেলার পর এবার কিন্তু আপনি মন দিতে পারেন গ্যাসের দিকে। রান্না করার সময় গ্রেভি বা মশলা পড়ে গ্যাস, বার্নার খুব নোংরা হয়। আর গ্যাসের বার্নার পরিষ্কার না রাখলে কিন্তু সেগুলি দ্রুত নষ্ট হয়ে যায়। তাই ভাল করে ঘষে-ঘষে ন্যাকড়া দিয়ে বার্নার পরিষ্কার করুন। দেখবেন ওখানে যেন কোনও খাবার জমে না থাকে। গ্যাস রাখার জায়গাটিও ভাল করে মুছে নিন। খুব বেশি তেলচিটে হয়ে থাকলে গরম জলে ডিটারজেন্ট গুলে নিয়ে পরিষ্কার করুন, দেখবেন দ্রুত কাজ দিচ্ছে।

৬. মেঝেতেও নজরঃ

রান্না করলে তেলচিটে হয়ে যায় রান্নাঘরের মেঝেও। আর প্রত্যেকদিন রান্না করার পর যদি আপনি রান্নাঘরের মেঝে ভাল করে ঝাঁট দিয়ে না মোছেন, তাহলে ইতিউতি পড়ে থাকা আনাজের খোসা থেকে শুরু করে তেলচিটে ভাব… পায়ে-পায়ে কিন্তু সারা বাড়িতেই ছড়িয়ে পড়তে পারে। তাই সেদিকে বিশেষ নজর দেওয়া প্রয়োজন। দিনের সমস্ত রান্না সেরে ফেলার পর ঝটপট একবারে ঝাঁটা চালিয়ে জল দিয়ে মেঝে মপ করে নিন। মোছার জলের মধ্যে কোনও ফ্লোর ক্লিনার দিয়ে দিতে পারেন। সিঙ্কের মুখে বা কোনও নর্দমা থাকলে সেখানে সামান্য ব্লিচিং পাওডার ছড়িয়ে নিন।

ব্যস, এই গোটা স্টেপ বাই স্টেপ ব্যাপারটাই যদি আপনি আগে কোনটার পর কী করবেন, মাথার মধ্যে ছকে নেন, তাহলে দেখবেন মাত্র ১৫ মিনিটেই রান্নাঘর পরিষ্কার করে ফেলতে পারছেন, আর আলস্যও লাগছে না।

Article Categories:
Tips & Hacks

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *