আমরা সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়ি যে ফল নিয়ে সেটা হল কলা। আজ কিনে আনলে কালকেই দেখব অল্প অল্প দাগ হতে শুরু করেছে। দুই দিন পর দেখব কালচে হয়ে গেছে কলার ভিতরটা। সব সময়ে তো ফ্রিজে রাখা যায় না। বাইরে রাখলে তাই কীভাবে অনেক বেশি সময়ের জন্য কলা ভাল থাকবে সেটা আপনাদের জানিয়ে দিই।
১. অন্য ফলের থেকে দূরেঃ
কলার মধ্যে পচনশীলতে একটু বেশি থাকে। এর সঙ্গে যদি অন্য ফল রাখা হয় তাহলে অন্য ফলের পচনশীলটার জন্যে কলা আরও তাড়াতাড়ি পচতে শুরু করবে। তাই কলা সবসময়ে অন্য ফলের থেকে দূরে রাখবেন। অন্য পাত্রে কলা ঝুলিয়ে রাখলে সবচেয়ে ভাল হয়।
২. কলার ডাটি মুড়ে রাখুনঃ
কলা তাড়াতাড়ি পাকতে শুরু করে কারণ এর থেকে ইথাইলিন গ্যাস তাড়াতাড়ি নিঃসরণ হয়। এই গ্যাস যে ফল থেকে যত তাড়াতাড়ি বাইরে আসবে সেই ফল তত তাড়াতাড়ি পেকে যাবে। কলা থেকে এই গ্যাসের নিঃসরণ খুব তাড়াতাড়ি হয়। আর কলার যে অংসে এই গ্যাসের নিঃসরণ তাড়াতাড়ি হয় সেটা হল ওপরের ডাটি। আপনি যদি প্লাস্টিক দিয়ে এই অংশ মুড়ে দেন তাহলে এই গ্যাস অনেক কম নিঃসরণ হবে। ফলে কলা ভাল থাকবে।
৩. ফ্রিজে রাখুনঃ
ধরুন আপনি দেখলেন কলার কিছু অংশ বাদামী রঙের হতে শুরু করেছে। তখনই ফ্রিজে ঢুকিয়ে দিন কলা। ফ্রিজের ঠাণ্ডা ভাব ওই গ্যাসের নিঃসরণ অনেকটা কমিয়ে আনবে। বাদামী রঙ হয়ে যাওয়া মানেই কলা খারাপ হয়ে গেল তা নয়। এই অবস্থায় ফ্রিজে রাখলে কলার ভিতরের অংশ থিকই থাকবে।
৪. লেবুর ব্যবহারঃ
এটা শুনে অবাক হতে পারেন। ধরুন আপনি বেশি করে কলা ছাড়িয়ে নিয়েছেন আর কোনও কারণে খেতে পারেননি। তখন কলা তো ফেলে দেওয়া যায় না। কলার ওপর তখন অল্প লেবুর রস ছড়িয়ে দিন। লেবুর রস মানে সাইট্রাস কলার অক্সিডেশন কমিয়ে আনবে। তখন কলার ফ্রেসনেশ বেশ বজায় থাকবে। তবে এতে কলার স্বাদে একটু পরিবর্তন আসবে।
৫. ভিনিগারের ব্যবহারঃ
যদি লেবু না থাকে তাহলে ভিনিগার ব্যবহার করতে পারেন। ভিনিগারেও লেবুর মতো একই কাজ করে। আর ভিনিগারের ব্যবহারের অন্য একটি সুবিধেও আছে। লেবুর রস ব্যবহার করলে স্বাদ একটু টক হবে। কিন্তু ভিনিগার ব্যবহার করলে আপনি যদি কলা ধুয়ে নেন তাহলে স্বাদের খুব একটা পরিবর্তন হবে না। তাই ভিনিগার ব্যবহার করা বেশি ভাল।
এইভাবে যদি আপনি কলা রাখতে পারেন, তাহলে কলা বেশ কিছুদিন ভাল থাকতে পারে। ট্রাই করে দেখুন।
Nice
Thank you 🙂