অনেক সময়ে দেখা যায় আমরা প্যাকেটের দুধ গরম করতে গেলাম। গরম করতে করতেই দুধ কেটে গেল। মানে সেই দুধ আগে থেকেই খারাপ ছিল। এতে আপনার মেজাজ গেল গরম হয়ে, আর সময়টাও নষ্ট হল। গরম করার আগেই যদি বুঝে যান যে দুধ ভাল আছে না খারাপ হয়ে গেছে, তাহলে বেশ হয়!
১. গন্ধ দিয়ে বুঝুনঃ
দুধের সাধারণত তেমন কোনও গন্ধ থাকে না। থাকলেও খুব অল্প একটা মৃদু মিষ্টি গন্ধ থাকে। দুধ মূলত গরম করলে একটা গন্ধ আমরা পাই গরম দুধের। কিন্তু আপনি যদি প্যাকেট থেকে দুধ বের করে গন্ধ নেন তাহলে বুঝতে পারবেন দুধ ভাল আছে না খারাপ হয়ে গেছে। দুধ খারাপ হয়ে গেলে একটা বাজে গন্ধ আসবে যেটা অনেকটা পচা দইয়ের মতো। ল্যাকটিক অ্যাসিড তৈরি হয়ে এই গন্ধ আসবে। তীব্র টক একটা গন্ধ আসবে।
২. ঘনত্ব দিয়ে বোঝা যায়ঃ
দুধ পাতলা একটি তরল। জলের মতো পাতলা অবশ্য নয়। সেরকম পাতলা হলে বুঝবেন অনেক জল মেশানো আছে। কিন্তু মোটামুটি একটু তরল উপকরণ দুধ। আপনি প্যাকেটের দুধ আগে একটি ভাল কাঁচের পাত্রে রাখুন। তারপর অল্প নাড়ুন কাঁচের পাত্রের দেওয়ালের দিকে। দেখুন দেওয়ালে লেগে থাকা দুধ তরল পদার্থের মতো নামছে নিচে নাকি অল্প অল্প দেওয়ালে লেগে থাকছে। লেগে থাকলে বুঝবেন দুধ খুব একটা ভাল নেই।
৩. রঙের বদলঃ
দুধ কিন্তু সম্পূর্ণ সাদা একটি তরল। ভাল গরুর দুধ হলে একটু অল্প হলদেটে ভাব থাকে। কিন্তু প্যাকেটের দুধ সাদাই হয়। প্যাকেটের দুধ একটি কাঁচের পাত্রে নিন। তারপর সেটি রোদের সামনে বা ভাল আলোর কাছে নিয়ে গিয়ে দেখুন রঙ সম্পূর্ণ সাদা কিনা। যদি দেখেন আলোর ফলে খানিক হলদেটে লাগছে তাহলে বুঝবেন দুধ ভাল নেই।
৪. তাপমাত্রা দিয়ে পরীক্ষা করাঃ
সাধারণ ঘরের তাপমাত্রায় দুধ যখন রাখছেন তখন দুধ সাধারণ তরল থাকারই কথা। একটি কাঁচের পাত্রে দুধ নিয়ে ঢেকে এক ঘণ্টা রেখে দিন। তারপর ওই পাত্র থেকে আরেক পাত্রে দুধ ঢালুন। দেখুন তো দুধ ঢালার পর আগের পাত্রে নিচের দিকে দইয়ের মতো কোনও থকথকে ব্যাপার থেকে যাচ্ছে কিনা! থাকলে বুঝবেন দুধ খারাপ হয়েছে। দুধ আসলে দই হতে শুরু করেছে মানে ব্যাকটেরিয়ার কাজ শুরু হয়ে গেছে।
৫. মাইক্রোওয়েভে দিনঃ
প্যাকেটের দুধের খানিক অংশ মাইক্রোওয়েভে দিন। দুই মিনিট পর বের করে নিন। এবার ওই দুধ ভাল করে দেখুন। জদে দেখেন দুধের রঙের পরিবর্তন হয়েছে বা দুধের মধ্যে দলা দলা অংশ দেখা দিয়েছে তাহলে বুঝবেন সেই দুধ খাওয়া ভাল হবে না।
এভাবে দুধ গরম না করেও আপনি অনায়াসে বুঝতে পারবেন দুধ ভাল আছে না খারাপ।