কচুর লতি বাংলার অনেক পুরনো একটি পদ। খেতে লাগে অসাধারণ। নারকেল দিয়ে বানান বা চিংড়ি মাছ দিয়ে নিমেষে পাত খালি হয়ে যায়। আজ লতির তেমনই আরেকটি পদ নিয়ে হাজির হলাম। কচুর লতির ভর্তা। আমার কাকিমার রেসিপি। কাকিমার হাতে বানানো এই কচুর লতির ভর্তা যদি একবার চেখে দেখেন, সারা জীবন মনে রাখবেন। আমিও আজ বানিয়ে ফেললাম দুপুরে। আর তাই শেয়ার করতে চলে এলাম আমার বন্ধুদের সাথে, মানে আপনাদের সাথে।
কচুর লতির ভর্তা বানাতে উপকরণঃ
- কচুর লতি বড় এক বাটি
- একটা পেঁয়াজ কুচি করা
- দুটো পেঁয়াজ বাটা
- একটা গোটা রসুন বাটা
- শুকনো লঙ্কা তিনটে বাটা
- কাঁচা লঙ্কা দুটো বাটা
- সরষের তেল হাফ কাপ
- হলুদ হাফ চামচ
- নুন স্বাদ অনুযায়ী
কচুর লতির ভর্তা বানানোর পদ্ধতিঃ
কচুর লতি সবার প্রথমে ভালো করে ছাল ছাড়িয়ে টুকরো করে নিন। তারপর এক বাটি উষ্ণ গরম জলে হাফ চামচ নুন দিয়ে তাতে লতি ভিজিয়ে রাখুন। জলে লতি ১০ থেকে ১৫ মিনিট মত ভিজিয়ে রাখবেন। তারপর গরম জল থেকে লতি তুলে কলের নিচে ভালো করে ধুয়ে নিন ঠাণ্ডা জলে। তারপর ঝাঁঝরিতে রেখে জল ঝরিয়ে নিন।
কড়াই গরম করে তাতে সরষের তেল দিন। তেল একটু বেশি লাগে এই রান্নায়। তেল ভালো করে গরম হলে আঁচ কমিয়ে দিন। তারপর তাতে এক এক করে পেঁয়াজ, রসুন, শুকনো লঙ্কা আর কাঁচা লঙ্কা বাটা দিন। কম আঁচে এটা কষাতে থাকুন। তেল ছাড়তে শুরু করলে হাফ চামচ হলুদ ও স্বাদ অনুযায়ী নুন দিন। হলুদের গন্ধ চলে যাওয়া অব্দি এটাকে কষান। তারপর এতে কেটে রাখা পেঁয়াজ কুচি দিয়ে দিন। মসলার সাথে পেঁয়াজ কুচি ভালো করে মিশিয়ে আরও পাঁচ মিনিট মত কষান। ক্রমাগত নাড়তে থাকবেন। হালকা সেদ্ধ করা লতি গুলো এবার এতে দিয়ে পাঁচ মিনিট বেশি আঁচে রান্না করুন। তারপর ঢেকে দিয়ে ১৫ মিনিট রান্না করলেই তৈরি কচুর লতির ভর্তা। তবে ঢেকে দেওয়ার পর মাঝে মাঝে খুন্তি দিয়ে নাড়তে থাকবেন। রান্না হয়ে গেলে ১চামচ পাতিলেবুর রস উপর থেকে ছড়িয়ে দিন।
বিশেষ টিপসঃ
কচুর লতি নুন জলে ভিজিয়ে রাখলে একফোঁটা গলা কুটকুট করবে না। আর রান্নার শেষে লেবুর রস দিলেও গলা কুটকুট করবে না। এই বিশেষ টিপসটা মনে রাখবেন।
wow amazing your toking