শীতের হাওয়া গায়ে লাগতে শুরু করে দিয়েছে আর বাজারের থলি ভরতে শুরু করেছে ফুলকপিতে। এই সময় সাধারণত ফুলকপিতে পোকা হওয়ার কথা নয়। কিন্তু আজকাল আগেকার মত উঠতি ফুলকপি সবসময় ব্যাপারিরা বিক্রি করে না। সারাবছর যেহেতু ফুলকপি পাওয়া যায় টাই পুরনো স্টক থেকে মাল বেচতে থাকে তারা। তাই এসব ফুলকপির মধ্যে পোকা থাকা স্বাভাবিক।
ফুলকপি এমন একটা সবজি যাতে অনেক সময় পোকা থাকলেও বোঝা যায় না। তাই এই সমস্যা থেকে একেবারে মুক্ত হতে ফুলকপি কাটার সময় সামান্য কয়েকটা জিনিস করুন। এতে করে ফুলকপি ভালো ভাবে পরিষ্কার হবে ও যদি পোকা থাকেও তা সহজে দূর হয়ে যাবে।
১. ভিনিগার ব্যবহার করুনঃ
একটা বড় বাটিতে জল নিয়ে তাতে এক চামচ ভিনিগার দিন। ভালো করে জলের সাথে মেশান। তারপর এতে ফুলকপি ১০ মিনিট চুবিয়ে রাখুন। ভিতরের পোকা জলে বেরিয়ে আসবে। ফুলকপি জল থেকে তুলে ভালো করে তারপর ধুয়ে নিন চলমান জলের কলের নিচে রেখে। তারপর রান্না করার জন্য ব্যবহার করুন।
২. লবণ জলের ব্যবহারঃ
জলে সামান্য লবণ দিয়ে ২ থেকে ৩ মিনিট গরম করুন। তারপর সেই গরম জলে ফুলকপি ডুবিয়ে রাখুন টুকরো টুকরো করে কেটে। ১৫ মিনিট মত রাখবেন। দেখবেন পোকা থাকলে বেরিয়ে আসবে নিমেষের মধ্যে। ভিনিগার ঘরে না থাকলে এই কৌশলে ফুলকপির থেকে পোকা দূর করতে পারেন।
৩. গরম জলের ব্যবহারঃ
ঘরে ধরুন ভিনিগার নেই। আর এমন একটা খাবার বানাতে চলেছেন যে আগে লবণ জলে ভেজাতে পারবেন না। তাহলে কি করবেন? চিন্তা করবেন না। ফুলকপি কেটে নিয়ে আগে রাখুন। তারপর ভালো করে জল গরম করে তাতে কপি ৩-৪ মিনিট চুবিয়ে একদম বরফ ঠাণ্ডা জলে ভিজিয়ে রাখুন ৫ মিনিট। গরম ঠাণ্ডা জলের স্নানের পর পোকা বাপবাপ বলে বেরিয়ে আসবে।
৪. লেবুর রসের ব্যবহারঃ
পোকা দূর করার পাশাপাশি ফুলকপির গায়ে হালকা বাদামী দাগ দূর করতে চাইলে ব্যবহার করুন পাতিলেবুর রস। এটা দারুন কাজের টিপস। একটা পাতিলেবুর রস বের করে ফুলকপির গায়ে ভালো করে মাখিয়ে কয়েক মিনিট রাখুন। তারপর জলে ধুলে নিলেই হয়ে যাবে।