skip to content
CurryNaari
Welcome to Nandini’s world of cooking & more...

ফল এবং সবজি থেকে কীটনাশক দূর করার ঘরোয়া টোটকা

লনব সবজি জল

মানুষের বেঁচে থাকার জন্য প্রয়োজনীয় জিনিসগুলোর মধ্যে খাদ্য অন্যতম। বেঁচে থাকার জন্য প্রয়োজন খাবার। কথাটা কি পুরোপুরি ঠিক হলো? না! বরং বেঁচে থাকার জন্য প্রয়োজন ভালো এবং স্বাস্থ্যসম্মত খাবার। নয়তো এই খাবারই মানব দেহের অনেক বড় বড় ক্ষতি সাধন করতে পারে। এমন কি মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। তাই শুধু খাবার নয় বরং স্বাস্থ্যসম্মত খাবার খাওয়া প্রয়োজন।

বর্তমান বিশ্বে ফরমালিন ছাড়া খাবার জাতীয় কোনো কিছু পাওয়া অনেক কঠিন একটি ব্যাপার। বর্তমানে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী শুধুমাত্র ব্যবসায় মুনাফা অর্জনের জন্য, অধিক লাভের আশায় খাদ্য দ্রব্যে ভেজাল মেশায়। যার ফলে স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ছে এই সকল ফরমালিনযুক্ত খাবার খেয়ে। বাজারের বেশিরভাগ ফল ও শাক-সবজি ফরমালিনে ভরপুর। অনিচ্ছা সত্ত্বেও নিয়মিত আমরা এই বিষ খেয়ে চলেছি। তাই এই সমস্যা সমাধানের কিছু উপায় নিয়ে এসেছি আপনাদের সামনে। যাতে করে কিছুটা হলেও ফরমালিনমুক্ত ফল ও শাক-সবজি খেতে পারি। চলুন তবে জেনে নেই ঘরোয়া পদ্ধতিতে ফল ও সবজি থেকে কীভাবে কীটনাশক নামক বিষ দূর করতে পারবেন।

সবজি ও ফল থেকে ফরমালিন বা কীটনাশক দূর করার উপায়ঃ

  • বাজার থেকে ফল ও শাক-সবজি কিনে আনার পর রেখে না দিয়ে সাথে সাথে তা কলের চলমান জলে ভালোভাবে ধুয়ে নিতে হবে। এতে করে ফরমালিন বা কীটনাশক ও রাসায়নিক অনেকটাই দূর হবে। ফল ও শাক-সবজি পানিতে ডলে ডলে ধোয়ার চেয়ে কলের নিচে নিয়ে চলমান জলে ধোয়ার ফলে কীটনাশক ও রাসায়নিক দ্রুত দূর হয়, এটা গবেষণা বা পরীক্ষা দ্বারা প্রমাণিত।
  • ভিনেগার বা লবণ জলে দিয়েও ফরমালিন দূর করা যায়। একটি পাত্রে পানি নিয়ে তার মধ্যে কিছুটা লবণ বা ভিনেগার দিয়ে মিশিয়ে তার মধ্যে ফল বা সবজি দিয়ে ১৫ থেকে ২০ মিনিট ডুবিয়ে রাখতে হবে। এভাবে ডুবিয়ে রাখলে রাখলে ফল ও সবজি থেকে ক্লোরপাইরিফোস, ডিডিটি, সাইপারমেথরিন ও ক্লোরোথালোনিল নামক কীটনাশক দূর করা যায়, গবেষণা দ্বারা প্রমাণ করা হয়েছে।
  • বেকিং সোডাও এখানে কার্যকর ভূমিকা পালন করে। একটি পাত্রে জল ও বেকিং সোডা মিশিয়ে একটি দ্রবণ তৈরি করে সেই দ্রবণে আপেল দিয়ে তা কমপক্ষে ১৫ থেকে ২০ মিনিট ধরে ডুবিয়ে রাখুন। এটা কলের চলমান জলের ধারাতে দেয়ার চেয়ে বেশি কার্যকর। তবে এই পদ্ধতি বা কৌশল শুধুমাত্র আপেলের ক্ষেত্রেই কাজে লাগানো যাবে। আপেল ছাড়া অন্য কোন ফলের ক্ষেত্রে এটা তেমন একটা কার্যকর নাও হতে পারে।
  • গরম জল ও কীটনাশক দূর করার একটি বড় হাতিয়ার হিসেবে কাজ করে। বাজার থেকে কিনে আনা যেকোনো ধরনের ফল-মূল ও সবজি খাওয়ার আগে একটি পাত্রে জল দিয়ে তা গরম করে সেই জল দিয়ে ধুয়ে নিতে পারেন। এই কাজটা করতে হবে হালকা কুসুম গরম জল দিয়ে, কেননা বেশি গরম বা বেশি ঠাণ্ডা জল আবার রাসায়নিক বা কীটনাশক সর্ম্পূন দূর করতে পারে না। তাই ফল ও সবজি পরিস্কারের জন্য হালকা গরম জল ব্যবহার করুন। এতে করে ফল ও সবজির ওপরে থাকা বিভিন্ন আঠা, মোম ও অন্যান্য আরো রাসায়নিক ধুয়ে দূর করে গরম জল।
  • বাজার থেকে কিনে আনা সবজি যখন রান্না করবেন তখন রান্না করার আগে সবজিকে ১৫ থেকে ২০ মিনিট কুসুম গরম জলে কিছুটা লবণ মিশিয়ে ডুবিয়ে রেখে দিন। এরপর লবণ-জল থেকে উঠিয়ে তা আবার পরিষ্কার নর্মাল জল দিয়ে ভালো করে ধুয়ে নিন। তারপর রান্না করার প্রক্রিয়া শুরু করুন।
  • যেকোনো ফলমূল বাজার থেকে কিনে আনার পর তা সাথে সাথে ফ্রিজে রেখে দেবেন না। সব সময় ধুয়ে রাখবেন। এর জন্য একটি বড় পাত্র নিন এবং তার মধ্যে পরিমাণ মতো জল নিয়ে তা গ্যাসে দিয়ে কিছুটা গরম করে নিন। বেশি গরম করবেন না এমন গরম করুন যাতে আপনি আপনার একটি আঙুল জলের মধ্যে দিয়ে কিছু সময় ডুবিয়ে রাখতে পারেন। এরপর তাতে ১/২ চা চামচ পরিমাণ লবণ মিশিয়ে দিন। এবং সেই মিশ্রিত জলে ফল দিয়ে ১৫ থেকে ২০ মিনিট ভিজিয়ে রাখুন। এরপর পরিষ্কার জল দিয়ে ধুয়ে সংরক্ষণ করুন। এভাবে করে ধুলে ফরমালিনের পরিমাণ প্রায় ৯৮ শতাংশ পর্যন্ত দূর হয়ে যায়। খাওয়ার আগে আর একবার ধুয়ে তারপর খান।

বিশেষ টিপসঃ

  • কিছু কিছু ফল রয়েছে যেমন- আম লিচু ইত্যাদি, অনেক সময় এদের মধ্যে স্প্রে করার মাধ্যমে ফরমালিন দেয়া হয় যাতে গাড় বা উজ্জল রঙের দেখায়। তাই গাড় বা উজ্জল রঙের ফল কিনবেন না।
  • নিজেই ঘরে বসে ক্লিনার তৈরি করে নিন। এর জন্য এক চামচ লেবুর রসে, ১/২ চামচ বেকিং সোডা নিয়ে এতে ১ কাপ পানি দিয়ে ফল ও সবজিতে স্প্রে করুন। এরপর সংরক্ষণ করুন।
Article Categories:
Tips & Hacks

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *