যখন শাকসবজি এবং ফলের কথা আসে, তখন এগুলি খুব ক্ষীণ এবং কোনও স্পষ্ট কারণ ছাড়াই বাসি হয়ে যায়। খাদ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, সঠিকভাবে সংরক্ষণ ও পরিচর্যা করলে এগুলো বেশি দিন টিকে থাকতে পারে। আর এমনই একটি খাবারের আইটেম যার জন্য অত্যন্ত যত্নের প্রয়োজন তা হল- ‘আদা’। এটি এমন একটি খাদ্য আইটেম যা আমরা প্রায়শই প্রচুর পরিমাণে কিনে থাকি কিন্তু শুকনো এবং শক্ত হয়ে যাওয়ার সাথে সাথে তা ফেলে দিতে হয়।
রান্নায় আদার ব্যবহার অপরিহার্য। আদা সংরক্ষণ করার সঠিক উপায় জানা থাকলে তা বহুদিন ধরে সংরক্ষণ করে রাখা যায়। এখন প্রশ্ন উঠবে যে ‘এত ঝামেলার কি দরকার? বাজার থেকে দরকার মত কিনে নিলেই হয়!’ ঠিক। কিন্তু দিন দিন যে হারে জিনিসের দাম বাড়ছে তাতে এসব টিপস জেনে রাখা কিন্তু দরকার। জানা থাকলে একবারে কম দামে অনেকটা পরিমান আদা কিনে সংরক্ষণ করতে পারেন কেউ চাইলে।
নীচে উল্লিখিত কৌশলগুলি ব্যবহার করে শুধুমাত্র আদাকে তাজা রাখবে না বরং তাদের শেলফ লাইফও বাড়িয়ে ফেলা যাবে।
আদা সংরক্ষণ করার সঠিক ও সহজ উপায়ঃ
- আদা কেনার সময় সঠিক আদা বেছে নিন
- কাগজের ব্যাগ/তোয়ালে ব্যবহার
- রিসেলযোগ্য ব্যাগের ব্যবহার
- অ্যাসিডিক তরল ব্যবহার করা
- খোসা ছাড়িয়ে কিমা বানানো
- বায়ুশূণ্য থলের ব্যবহার
১. আদা কেনার সময় সঠিক আদা বেছে নিনঃ
আদা কেনার সময় একদম তাজা বা টাটকা দেখে কিনবেন। তাজা আদার মসৃণ ত্বক এবং একটি দৃঢ় টেক্সচার থাকে তাই কেনার সময় সেটা দেখে আদা বাছাই করুন। টাটকা আদা আকারের বড় ও ভারী হয়। নরম, কুঁচকানো, বা ছাঁচ দেখা যায় এমন টুকরোগুলি এড়ানোর চেষ্টা করুন কেনার সময়। আদা ভালো না কিনলে তা সংরক্ষণ করা কষ্টকর হয়। যাই করে নিন কয়েকদিনের মধ্যে তা খারাপ হয়ে যাবেই যাবে।
২. কাগজের ব্যাগ/তোয়ালে ব্যবহারঃ
একটি কাগজের ব্যাগ বা কাগজের তোয়ালেতে আদা সংরক্ষণ করার পরামর্শ দেওয়া হয়। তারপর এটি রেফ্রিজারেটরে রাখুন। নিশ্চিত করুন যে টুকরাগুলি যাতে সঠিকভাবে মোড়ানো হয়। এটা যেন কোন ভাবেই বাতাস এবং আর্দ্রতার সংস্পর্শে না আসে।
৩. রিসেলযোগ্য ব্যাগের ব্যবহারঃ
আদাকে তাজা এবং সুগন্ধযুক্ত রাখার আরেকটি সহজ উপায় হল পুরো টুকরোটিকে একটি পুনরুদ্ধারযোগ্য ব্যাগে রাখা এবং এটি থেকে বাতাস বের করে দেওয়া। এই কাজটি আদাকে এক মাসেরও বেশি সময় ধরে তাজা রাখতে পারে। এই ব্যাগে রেখে আদা ফ্রিজে স্টোর করুন।
৪. অ্যাসিডিক তরল ব্যবহার করাঃ
আপনি তাজা খোসা ছাড়ানো আদা একটি জারে অ্যাসিডিক তরলে ডুবিয়ে সংরক্ষণ করতে পারেন। লেবুর রস বা ভিনেগার হতে পারে এই অ্যাসিডিক তরল। আদা ব্যবহার করার আগে এর থেকে বের করে ভালো করে জলে ৩-৪ বার ধুয়ে নিয়ে তবেই ব্যবহার করবেন।
৫. খোসা ছাড়িয়ে কিমা বানানোঃ
শেফরা এটিকে খোসা ছাড়িয়ে এবং সূক্ষ্মভাবে কিমা করার পরামর্শ দেন সংরক্ষণ করার জন্য। আদা খোসা ছাড়িয়ে ভালো করে কুচি কুচি করে নিন। তারপরে একটি ট্রেতে রেখে ফিজে ঢুকিয়ে এটিকে জমাট বাঁধতে দেন। হিমায়িত আদার টুকরো একটি এয়ার-টাইট পাত্রে সংরক্ষণ করুন। এটি আদার স্বাদকে কয়েক মাস ধরে তাজা রাখে।
৬. বায়ুশূণ্য থলের ব্যবহারঃ
আপনি ভ্যাকুয়াম সিল ব্যাগে আদা সংরক্ষণ করতে পারেন। এর জন্য, আপনাকে যা করতে হবে তা হল একটি ভ্যাকুয়াম সিল ব্যাগে আদা রেখে, ব্যাগটি ভ্যাকুয়াম করে ফ্রিজে রাখুন। প্রয়োজন অনুযায়ী ব্যবহার করুন।