skip to content
CurryNaari
Welcome to Nandini’s world of cooking & more...

চটজলদি রান্না করতে মেনে চলুন এই ৬টি টিপস 

খাবার কড়াইয়ে টস করছে

রান্না করতে যতটা সময় লাগে, তার চাইতে বেশি সময় লাগে যোগাড়যন্ত্র করতে। সব মিলিয়ে রান্নাঘরে এতো সময় লেগে যায় যে আর কোন কাজ করার এনার্জি থাকে না। তাই চটজলদি রান্না করতে মেনে চলুন এই ৬টি টিপস। জেনে নিন বিস্তারিত আজকে এই থেকে। 

১. রান্নার আগে গুছিয়ে নিনঃ 

রান্না করার পূর্বে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র, বাসনকোসন, এবং মশলা ইত্যাদি গুছিয়ে নিন। হাতের কাছে সবকিছু থাকলে রান্না করা সহজ এবং দ্রুত হয়। সবচেয়ে ভালো হয় যদি সকালবেলা সারাদিনের কি কি রান্না করবেন তার একটা লিস্ট করে রাখেন। সেই অনুযায়ী জিনিস কিনবেন বা তৈরি করে রাখবেন। তাহলে রান্না করতে সময় অনেক কম লাগবে। 

ফ্রোজেন মশলা বাটা, মাছ-মাংস সকালে বা রান্না করার কয়েক ঘন্টা আগে বের করে রাখবেন। তাহলে রান্নার সময়ে সেগুলো নরম হওয়ার জন্য অপেক্ষা করতে হবে না। শুকনো মশলার কৌটাগুলোর গায়ে নাম লিখে রাখবেন, তাহলে খুঁজে পেতে সময় লাগবে না।

২. প্রযুক্তির ব্যবহার করুনঃ 

অটোমেটিক মেশিন আপনার রান্না তাড়াতাড়ি শেষ করতে সাহায্য করবে। বাজারের গুঁড়া মশলাতে প্রিজারভেটিভস থাকে। সেক্ষেত্রে বাড়িতেই আস্ত মশলা গ্রাইন্ডারে পিষে গুঁড়া করে নিতে পারেন। অনেকগুলো কুচি মশলা বা অন্যান্য আইটেম কুচি লাগলে মেশিনে কুচি করবেন। 

একসাথে অনেকগুলো ডিম সেদ্ধ করার মতো পাত্র না থাকলে মাইক্রোওয়েভে দিতে পারেন। একইভাবে ফুড প্রসেসরে মাংস বা অন্য কিছু সহজে কিমা করতে পারেন। 

তবে সবসময় যে প্রযুক্তির কল্যাণে রান্না ভালো হবে তা কিন্তু না। যেমন রাইস কুকারে ভাত রান্না করতে গেলে একটু হিসাব-নিকাশ করে জল দিতে হয়। আবার মেশিনে রান্না করা ভাতের স্বাদ হাতে করা ভাতের স্বাদের সাথে মিলে না৷ 

ওয়েয়িং মেশিন করে খাবার মেপে ব্যবহার বা রান্না করবেন। তাতে মাপ সঠিক হবে আর রান্না সহজ হবে। 

কিচেন থার্মোমিটার ব্যবহার করুন গরম তেল বা জলের আন্দাজ পাওয়ার জন্য। এগুলো ঠিক কতোটুকু গরম হয়েছে তা চোখে দেখে অনুমান করা কঠিন। তেল ঠিকমতো গরম না হলে খাবার ওভারকুকড বা আন্ডারকুকড রয়ে যায় আর ফুড পয়জনিংয়ের আশঙ্কা থাকে। 

৩. ছুরি-বটি ধার করুনঃ

গ্যাসে খাবার রান্নার সময়টা বাঁচালেও দেরি ঠিকই হবে যদি আপনার ছুরি-বটিতে ধার না থাকে। ভোঁতা ছুরি-বটি দিয়ে মাছ, মাংস, সবজি, ফল কাটতে অনেক সময় লেগে যায়। শেইপ থাকে না, এবড়োথেবড়ো কাটার ফলে পুষ্টিগুণ কিছুটা নষ্ট হওয়ার চান্স থাকে। 

অনেক কষ্টে কাটাকুটির পরে রান্না করতে গেলে তখন আর ধৈর্য্য থাকে না। রান্নাটাও বাজে হয়। আবার ছুরি ঠিকমতো ধরতে না জানলে কাটাকুটি হবে এলোমেলো। এতেও খাবারের শেইপ নষ্ট হয়ে যেতে পারে। 

তাই ধারালো জিনিসগুলো ধার দিয়ে রাখবেন। আর ছুরি দিয়ে কাটাকুটি করার সঠিক নিয়মটা জানবেন। তাতে কাটাকুটি হবে তাড়াতাড়ি, সাথে রান্নাও।

৪. ঠেসে রান্না করা যাবে নাঃ

কড়াই ভর্তি করে খাবার রান্না করতে গেলে খাবার সুসিদ্ধ করাটা বেশ কঠিন একটা ব্যাপার হয়ে যায়। কড়াই বা হাঁড়ির সাইজের তুলনায় খাবার ঠেসে ভরলে খুন্তি দিয়ে সহজে নাড়াচাড়া করা যায় না। ফলে নিচের খাবার তাড়াতাড়ি পুড়ে যায় কিন্তু উপরের খাবার কাঁচাই রয়ে যায়। নাড়াচড়া করতে গেলে খাবার বাইরে পড়ে নষ্ট হয়। 

তাই হয় ঠেসে রান্না করা এড়িয়ে যাবেন অথবা বড় বড় সাইজের কড়াইতে বা প্যানে রান্না করবেন। তাহলে খুন্তি চালানো কঠিন হবে না। খাবারে হিট সমানভাবে ছড়িয়ে যাবে। নাহলে খাবার সিদ্ধ হতে অনেক সময় নেবে। 

অনেক সময় সবজি, মাছ, মাংসের টুকরা বেশ বড় হলে কড়াই ভরে যায়। ছোট ছোট টুকরা করে কাটবেন এগুলো। তাতে রান্নার কড়াই ঠেসে থাকবে না আর টুকরাগুলো সহজে সিদ্ধ হবে। 

৫. লেফটওভার কাজে লাগানঃ 

প্রতি বার খাওয়ার পর কিছু না কিছু খাবার বেঁচে যায়। সেগুলোকে বিভিন্নভাবে কাজে লাগিয়ে রান্নার উপর চাপ কমাতে পারেন। পুররায় নতুন করে রান্না করার চাইতে লেফটওভার কাজে লাগিয়ে তাড়াতাড়ি খাবার তৈরি করা সম্ভব। 

লেফটওভার রাইস দিয়েই হরেক রকমের খাবার বানাতে পারেন। অনেকেই বাসি ভাত পেঁয়াজ, মরিচ, ডিম দিয়ে ভেজে খান। ভাত ভাজির পাশাপাশি রাইস বান বানাতে পারেন বার্গারের জন্য। 

মাংস বেঁচে গেলে তা ঝুরি করে বার্গার, টাকো, শর্মায় দিয়ে খেতে পারেন। মাংসের হাড় কয়েক ঘন্টা সিদ্ধ করে স্টক বানিয়ে ফ্রিজে রাখতে পারেন। লেফটওভার মিট বা ফিশ গ্রেভিতে দিয়ে পুনরায় হালকা রান্না করতে পারেন। 

লিকুইড খাবার, যেমন টমেটো সস, স্টক, স্ট্যু, স্যুপ, জুস, গ্রেভি ইত্যাদি একবারে অনেকটা তৈরি করে রাখবেন। একবার ব্যবহারের পরে বাকিটা ফ্রোজেন করে রাখুন। যখন যতটুকু দরকার হবে ফ্রিজ থেকে বের করে রাখবেন। নরমাল হওয়ার পরে ব্যবহার করবেন। এভাবে সংরক্ষণ করলে খাবার অনেকদিন পর্যন্ত ভালো থাকে আর খাওয়া যায়। 

৬. প্রি-হিট করে রাখুনঃ

প্যান প্রি-হিট না করলে রান্না করতে অনেক সময় লাগে। কিন্তু প্রি-হিট করে রাখলে প্যানে খাবার ঢালার কিছুক্ষণের মধ্যেই সিদ্ধ হয়ে যাবে। ফলে অনেক সময় বেঁচে যায়। একই নিয়ম পালন করুন ওভেনের ক্ষেত্রেও। খাবার বেক করার আগে ওভেন কিছুক্ষণ প্রি-হিট করে রাখুন। বেকিং তাড়াতাড়ি হবে। 

Article Tags:
·
Article Categories:
Tips & Hacks

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *