গ্রীষ্মের আগমনের সাথে সাথে বাড়িতে আরশোলা বা তেলাপোকার সংখ্যা বেড়ে যায়। তারা রান্নাঘর, বাথরুম এবং স্টোর রুমে সবচেয়ে বেশি দেখা যায় এইসময়। যাইহোক, অনেকে তাদের ঘর থেকে নির্মূল করার জন্য বিভিন্ন পদ্ধতির চেষ্টা করেন, যার মধ্যে কিছু প্রভাব ফেলে এবং কিছু সম্পূর্ণ অকার্যকর।
আজকাল এগুলো তাড়ানোর জন্যও বাজারে অনেক কিছু পাওয়া যায়। কিন্তু এই রাসায়নিকযুক্ত পণ্য ব্যবহার আমাদের স্বাস্থ্যের উপর খারাপ প্রভাব ফেলতে পারে। বিশেষ করে যেসব বাড়িতে ছোট শিশু বা পোষা প্রাণী থাকে, তাদের খুব সাবধানে এসব জিনিস ব্যবহার করা উচিত। এই দিকে খেয়াল রেখে এই রাসায়নিকযুক্ত পণ্যের পরিবর্তে ঘরোয়া উপায় অবলম্বন করে আরশোলা বা তেলাপোকা থেকে মুক্তি পেতে পারেন। এদের বাড়ি থেকে দূরে রাখতে এই টিপসগুলো ব্যবহার করুন।
১. তেজপাতার ব্যবহারঃ
তেজপাতার গন্ধ খুব শক্তিশালী। এর গন্ধ আরশোলা বা তেলাপোকা তাড়াতে যথেষ্ট। ঘরের কোণে যেখানে তেলাপোকা আছে সেখানে কিছু তেজপাতা ভালো করে মাখিয়ে ছড়িয়ে দিন। এতে করে আরশোলা ওই জায়গা থেকে পালিয়ে যাবে। সময়ে সময়ে, সেখান থেকে তেজপাতা পরিবর্তন করতে থাকুন, যাতে আরশোলা চিরতরে এই জায়গাগুলি থেকে চলে যায়।
২. কেরোসিন তেলের ব্যবহারঃ
কেরোসিন তেলের তীব্র গন্ধ আরশোলা তাড়াতে খুবই কার্যকরী একটি উপায়। এ জন্য ঘর পরিষ্কারের সময় জলে কেরোসিন তেল মিশিয়ে মুছে নিতে পারেন। শুধু তাই নয়, যেখানে আপনার হাত পৌঁছাচ্ছে না সেসব জায়গায় কেরোসিন তেল স্প্রে করতে পারেন। তবে অবশ্যই সামান্য জল মিশিয়ে নেবেন। এতে করে আরশোলা বা তেলাপোকা ঘর থেকে পালিয়ে যাবে একেবারের মত। সেসব জায়গায় আরশোলা ডিম পাড়ে সেসব জায়গায়ও তারা আর পা মারাবে না।
৩. বোরিক পাউডার কাজে লাগানঃ
ঘরের যেসব স্থানে আরশোলা নিজের পরিবার বানিয়ে রেখেছে সেখানে বোরিক পাউডার ছিটিয়ে দিন। নিশ্চয়ই তেলাপোকা সেখান থেকে পালিয়ে যাবে এবং আর বাসা বানাবে না। তবে যে ঘরে ব্যবহার করা হয়েছে তার দরজা বন্ধ রাখুন। এতে করে শিশু বা পোষা প্রাণী এখানে আসতে পারবে না।
৪. লবঙ্গের ব্যবহারঃ
সাধারণত লবঙ্গ খাবারের স্বাদ হিসাবে ব্যবহার করা হয়। তবে আপনি এটি বাড়ি থেকে আরশোলা বা তেলাপোকা তাড়াতেও ব্যবহার করতে পারেন। তেলাপোকা লবঙ্গের গন্ধ পছন্দ করে না, যার কারণে তারা এটি থেকে দূরে থাকে। তাই আপনার ফ্রিজ, রান্নাঘরের আলমিরা, আলনা ইত্যাদিতে ৪ থেকে ৫টি লবঙ্গ রেখে দিন। এসব আর জায়গায় তেলাপোকা আসবে না।
৫. বোরিক অ্যাসিড, ময়দা এবং চিনির মিশ্রণঃ
সমপরিমাণ বোরিক অ্যাসিড, ময়দা এবং চিনি নিয়ে একটি বলের মতো তৈরি করে নিন। ড্রয়ার, আলমারি, রান্নাঘরের তাকের কোন, ফ্রিজ ইত্যাদির নিচে রাখুন। আরশোলারা চিনি ও ময়দা খাওয়ার লোভে সেখানে আসবে এবং এতে পাওয়া বোরিক অ্যাসিড খেয়ে মারা যাবে। তবে এগুলো ব্যবহার করার সময়ও খুব সতর্কতা অবলম্বন করা দরকার। বাড়িতে শিশু বা প্রাণী থাকলে তাদের নাগালের বাইরে রাখুন।
৬. ঘরে যদি ফাটল থাকে তবে সেগুলি পূরণ করুনঃ
যদি আপনার রান্নাঘরের সিঙ্ক, টেবিল, আসবাবপত্র ইত্যাদিতে ফাটল দেখা দেয় তবে সাদা সিমেন্ট বা এমসিএলের সাহায্যে অবিলম্বে সেগুলি পূরণ করুন। আরশোলা এসব জায়গায় লুকিয়ে ডিম পাড়ে। আর তা থেকে ঘরে এদের উপদ্রব বাড়ে।
So nice tips
Good tips
Thank you 🙂