কাঁকড়া এনে খেতে ভালো লাগে মাঝে সাজেই। কিন্তু দাঁড় উকিয়ে হাতে কামড়ে ধরার ভয়ে অনেকেই কাঁকড়া বাড়িতে এনে বানাতে চান না আজকাল। আমার মত আনাড়ি যারা জ্যান্ত কাঁকড়া দেখেই ভয় পায় তাদের জন্য তো খুবই মুশকিলের ব্যাপার। অনেক রিসার্চ করার পর সবচেয়ে সহজ একটি কৌশল আমি খুঁজে পেয়েছি। যা জানার পর থেকে কাঁকড়া কাটা সহজ হয়ে গিয়েছে। আর জ্যান্ত কাঁকড়াকে টেনে হিঁচড়ে কাটার দরকারও পরে না। ওদের কোন প্রকার ব্যাথা অনুভবও হয় না। আজ বাড়িতে কাঁকড়া কাটার সবচেয়ে সহজ কৌশল স্টেপ বাই স্টেপ আপনাদের সাথে শেয়ার করছি। এই কৌশলে যেকেউ আরামসে কাঁকড়া কেটে নিতে পারবে। আর কাঁকড়াদেরও কোন কষ্টবোধ হবে না।
ক. বাড়িতে কাঁকড়া কাটার সবচেয়ে সহজ কৌশল স্টেপ বাই স্টেপঃ
স্টেপ বাই স্টেপ যেভাবে এখানে লিখছি তা অনুসরণ করলেই সহজে কাঁকড়া কেটে নিতে পারবেন।
প্রথম ধাপঃ
বাজার থেকে জ্যান্ত কাঁকড়া নিয়ে এলে তা ফ্রিজারে ৩০ মিনিট মত রেখে দিন। এতে তারা একদম বেহুঁশ হয়ে যাবে। ফলে কাটাকাটি করার সময় কোন অসুবিধা হবে না। ডাক্তার অপারেসানের আগে যেমন অজ্ঞান করে নেয় ঠিক সেরকমটাই অনেক। ৩০ মিনিটের বেশি ফ্রিজারে রাখবেন না।
দ্বিতীয় ধাপঃ
গ্যাসে বড় পাত্রে জল গরম করুন। জল ফুটতে শুরু করলে তাতে এক চামচ নুন মিশিয়ে দিন। তারপর ফ্রিজার থেকে বেহুঁশ কাঁকড়া বের করে এতে ১-২ মিনিট রাখুন। তারপর তুলে নিন।
তৃতীয় ধাপঃ
গরম জল থেকে কাঁকড়া তুলে নেওয়ার পর এর দাঁড়া ও পা ভেঙ্গে আলাদা করে দিন। তারপর একটি ব্রাশ দিয়ে ঘষে ঘষে পরিষ্কার করে ধুয়ে একটি পাত্রে রাখুন।
চতুর্থ ধাপঃ
কাঁকড়ার উল্টো দিকে ত্রিকোণ অংশ খুলে ফেলে দিন। তারপর এর মধ্যে একটা ছুরি ধুকিয়ে দুদিকের বাঁধন খুলে একটা চাপ দিয়ে উপসের খোলস উঠিয়ে দিন। খোলস খুলে শ্বাসযন্ত্র ফেলে দিন। মুখ ও আলগা অংশ খুলে ফেলে দিন। যে অংশ খোলসের ভিতরে ছিল তা ব্রাশ দিয়ে ভালো করে ঘষে আরেকবার পরিষ্কার করে নিন।
পঞ্চম ধাপঃ
খোলসের ভিতরের ঘিলু একটা বাটিতে ঢেলে শুধু খোলস ফেলে দিন। ধড় মাঝারী সাইজের হলে তা দু টুকরো করে নিন। আর নোড়া দিয়ে দাঁড়া গুলো হালকা ফাটিয়ে দিন। যাতে রান্নার সময় তেল মসলা এতে ভালো করে ঢুকতে পারে।