রোজ এক কাজ করতে আর কারই বা ভালো লাগে বলুন! রান্না করতে করতে মাঝে মাঝেই অনেকেই বিরক্ত হয়ে যান। সব কাজের ছুটি থাকলেও এই কাজের তো আর কোন ছুটি নেই। বরং যেদিন বাকি সকলের ছুটি সেদিন রান্নাঘরে কাজের চাপও বেশি। এরকম অবস্থায় মাঝে মাঝেই মনে হয় ‘উফ কবে যে এসব পাট চুকবে’! তবে চুকবে বললেই তো আর হবে না। যতই বিরক্ত লাগুক না কেন না রেঁধে সবাই না খাইয়েও তো শান্তি নেই রাঁধুনিদের। আমার মত সবার একই অবস্থা। তা এসব বিরিক্ত টিরিক্ত দূরে রেখে মজাদার করে তুলুন রান্নাকে। একঘেয়ে রান্নার বিরক্তি কাটিয়ে তুলুন সিম্পল ৫টি বিষয় দিয়ে।
১. রান্না করতে করতে গান শুনুনঃ
রান্না করতে করতে গান শুনুন নিজের পছন্দের। হাসছেন? করে তো দেখুন একবার। রান্না করার সময় গান শুনলে দেখবেন রান্না করার একঘেয়েমি আপনার অজান্তেই কেটে গিয়েছে। খেয়াল করে দেখবেন চায়ের দোকানে একটা পুরনো রেডিও বা আজকাল ছোট বক্স গান শোনার জন্য রাখা থাকে। হ্যাঁ গ্রাহকদের মনোরঞ্জনের সাথে সাথে দোকানীর সারা দিনের রান্নাবান্নার ক্লান্তিও এতে কেটে যায়।
২. কিচেন টুলসকে প্রিয় বন্ধু বানিয়ে নিনঃ
রান্না করতে যত সময় লাগে না কেন তার চেয়ে অনেক বেশি সময় লাগে রান্নার আয়োজন করতে। কাটাকাটি বাঁটাবাঁটি আরও কত কি! এসব কাটা বাটার ঝামেলা কমাতে নানা রকমের কিচেন টুলস ব্যবহার করুন। সব জিনিস দামি হয় না আজকাল সস্তায় অনেক জিনিস পাওয়া যায় যা দিয়ে সহজেই কম সময়ের রান্নার আয়োজনের অনেক কাজ হয়ে যায়। বন্ধু পাতিয়ে নিন এগুলোর সাথে। দেখবেন কাটা বাটার সময় বাঁচবে আর রান্নাও দ্রুত হবে। তাছাড়া একবার এগুলোর সাথে অভ্যাস হয়ে গেলে রান্না করাটাও মজাদার হয়ে উঠবে।
৩. নতুন নতুন এক্সপেরিমেন্ট করুন খাবারেরঃ
সেই একই রোজকার পদ ঘুরিয়ে ফিরিয়ে বানানোর বদলে নতুন কিছু ট্রাই করুন। কখনো যে খাবারগুলো আগে বানাননি তা বানিয়ে ফেলুন। নতুন নতুন রেসিপি নিয়ে এক্সপেরিমেন্ট করুন। সপ্তাহে অন্তত দুটো থেকে তিনটে নতুন পদ বানান। ভালো বই মন্দ লাগবে না। আর রান্না করার বিরক্তি ভাব বলেও কিছু মনে হবে না।
৪. খাবার পরিবেশনে মন দিনঃ
নিজের বানানো খাবার নতুন নতুন স্টাইলে সাজিয়ে পরিবেশন করুন। বিশ্বাস করুন এটা করার আনন্দেই রান্না করার কাজ আর বিরক্তিকর লাগবে না। একবার করে তো দেখুন।
৫. নতুন নতুন উপকরণঃ
রান্নার যে উপকরণ আগে কখনো ব্যবহার করেননি তা দিয়ে রান্না করুন। নতুন কিছু ট্রাই করার মজাই আলাদা। নিজেই নিজেকে রান্নার চ্যালেঞ্জ দিন। যেমন ‘আজ আমি এই পাঁচটা জিনিস দিয়ে স্পেশাল কিছু একটা খাবার বানাবো’। পাশ করুন বা ফেল এটা করার আনন্দই রান্নাকে মজাদার করে দেবে আপনার কাছে। রোজকার রান্নার বিরক্তি ভাবই যখন থাকবে না, তখন দেখবেন রেঁধে খাওয়াতে আর খেতে দুই বেশি মজাদার হয়ে উঠবে।