শীত এলেই বাজারে প্রচুর মুলো পাওয়া যায়। স্যালাডের সাথে টাটকা মুলো খাওয়া ভালো, এর সাথে এটি অনেক ধরণের খাবারেও ব্যবহৃত হয়। এখন শীতকাল তাই মুলোর পরোটাও খেতে দারুন লাগে। এর পাশাপাশি শীতকালে মুলোর আচার ও মুলোর রাইতার স্বাদও দারুণ। কিন্তু এই সব খাবারের স্বাদ তখনই ভালো লাগে যখন মুলো টাটকা এবং মিষ্টি হয়। কখনও কখনও তেতো মুলো আমাদের খাবারের স্বাদ নষ্ট করে। সেজন্য আমাদের খুব সাবধানে মুলো কেনা উচিত। ভালো মুলো বাছাই করা একটু কঠিন হলেও আমরা যদি কিছু বিষয় মাথায় রাখি তাহলে খারাপ মুলো কেনা এড়াতে পারি। এটা কেনার সময় আমাদের শুধু কয়েকটা বিষয়ের দিকে নজর দিতে হবে, কিভাবে? আসুন জেনে নিই।
ক. মুলোর শাক তাজা হতে হবেঃ
মুলো কেনার আগে আমাদের এর মাথার উপরে থাকা শাক দেখে নেওয়া উচিত। যদি শাকগুলি তাজা এবং সবুজ হয় তবে এর অর্থ হল মুলো তাজা বা টাটকা ও স্বাদের মিষ্টি। কারণ সবুজ শাকগুলি কয়েক দিন পরে হলুদ হয়ে যায়। তবে অনেক সময় এমন হয় যে আমরা তাজা সবুজ শাক বুঝে মুলো মিষ্টি হবে কিনা ধরতে পারি না, তখন এমন পরিস্থিতিতে গন্ধ থেকেই আন্দাজ করা যায়। মিষ্টি জলে মুলো শাকে একটা সুন্দর গন্ধ থাকবে। গন্ধ না থাকলে জানবেন সেই মুলো না টাটকা না মিষ্টি।
খ. শক্ত মুলো কেনা ভালোঃ
যদি এটি না জানেন তবে আসুন আপনাকে বলি যে শক্ত মুলো স্বাদে ভালো। কথিত আছে যে শুধু নরম মুলোর স্বাদই খারাপ হয় না, তা ঠিকমতো রান্না হয় না। তাই শক্ত মুলো কেনা ভালো, তবে খেয়াল রাখবেন মুলো যেন শুকনো না হয়। এছাড়াও, আপনি মুলো ভেঙ্গে দেখতে পারেন যে এটি সহজেই ভেঙ্গে যায় কিনা, তাহলে অবশ্যই সেই মুলো তাজা।
গ. রঙ দেখে আন্দাজ করা যায়ঃ
আপনি রং থেকেও বিচার করতে পারেন যে মুলো তাজা কি না। যাইহোক, অনেক ধরনের মুলো রয়েছে, যেগুলির রঙ এবং গঠন ভিন্ন হতে পারে। যেমন লাল মুলোকে বলা হয় ঝাঁঝালো মুলো। আবার সাদা মুলো হালকা এবং সামান্য মিষ্টি। কালো মুলোর স্বাদও সাদা মুলোর চেয়ে কিছুটা আলাদা। তাই মিষ্টি মুলো কিনতে হলে সাদা মুলো বেছে নিন।
ঘ. মুলা কেনার সময় মানের দিকে খেয়াল রাখুনঃ
আজকাল বাজারে অনেক রকমের মুলো পাওয়া যায় যেমন- লাল মুলো, জাপানি মুলো, পুসা দেশি মুলো, পুসা চেটকি মুলো, আরকা নিশান্ত মুলো। তাই, মুলো কেনার সময়, শুধুমাত্র এর গুণমানের দিকে মনোযোগ দিন কারণ কিছু লোক নিম্নমানের মুলো কিনে বেশি দামে বিক্রি করে। সেজন্য মুলোর গুণাগুণ বিবেচনা করেই মুলো কেনা ভালো হবে।