পাতিলেবুর অনেক গুণ সেটা আমরা জানি। তাই আমরা লেবু আমাদের খাবারের মধ্যে বেশি করে ব্যবহার করতে চাই। যারা স্যালাড খান তাঁরা বেশি করে লেবু ব্যবহার করেন স্যালাডে। কিন্তু স্যালাড যারা খান না তারা কিভাবে ব্যবহার করবেন লেবু? স্যালাড ছাড়াও অন্য অনেক ভাবে রান্নায় পাতিলেবু ব্যবহার করা যেতে পারে।
১. ঝাল কমাতেঃ
রান্নায় হঠাৎ যদি দেখেন বেশি ঝাল হয়ে গেছে তাহলে অল্প লেবু ব্যবহার করুন। লেবুর রস লঙ্কার টেম্পার কমিয়ে আনবে। রান্নায় ঝাল কমে আসবে সহজেই আর স্বাদের মধ্যেও একটা চটপটা ভাব আসবে।
২. নুন বেশি হলেঃ
অনেক সময়ে রান্নায় নুন বেশি হয়ে যায় আমাদের। তখন অর্ধেক লেবু নিয়ে সেই রস দিয়ে দিন রান্নায়। এতে অতিরিক্ত নুনের স্বাদ ব্যাল্যান্স হয়ে যাবে। আর খুব একটা যে টক ভাব আসবে তাও নয়।
৩. ম্যারিনেট করতেঃ
আমরা অনেক সময়ে রান্না করার আগে কোনও কিছু ম্যারিনেট করি। সেই ম্যারিনেট করার সময়ে সেখানে যদি অল্প লেবুর রস দিয়ে দেন তাহলে খুবই ভাল হয়। এতে খাবারের স্বাদ ভাল হয় আর টেন্ডার ভাব বেশি আসে। আপনি যদি মাটন ম্যারিনেট করার সময়ে অল্প লেবুর রস দেন বা মাছ করার সময়ে, তাহলে খুব টেন্ডার হয়।
৪. চাটনির মধ্যেঃ
চাটনি খাওয়ার সময়ে তার মধ্যে লেবু দিয়েছেন? একবার দিয়ে দেখুন। চাটনি খাওয়ার সময়ে তার মধ্যে অল্প একটু লেবুর রস দিন। ভাল করে মিশিয়ে নিন। যে কোনও চাটনির ক্ষেত্রেই এটি চলবে। এবার খেয়ে দেখুন। এই টক ভাবের অন্যই স্বাদ।
৫. আচারের মধ্যেঃ
আচারের মধ্যে লেবুর রস শুধু স্বাদ বাড়ানোর জন্যেই যে দেওয়া হয় তা নয়। এর অন্য একটি গুণ আছে। আমরা আচার অনেক দিন রাখার জন্য রোদে দিই, এর মধ্যে তেল দিই। কিন্তু লেবুর রস দিলেও আচার খুব ভাল থাকে অনেক দিন। লেবুর রস আচারের ক্ষেত্রে সংরক্ষণের কাজ করে।
৬. লেবু নারকেল রাইস বানানঃ
এটি একটি অন্যরকম খাবার। মূলত গ্রিলড কিছুর সঙ্গে এটি খেতে পারেন। এটি একটু স্টিকি ধরণের রাইস হয়। জ্যাসমিন রাইস দিয়ে এটি ভাল হয়। এটি তৈরি করার জন্য নারকেলের দুধ ব্যবহার করা হয়। চাল ফুটে আসলে এই দুধ আর লেবুর রস দিতে হয়। এটি খুব ভাল খেতে হয়।
আমরা এভাবে অনায়াসেই রান্নায় নানাভাবে লেবুর রস ব্যবহার করতে পারি। শুধু স্যালাড কেন, এখন তাই নানাভাবে লেবু এনজয় করুন।