মিজোরামের লাল লঙ্কা যা ধানি লঙ্কা নামেও পরিচিত বাংলায়, তা দিয়ে আচার বানালে সত্যি তা এক প্রকারের ধামাকা। কিন্তু সেই ধামাকা হয় মুখের ভেতর। কথায় আছে না সাইজ ছোট কিন্তু ঝাঁজ অনেক। এটা সেরকম প্রকারের। শীতকালে এক পিস এই আচারের লঙ্কা তীব্র কনকনে ঠাণ্ডাকে কমিয়ে দিতে পারে নিমেষের মধ্যে। ঝাল খেতে যারা খুব পছন্দ করেন তাও আবার কাঁচা লঙ্কার তাহলে মিজোরামের লাল লঙ্কার আচার তাদের জন্য আদর্শ। আর এই আচারের তেলও কিন্তু সন্ধ্যের মুড়ি মাখার স্বাদ ডবল করতে ওস্তাদ। চলুন যা নিয়ে এত কথা সেই মিজোরামের লাল লঙ্কা বা বাংলার ধানি লঙ্কার আচার বানানোর সহজ রেসিপি দেখে নেওয়া যাক।
ক. উপকরণঃ
- মিজোরামের লাল লঙ্কা ৫০ গ্রাম
- রসুনের কোয়া ১৫-১৬টা
- ১/২ ইঞ্চি আদা লম্বা করে কাটা
- ১/২ কাপ সরষের তেল
- কাঁচের বোতল
- নুন স্বাদ অনুযায়ী (নুন দিলে লঙ্কার এরমা চলে যায় অনেকটা, তাই আমি যোগ করিনি)
খ. মিজোরামের লাল লঙ্কার আচার বানানোর পদ্ধতিঃ
লঙ্কা প্রথমে ভালো করে পরিষ্কার করে ধুয়ে জল ঝরিয়ে নিন। তারপর শুকনো সুতির কাপড়ে মুড়ে ভালো করে লঙ্কার গায়ে লেগে থাকা জল মুছে নিন। লঙ্কার বোটা ছাড়িয়ে একটি পাত্রে রাখুন। তারপর ১৫-১৬ টা রসুনের কোয়া টুকরো টুকরো করে কেটে নিন। ১/২ ইঞ্চি আদা পাতলা করে লম্বা লম্বা কাটুন। কাঁচের বোতল আগে থেকেই গরম জলে পরিষ্কার করে শুকিয়ে রাখুন।
কাঁচের বোতলে প্রথমে লঙ্কা গুলো রাখুন। তারপর এতে এক এক করে কেটে রাখা আদা ও রসুন যোগ করুন। তারপর ১/২ কাপ সরষের তেল ঢেলে দিন। আমি নুন যোগ করিনি। কারন তাতে এরমা বা গন্ধ অনেকটা চলে যায়। আপনারা দিতে চাইলে ১/২ চামচ সাদা নুন যোগ করতে পারেন। এবার ঢাকনা বন্ধ করে রোদে এক সপ্তাহ রাখুন কয়েক ঘণ্টা করে। মিজোরামের লাল লঙ্কার আচার রেডি হয়ে যাবে। সেদ্ধ ভাতে হোক বা মুড়ি মাখাতে, এই আচারের স্বাদ মুখে লেগে থাকার মত।
বিশেষ টিপসঃ
- বাজারে সবজি আলাদের বলে দিলে ওরা এনে দেয় এই লঙ্কা। যদি না পান অনলাইনে পেয়ে যাবেন।
- আচারে দেওয়া সরষের তেল আগে গরম করবেন না। একদম কাঁচা সরষের তেল যোগ করবেন।
- এক সপ্তাহ কড়া রোদে অবশ্যই রাখতে হবে। রোদের তাপ কম হলে ১২-১৪ দিন মত রোদে দেবেন।
- এক বছরের ওপর রাখতে চাইলে মাঝে মাঝে কড়া রোদে আচারের বোতল রেখে দেবেন, ভালো থাকবে।