আজকাল আগেকার দিনের মত শাক চচ্চড়ি বানানোর ইচ্ছে কমে গিয়েছে লোকজনের কাছে। বিশেষ করে শহরের মানুষের কাছে। গ্রামে গেলে মাটির গন্ধের সুবাস যেমন পাবেন তেমনই পাবেন বেড়ার রান্নাঘরের জানলা থেকে ভেসে আসা, নানা গ্রাম্য সহজ সরল খাবারের গন্ধ। নানা ধরণের শাক ভাজা থেকে শুরু করে শিলে বাটা নানা ভর্তার স্বাদ আজও পাওয়া যায় গ্রামের বাড়ি গেলে।
সেরকমই একটি পদ পুঁইশাক মাছের মাথা আর নানান সবজি দিয়ে। খুবই সহজ এটি বানানো। আজকাল বাজার থেকে পুঁইশাক আনলে ফ্রিজে রাখা মাছের মাথা দিয়ে আমি মাঝেমধ্যে এটা বানাই। বিশ্বাস করুন যেদিন এটা বানাই এই একটি পদ দিয়ে শান্তি করে দুপুরের খাওয়া শেষ করি বাড়ির সবাই।
উপকরণঃ
- পুঁইশাক এক বড় বাটি
- মাছের মাথা নুন হলুদ মাখানো
- আলু, বেগুন, কুমড়ো এক বাটি
- একটা টমেটো কুচি
- আদা বাটা ২ চামচ
- রসুন কুচি করা ২ চামচ
- পেঁয়াজ ঘষে নেওয়া ছোট এক বাটি
- কাঁচা লঙ্কা ৪-৫ টা
- শুকনো লঙ্কা ২ টি
- কালোজিরে ১/২ চামচ
- হলুদ গুঁড়ো ১ চামচ
- লঙ্কার গুঁড়ো ১ চামচ
- জিরে গুঁড়ো ১/২ চামচ
- ধনে গুঁড়ো ১/২ চামচ
- চিনি এক চিমটে
- সরষের তেল ১/২ কাপ
পদ্ধতিঃ
কড়াইয়ে সরষের তেল দিয়ে গরম করুন। তেল গরম হলে তাতে নুন হলুদ মাখা মাছের মাথা দিয়ে ভালো করে ভেজে নিন। ভাজা হয়ে গেলে তুলে রাখুন। এবার এই তেলে কালোজিরে ১/২ চামচ,কাঁচা লঙ্কা ৪-৫ টা, শুকনো লঙ্কা ২ টি দিয়ে ফোঁড়ন দিন। তারপর এতে রসুন কুচি করা ২ চামচ দিয়ে হালকা ভাজুন। তারপর এতে আলু, বেগুন, কুমড়ো ডুমো ডুমো করে কাটা এক বাটি যোগ করুন। কয়েক মিনিট ভাজুন।
ভাজা হলে হলুদ আর লঙ্কার গুঁড়ো দিয়ে ভালো করে কষান। তারপর এতে পেঁয়াজ দিন। পেঁয়াজের কাঁচা গন্ধ না যাওয়া অব্ধি রান্না করুন কম আঁচে। এতে এবার আদা বাটা দিন ২ চামচ। খানিকক্ষণ কষানো হলে এতে টমাটোর কুচি যোগ করুন। তারপর দিন জিরে গুঁড়ো ১/২ চামচ, ধনে গুঁড়ো ১/২ চামচ। মিশিয়ে নিয়ে এতে যোগ করুন পুঁইশাক ডাটা সহ। দিয়ে দিন স্বাদ অনুযায়ী লবণ।
ঢেকে কম আঁচে মিনিট ২০-২৫ রান্না করলে শাক ডাটা সহ সেদ্ধ হয়ে যাবে। তারপর ঢাকনা খুলে চিনি এক চিমটে আর মাছের মাথা ভাজা দিয়ে মিশিয়ে নিন। জল মজিয়ে মাখা মাখা হলে গরম গরম ভাতের সাথে পরিবেশন করুন পুঁইশাক মাছের মাথার এই পদ।