আমরা সপ্তাহান্তে অপেক্ষা করি ভালো কিছু বানাতে বা খেতে কারণ সপ্তাহে কাজের ব্যস্ততায় হাতে অনেক সময় থাকে না। সেই কারণেই মাটন বা মুরগির মাংসই তৈরি করা হয় ছুটির দিনে। মাছ মোটামুটি প্রায় রোজ খাওয়া হয়েই থাকে বাঙালি বাড়িতে। তবে প্রতিবার মাছকে সুস্বাদু করা একটি বিশাল কাজ এবং একই রেসিপির কারণে খুব বেশি উত্তেজনা থাকে না রোজ রোজ মাছ বানানোর।
এমতাবস্থায় আপনার কাছে যদি থাকে কোনো জাদুর কৌশল বা কোনো অনন্য রেসিপি, যা থেকে তৈরি করা যায় সুস্বাদু মাছ। এমনকি এটি তৈরি করতে আমাদের কঠোর পরিশ্রম করতে হবে না। একবারের জন্য বাড়িতে মাছের মসলা তৈরি করে রাখলেই রোজ রোজ মাছের স্বাদ হবে দ্বিগুণ। সে যে রেসিপি বানান না কেন! হ্যাঁ, আজকে মাছের মসলা তৈরির একটি সহজ রেসিপি নিয়ে এসেছি, যার সাহায্যে এর যেকোনো আইটেম হয়ে উঠবে সুস্বাদু।
মাছের মসলা বা ফিস কারি মসলা আসলে কি?
মাছের মসলা, যা প্রতিটি মাছের খাবারে যোগ করা হয়। এটি ভাজা পেঁয়াজ, আস্ত মসলা মিশিয়ে তৈরি করা হয়। চলুন দেখে নেওয়া যাক কি কি দিয়ে কিভাবে এটা বানিয়ে নেবেন।
ফিস কারি মসলা বানাতে কি কি লাগবেঃ
- দুটো বড় সাইজের পেঁয়াজ (ভাজা)
- তেজপাতা ২ টো
- রসুনের গুঁড়ো ১ চা চামচ
- আদা গুঁড়ো ১ চা চামচ
- কালো এলাচ ৩ টে
- জিরা ১ চা চামচ
- জায়ফল এক টুকরো
- আমচুর গুঁড়ো ১ চা চামচ
- হলুদ গুঁড়ো ১ চা চামচ
- শুকনো লাল লঙ্কা ১০-১২ টা
- সরিষা দানা ১ চা চামচ
- হিং ১/২ চা চামচ
কিভাবে তৈরী করবেনঃ
প্রথমে একটি প্যানে পেঁয়াজ কুচি দিয়ে হালকা ভেজে নিন। তারপর পুরো মসলা দিয়ে দিন। কয়েক মিনিট রান্না করুন নেড়েচেড়ে। তারপর একটি নন-স্টিক প্যানে সমস্ত মসলা মাঝারি থেকে কম আঁচে সুগন্ধি না হওয়া পর্যন্ত শুকিয়ে নিন। মসলা থেকে সুন্দর গন্ধ আসতে শুরু করলে গ্যাস বন্ধ করে দিন। মসলাগুলো ঠাণ্ডা হতে দিন।
পুরোপুরি ঠাণ্ডা হয়ে গেলে মিক্সার গ্রাইন্ডারে রেখে মিহি গুঁড়ো করে নিন। ফিস কারি বা মাছের মসলা প্রস্তুত, যা আপনি সহজেই ব্যবহার করতে পারেন।
কিভাবে ব্যবহার করবেনঃ
এই মসলা ব্যবহার করতে হলে মাছের খাবারে ব্যবহার করতে হবে। তবে এর সাথে অন্যান্য মসলা যোগ করবেন না কারণ স্বাদ খুব তিক্ত এবং অকেজো হবে। বাকি আদা রসুন যা রান্নায় দিতে চান দিতে পারেন। এখানে থাকা মসলা দেবেন না এক্সটা। আর রান্নার মাঝামাঝি পর্যায়, পরিমান বুঝে চামচের মাপে মসলা যোগ করবেন।