ভর্তা বা নানা রকমের বাটা আছে বলেই এই গরমে শান্তি করে দুমুঠো ভাত খাওয়া যায়। তাছাড়া মাছ মাংস বা সবজি খেতে খেতে একঘেয়ে লাগে অনেকেরই মাঝে মধ্যে। তিলের বড়া, নাড়ু যেমন ভাল লাগে খেতে তেমনই টেস্টি খেতে তিলের ভর্তা। একবার যদি তিল বাটা এই ভর্তা খেয়ে দেখেন তাহলে বারবার খাবেন গ্যারান্টি আমার। বাংলার অনেক পুরনো রেসিপি এই তিল ভর্তা। মাঝে মাঝে করে খান বা খাওয়ান। খেতেও ভালো লাগে আর নিজেদের রন্ধন প্রণালীর সাথে আরও জুড়ে জুড়ে থাকা যায় আজকালকার আধুনিক খাবার দাবারের মাঝে। ঘরে থাকা সামান্য উপকরণ আর সাদা তিল দিয়ে ইচ্ছে হলেই বানিয়ে নেওয়া যায় এই পদ।
ক. তিল ভর্তা বানানোর উপকরণঃ
- সাদা তিল ১০০ গ্রাম
- সরষের তেল ৪ চা চামচ
- শুকনো লঙ্কা ৪-৫ টা
- রসুন কোয়া ২০-২৫ টা
- বড় সাইজের একটা পেঁয়াজ কুচি
- নুন স্বাদ অনুযায়ী
খ. তিল ভর্তা বানানোর পদ্ধতিঃ
সাদা তিল একটি শুকনো পরিষ্কার প্যানে দিয়ে হালকা ভেজে নিন। শুকনো ভাজবেন তেল দেবেন না। গ্যাসের আঁচ মিডিয়াম টু লো রেখে ক্রমাগত নাড়তে নাড়তে রঙ বদল আর ক্রিস্পি হওয়া পর্যন্ত ভাজবেন।
ওই প্যানে চার চামচ সরষের তেল দিয়ে গরম করে নিন। তেল গরম হলে তাতে শুকনো লঙ্কা দিন, আর ভাজুন।
লঙ্কা ভাজা হলে তুলে নিন। তাতে রসুন কোয়া দিয়ে দিন। রসুন কোয়া নরম হওয়া পর্যন্ত কম আঁচে ভাজুন।
রসুন নরম হয়ে এলে এতে পেঁয়াজ কুচি দিয়ে ভেজে নিন হালকা বাদামী করে।
শিল পাটা নিয়ে তাতে প্রথমে শুকনো লঙ্কা ভাজা সামান্য নুন দিয়ে পিষে নিন।
ভাজা শুকনো লঙ্কা পিষা হয়ে গেলে এতে তিল দিয়ে বাটুন। জল দেবেন না, সরষের তেল সামান্য দিয়ে বাটবেন।
তিল অর্ধেক বাটা হলে ভাজা পেঁয়াজ রসুন তেলসহ দিয়ে ভালো করে বেটে নিন।
একদম ভর্তার মত করে সব বাটা হয়ে গেলে একটি বাটিতে তুলে স্বাদ অনুযায়ী নুন মাখিয়ে নেবেন।
গরম গরম ভাতের সাথে জমিয়ে খান এই গরমে তিলের এই দুর্দান্ত ভর্তা।