করলা এমনই একটি সবজি যা সুস্বাদু এবং স্বাস্থ্যকরও বটে। আপনি যদি এটি আপনার খাবারে অন্তর্ভুক্ত করেন তবে আপনি কখনই অসুস্থ হবেন না। চিকিৎসকরা বিশেষ করে ডায়াবেটিস রোগীদের করলা খাওয়ার পরামর্শ দেন। তবে খেতে খুব তেতো লাগে। তাই শিশুরা ভুলেও এটি স্পর্শ করে না। অনেকেই আছেন যারা করলার তিক্ততার কারণে এটি তাদের খাবারে অন্তর্ভুক্ত করেন না। আপনার ক্ষেত্রেও যদি এমন হয়ে থাকে, তাহলে এই টিপসটি ব্যবহার করে দেখুন। এই টিপস করলার তিক্ততা দূর করবে এবং করলা খুব সুস্বাদু করে তুলবে।
১. করলার খোসা ছাড়িয়ে নিনঃ
করলার তিক্ততা দূর করতে চাইলে ওপর থেকে খোসা ছাড়িয়ে নিন। এতে উপস্থিত সমস্ত রুক্ষ ত্বক মুছে ফেলুন। কারণ এই ত্বকেই তিক্ততা আছে। তবে তা ফেলে দেবেন না। বরং এতে সামান্য লবণ মিশিয়ে রোদে শুকিয়ে নিন। কারণ এতে রয়েছে সব ধরনের পুষ্টি উপাদান। পরে মসলা দিয়ে ভাজুন। এতে করে করলার স্টাফিং তৈরি হয়ে যাবে এবং তেতো স্বাদ হবে না। বরং করলার স্বাদ আরও ভালো করে তুলবে।
২. করলার বীজ আগে সরিয়ে ফেলুনঃ
করলা কাটার আগে এর সব বীজ তুলে ফেলুন। কারণ করলার বীজেও তিক্ততা থাকে এবং খাওয়ার সময় মুখে এলে মুখের স্বাদ নষ্ট হয়ে যায়।
৩. লবণ যোগ করুনঃ
করলার তিক্ততা লবণ দিয়েও দূর করা যায়। লবণে উপস্থিত খনিজ উপাদান করলার তেতো রস দূর করে। এর জন্য করলার মধ্যে লবণ দিন এবং একটি পাত্রে ২০ থেকে ৩০ মিনিট রাখুন। কিছুক্ষণ পর দেখবেন করলা থেকে জল ছাড়ছে। এটি করলার তেতো রস। ৩০ মিনিট পর করলা থেকে সব জল বেরিয়ে এলে এর সবজি তৈরি করুন। এই প্রক্রিয়ার পরে, করলা দিয়ে তৈরি সবজি বানালে তেতো স্বাদ পাবে না।
৪. করলার তিক্ততা দূর করতে দইঃ
করলার তিক্ততা দূর করতেও দই ব্যবহার করা যেতে পারে। করলা ছোট ছোট টুকরো করে কেটে দইয়ে এক ঘণ্টা রেখে দিন। এতে করে করলার সমস্ত তিতা দই শোষণ করে নেবে এবং করলা খেতে তেতো লাগবে না। পরে এই দইয়ে চিনি মিশিয়ে খান। এতে চিনির পুষ্টিগুণ আরও বেড়ে যাবে।
৫. পেঁয়াজ এবং মৌরির ব্যবহারঃ
করলা ভাজা বা ভুজিয়া বানাতে চাইলে পেঁয়াজ ও মৌরি ব্যবহার করুন। কারণ করলার ভুজিয়া তৎক্ষণাৎ তৈরি করতে হলে উপরের দেওয়া টিপসগুলো সে সময় কাজে আসবে না। এক্ষেত্রে করলা ছোট ছোট করে কেটে নিন। তারপর প্রথমে তেলে মৌরি দিন তারপর ছোট তিনটি পেঁয়াজের ছোট টুকরো দিন। এবার কিছুক্ষণ ভাজুন। এরপর করলার ছোট টুকরো ও স্বাদ অনুযায়ী লবণ দিয়ে ভেজে নিন। এতে করে আপনার করলার স্বাদ তেতো হবে না।