প্রত্যেক দেশেই নিজস্ব কিছু স্ট্রিট ফুড থাকে যা খাওয়া বা টেস্ট করার জন্য অনেক স্থান থেকেই মানুষের আনাগোনা দেখা যায়। বাংলাদেশও এই তালিকা থেকে বাদ নয়। এখানেও এমন অনেক স্ট্রিট ফুড রয়েছে। তার মধ্যে সেরা দশটি স্ট্রিট ফুডের সাথে পরিচিত হয়ে নেওয়া যাক।
১. ফুচকাঃ
বাংলাদেশি স্ট্রিট ফুডের তালিকায় সর্বপ্রথম যে নামটি আসে তা হলো ফুচকা। বাংলাদেশে এমন কোন জেলা নেই যেখানে খোঁজ করলে ফুচকা প্রেমিক পাওয়া যাবে না। মেয়েরা এই লিস্টে সবার আগে থাকে। গোল গোল মুচমুচে ফুচকার মধ্যে ঘুগনি ও আলুর সংমিশ্রণে তৈরি পুর দেয়া হয়। এটাই ফুচকাকে মজার বানানোর প্রধান উপাদান। সাথে রয়েছে টক জল। এছাড়াও পুর ও টকের মধ্যে অনেক মসলা দেওয়া হয় স্বাদের জন্য।
২. ভেলপুরিঃ
ভেলপুরিও বাংলাদেশের একটি জনপ্রিয় স্ট্রিট ফুড। এটা ফুচকা থেকে আকৃতিতে বেশ বড় হয়। এটার পুরিটি নরমাল পুরির মতো নরম হয় না। একটু মোটাও হয় সেই সাথে মুচমুচে। এর ভিতর ঘুগনি, মরিচ ও পেঁয়াজ কুঁচি এবং আরো কিছু মসলা যোগ করে একটি মিশ্রণ তৈরি করে দেয়া হয়। এর উপর দিয়ে শশা, টমেটো, গাজর কুঁচি দিয়ে সালাদ করে দেয়া হয়। তার সাথে রয়েছে টক পানি ও বিট লবণ।
৩. ঝালমুড়িঃ
বাংলাদেশি স্ট্রিট ফুডের মধ্যে ঝালমুড়ির কদরও কম নয়। অলিতে গলিতেই আপনি খুব সহজে ঝালমুড়িআলা পেয়ে যাবেন। যারা অল্প কিছু সময়ের মধ্যেই আপনাকে একটি মজাদার ঝালমুড়ি তৈরি করে দিবে। কিছুটা মুড়ি ও তার সাথে পেঁয়াজ কুঁচি, মরিচ কুঁচি, ঘুমনি, ঝালমুড়িআলা মামাদের স্পেশাল মসলা ও তেল দিয়ে মিক্স করে ঝাকিয়ে তৈরি করে দিবে আপনার এই ঝালমুড়ি।
৪. আচার বা ভর্তাঃ
যারা টক পছন্দ করেন তাদের জন্য রয়েছে হরেক রকমের আচার। বাংলাদেশের একেক স্থানে একেক রকমের আচার তৈরি করা হয়। আবার ঋতুর প্রভাবও রয়েছে অর্থাৎ যে ঋতুতে যে ধরনের টক ফল পাওয়া যায় তখন সে ফলেরেই আচার পাওয়া যায়। ফলগুলো পাতলা করে কেঁটে তার মধ্যে কাঁচামরিচ কুঁচি, লবণ, চিনি, বিট লবণ ও কিছুটা কাসুন্দি মিশিয়ে তৈরি করা হয় আচার বা ভর্তা।
৫. ডিম কেকঃ
বর্তমানে ডিম কেকও একটি জনপ্রিয় স্ট্রিট ফুড। এটা প্যানকেকের মতো হলেও এর আকৃতি ভিন্ন। চ্যাপ্টা ও লম্বা আকৃতির। নরম তুলতুলে মজাদার ডিম কেকটিও আপনি গরম গরম উপভোগ করতে পারবেন। কেননা এই কেকটি রাস্তার পাশেই চুলা বসিয়ে তৈরি করে দেয়া হয়।
৬. হালিমঃ
যেকোন ঋতুতে সন্ধ্যার নাস্তায় চটপুটি, ফুসকার দোকানে আর একটি জিনিসের জন্য ভিড় লেগে থাকে আর তা হলো হালিম। এটি মুখরোচক খাবারের সাথে সাথে বেশ পুষ্টিকরও বটে। কেননা এতে ব্যবহৃত সকল উপকরনেই আমাদের জন্য উপকারি। এতে ব্যবহার করা হয় বিভিন্ন ধরনের ডাল এবং সেই সাথে মাংস, এবং মসলাতো আছেই। এই পুষ্টিগুণ সম্পন্ন খাবারটি বেশ জনপ্রিয় বাংলাদেশে।
৭. কাবাবঃ
বাংলাদেশের একটি লোভনীয় রাস্তার খাবারের নাম জানতে চাইলে অনেকেই হয়তো এক বাক্যেই বলে দিবে কাবাব। নান রুটি হোক কিংবা পরোটা যেটাই হোক, সাথে যদি থাকে কাবাব তাহলেতো আর কোন কথাই নেই। ভাবলেই কেমন জানি খেতে ইচ্ছে করে তাই না? বিশেষ করে ঢাকায় এটি খুব সহজলভ্য। অলিতে গলিতে খোঁজ করলে পাওয়া যাবে কাবাবের দোকানের সেই ঘ্রাণ।
৮. রকমারি পিঠাঃ
বাংলাদেশ হলো পিঠাপুলির দেশ। আর এই পিঠার দেশের সেরা স্ট্রিট ফুডের তালিকায় পিঠা থাকবে না তা কি করে হয় বলুন। অন্যান্য ঋতুতে পাওয়া গেলেও শীতের সন্ধ্যা মানেই পিঠার ধুম। হরেক রকমের পিঠা পাওয়া যায় রাস্তার ধারে। ছোট ছোট চুলা বসিয়ে রাস্তার ধারেই তৈরি করা হয় এই পিঠা। মিষ্টি বা ঝাল সব ধরনের পিঠাই পাওয়া যায়। যেমন- চিতই পিঠা, ভাপা পিঠা, কুলি পিঠা, ডিম পোয়া, পাটিসাপটা ইত্যাদি আরো অনেক ধরনের পিঠা।
৯. সাত রঙের চাঃ
সিলেটের জনপ্রিয় একটি পানীয় হলো সাত রঙের চা। এর রঙের জন্য এটি বেশ জনপ্রিয় কারন একটি কাপে সাত সাতটি রঙের চা থাকে যা মানুষকে অনেক আকৃষ্ট করে। তাছাড়া এর স্বাদও অনেক ভিন্ন হয় সাধারন চায়ের থেকে। শুধু যে সাতটি ভিন্ন রঙ তা কিন্তু নয় এই চায়ের প্রত্যেকটি ধাপের স্বাদ ভিন্ন ভিন্ন হয়। সাতটি ধাপে আপনি সাতটি ভিন্ন স্বাদের চা উপভোগ করার সুযোগ পাবেন তা আবার এক কাপ চা থেকে।
১০. সিঙ্গারাঃ
অল্প খরচে সল্প ক্ষুধার সেরা নাস্তা হলো সিঙ্গারা। এটি বাংলাদেশের খুব জনপ্রিয় একটি খাবার। দুপুর বা বিকেলের হালকা খাবার হিসেবে এর জুড়ি নেই বললেই চলে। উপরটা কিছুটা মুচমুচে এবং ভিতরে সবজির নরম একটা পুর, এই দু’য়ের সমন্নয়ে তৈরি হয় এই সিঙ্গারা।
Nice
Thank you Anaya:)