গরম যা পড়েছে তাতে ঘরে বাইরে সবাই হিমশিম খাচ্ছে। বিশেষ করে রান্নার সময় রান্নাঘরে গরমে কাটানো যে এই সময় কি কষ্টকর, তা যারা রান্না করেন তারাই জানেন। কতটা গরম হতে পারে। একাধিক ওভেন এবং স্টোভ টপের মধ্যে তাপ, রান্নার তাড়াহুড়ো, ঘেমে নেয়ে কাজ করা সত্যি একটা চ্যালেঞ্জ। এখানে কিছু টিপস শেয়ার করছি যা রান্নাঘরে ঘাম নিয়ন্ত্রণ করতে কিছুটা হলেও সাহায্য করবে। গরম কম লাগবে আর একটু শান্তি করে রান্না করাও যাবে।
১. ফ্রিজারে এপ্রোন রেখে ব্যবহার করুনঃ
যারা ভাবছেন এপ্রোন পড়ে রান্না করলে বেশি গরম লাগবে, তাহলে বলি এটা ভ্রান্ত ধারণা। বরং এপ্রোন আপনাকে সরাসরি তাপের আক্রমণ থেকে বাঁচাতে সাহায্য করবে। আর এপ্রোন ব্যবহারের আগে ঘণ্টা খানেক ফ্রিজারে রেখে দিন। তারপর রান্নার সময় এটা পড়ে রান্না করুন। আপনি নিজেই অনুভব করতে পারবেন যে, ঘাম কম হচ্ছে। গরমও খুব কম লাগছে। আমার কথা বিশ্বাস না হলে ট্রাই করে দেখুন।
২. ভেজা গামছা জড়িয়ে রাখুনঃ
আমাদের মাথা ও কপাল সবচেয়ে বেশি ঘামে রান্নার সময়। তাই রান্না করার সময় একটা গামছা ঠাণ্ডা জলে ভিজিয়ে, জল চিপে নিয়ে কপালে ফেট্টির মত জড়িয়ে নিন। মাঝে মাঝে এটা জলে ভিজিয়ে আবার বাঁধুন। কপালে ঘাম হবে না। শরীর ঠাণ্ডা লাগবে। আর এই গরমে রান্না করতেও কষ্ট অনেক কম হবে।
৩. রাতে বা ভোরে রান্না সেরে নিনঃ
এই বিচ্ছিরি গরমে দুপুরে রান্নাঘরে ঢুকতে যাবেন না। ভোরে উঠে রান্নার কাজ সেরে নিন। ভোরে ওঠা যদি সম্ভব না হয়, তাহলে রাতের দিকে রান্না সারুন। কাটাকাটি-বাঁটাবাঁটির কাজ ঘরে ফ্যানের নিচে বসে করুন। রান্নাঘরে এসব করবেন না এই গরমে। আদা রসুন বাটা রোজ রান্নায় লাগে এসব রান্নার আগেই করে নিন। পারলে একদিনে বেশি করে বেটে আদা রসুনের পেস্ট স্টোর করে রাখুন।
৪. এই বিষয়গুলো খেয়াল রাখুনঃ
- রান্নার জন্য রান্নাঘরের যন্ত্রপাতি ব্যবহার করুন।
- রাতে বা ভোরে রান্না করুন।
- এক্সজস্ট ফ্যান ইনস্টল করুন।
- দুপুরে রান্না করলে জানলা বন্ধ রাখুন।
- রান্নাঘরের বাইরে ফ্য্যান চালিয়ে রাখুন।
- অপ্রয়োজনীয় লাইট বন্ধ করুন।
৫. মিনি কুলার ব্যবহার করুনঃ
একবার সামান্য টাকা খরচ করে মিনি কুলার কিনে নিন। এটা রান্নাঘরের অতিরিক্ত তাপ খুব সহজেই নিয়ন্ত্রণে রাখে। এতে করে রান্নাঘর ঠাণ্ডা থাকে। রান্নার সময় ঘেমে নেয়ে স্নান করার কোন দরকার নেই। হাজার পনেরোশো টাকার মধ্যেই আজকাল মিনি কুলার কিনে নিতে পারবেন। একবার টাকা খরচ করুন আর গরমকালে শান্তি পান রান্নার সময়।