skip to content
CurryNaari
Welcome to Nandini’s world of cooking & more...

মাছ ভাজার অতিরিক্ত তেল কিভাবে সংরক্ষণ করলে পরে ব্যবহারে ক্ষতি হয় না!

মাছ ভাজা

ভাজা মাছ খেতে আমরা অনেকেই পছন্দ করে। কিন্তু মাছ ভাজতে গেলে তাতে তেলের পরিমাণটা একটু বেশি লাগে। যা মাছ ভাজা শেষেও বেঁচে যায়। বেঁচে যাওয়া এই তেল আমরা সাধারনত ফেলে দেই না। কিন্তু এটা আদৌও আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো কিনা তা চিন্তা করি না। মাছ ভাজার পর এই অতিরিক্ত তেল কতদিন রেখে দেওয়া যায়। আর কিভাবে সংরক্ষণ করে রাখলে এই তেল পরে ব্যবহার করলে ক্ষতি হয় না তা জেনে নেই চলুন।

মাছ ভাজার পর অতিরিক্ত তেল কতদিন পর্যন্ত রেখে দেওয়া যায় মাছ ভাজার পর যে তেল বেঁচে যায় তা সাথে সাথেই ব্যবহার করে ফেলতে চেষ্টা করবেন। বেশিদিন জমিয়ে রাখতে যাবেন না। সাথে সাথে ব্যবহার করতে না পারলে তা খুব বেশি হলে তিন থেকে চার দিন পর্যন্ত সংরক্ষণ করা যাবে। তবে কোন ভাবেই তিন থেকে চার দিনের বেশি সময় ধরে সংরক্ষণ করতে যাবেন না। কারন এটা আমাদের শরীরের জন্য অনেক ক্ষতিকর।

অনেক বড় বড় ধরনের রোগ সৃষ্টি হতে পারে এর থেকে। এমনকি মরণব্যাধি ক্যান্সারও। একবার ব্যবহার করা তেল পরে আবার ব্যবহার করলে সেই তেল থেকে ফ্রি র‍্যাডিকল উৎপন্ন হতে থাকে। ফ্রি র‍্যাডিকলের কাজ হলো তা দেহের ত্বকের সুস্থ বা ভালো কোষের সাথে মিলিত হয়ে সেটাকে ক্যানসারের জীবানুতে পরিণত করতে পারে। শুধু তাই নয় এটা রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের পরিমাণও বৃদ্ধি করে দিতে পারে। যা হার্টের বিভিন্ন রোগের কারন হতে পারে। এছাড়াও গ্যাসের সমস্যাও হতে পারে।

মাছ ভাজা

তেল সংরক্ষণ পদ্ধতিঃ

মাছ ভাজা শেষে পোড়া তেলগুলো ভালো করে ঠাণ্ডা করে নিতে হবে। গরম অবস্থায় রাখা যাবে না। আর ঠান্ডা করার সময় গরম তেলের কড়াইতে কখনো ঢাকনা দিয়ে ঢাকতে যাবেন না। কারন গরম হওয়ার কারনে তা বাষ্প ছাড়বে যার কারনে ঢাকনা ঘেমে যাবে এবং ঐ জল যেয়ে তেলের মধ্যে পড়বে। পরের বার চুলায় দিলে তা ছিটে এসে গায়ে লেগে পুড়ে যেতে পারে। ঠান্ডা হয়ে গেলে তা একটি চিকন ছাঁকনি দিয়ে ভালো করে ছেঁকে নিতে হবে। যাতে করে আগের কোনও ভাজার অংশ যেন তেলে না থাকতে পারে। তাই এই কাজটি খুব ভলো করে করতে হবে।

একটি বোতল বা কোন এয়ারটাইট কন্টেইনার নিতে হবে। তা ভালো করে ধুয়ে পরিস্কার করে নিতে হবে। এরপর কন্টইনারটি সুন্দর করে শুকিয়ে নিতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে যাতে তাতে কোন রকম জল না থাকতে পারে। শুকিয়ে গেলে সেই ছেঁকে নেয়া তেলটি এবার শুকনো কন্টেইনারে ঢেলে নিতে হবে। বোতলটি একটি ঠাণ্ডা জায়গায় রাখার চেষ্টা করুন। গরম স্থান যেমন চুলার কাছে কখনোই এটাকে সংরক্ষণ করবেন না। যাতে তেল গরম না হতে পারে। এর জন্য আপনার মিটসেফকে ব্যবহার করতে পারেন।

অতি দ্রুত এই তেল ব্যবহার করে ফেলতে হবে। খুব বেশি হলে তিন থেকে চার দিন পর্যন্ত এই তেল সংরক্ষণ করা যাবে। তবে কখনোই এর বেশি সময় ধরে জমিয়ে রাখতে যাবেন না। যে তেল দিয়ে একবার মাছ ভাজা হয়েছে সেই তেল দ্বিতীয়বার আর কোন কিছু ভাজার কাজে ব্যবহার করতে যাবেন না। কেননা এই তেল কখনোই আবার স্মোকিং টেম্পারেচারে দিয়ে গরম করা যাবে না। তাই কোন কিছু ভাজা যাবে না আর এই তেল দিয়ে।

তবে এই তেলকে অন্য ভাবে কাজে লাগাতে পারেন। অন্য কোন কিছু রন্নার ক্ষেত্রে। যেমন ধরেন আপনি মাছ বা মাংস রান্না করবেন। সে ক্ষেত্রে মাছ বা মাংসকে ম্যারিনেট করার সময় আপনি ভালো তেলের সাথে সাথে এই বাসি তেলকে মিক্স করে সে কাজে লাগাতে পারেন। আবার চাইলে কোন তরকারি রান্না করার সময় ফ্রেশ তেলের সাথে সাথে এই তেল মিশিয়ে দিয়ে তরকারি রান্না করতে পারেন। এতে করে তেমন কোন সমস্যা হবে না। কারন এই পর্যায় তেল স্মোকিং টেম্পারেচারে কখনো গরম হয় না। এবং সেই সাথে অনেকটা সময় নিয়ে ভাজারও দরকার হয় না।

এই তেল পুনরায় কোন রান্নার কাজে ব্যবহার করার আগে ভালো করে দেখে নিতে হবে বা পরীক্ষা করে নিতে হবে যে এর থেকে কোন রকম বাজে গন্ধ আসছে কি না, অথ্যাৎ তেলের গন্ধ ঠিক আছে কি না। এরপরে এর রঙও পরীক্ষা করে দেখতে হবে ঠিক আছে না আবার কালচে রঙের হয়ে গিয়েছে। যদি রঙ বা গন্ধ কোনটাও নষ্ট হয়ে যায় তাহলে আর কোন ভাবেই এই তেল পুনরায় ব্যবহার করতে যাবেন না।

Article Tags:
Article Categories:
Food-kitchen-insights

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *