skip to content
CurryNaari
Welcome to Nandini’s world of cooking & more...

শীত শেষ হওয়ার আগে এই ৪টি খাবার খেয়ে ফেলুন!

Homemade coconut balls

শিরোনাম পড়ে ঘাবড়াবেন না আবার! অনেকেই ভাবছেন কি খাবাররে বাবা যে শীত চলে যাওয়ার পর আর খাওয়া যাবে না? মগের মুল্লুক নাকি! আসলে এই ৭টি খাবারের পুষ্টিগুণ বলুন বা উপকারিতা সবচেয়ে বেশি পাওয়া যায় শীতকালে। তাছাড়া শীতে শরীর গরম রাখার কাজও করে এগুলি। তাই গরমকালের চেয়ে শীতকালে এগুলো খাওয়া বেশি স্বাস্থ্য সন্মত।

কনকনে ঠাণ্ডায় যেমন আইসক্রিম খাওয়া সঠিক নয়, তেমনই গরমের দিনে এগুলো এড়িয়ে যাওয়াই ভালো। আবার শীত আসা অব্দি অপেক্ষা করতে হবে তাই শীত যাওয়ার আগেই খেয়ে ফেলুন। কারণ আসছে বছর আবার হবে বলার দিন এসে গিয়েছে। গরমকাল জাস্ট কলিং বেল বাজালো বলে।

১. আটা বা গমের তৈরি গোণ্ড লাড্ডুঃ

অনেক বাড়িতে আজও শীতের শুরুতেই আটা বা গমের তৈরি এই গোণ্ড লাড্ডু বানিয়ে রাখা হয়। শীতে সর্দি-কাশি থেকে বাঁচাতে এই লাড্ডুর জুড়ি মেলা ভার। শরীর ভিতর থেকে গরম রাখে এটি। খেতেও দারুন টেস্টি হয়। নিরামিষাশীদের মধ্যে ভিটামিন ডি এর মাত্রা কম থাকে। এটি বাড়াতে সাহায্য করে। গোণ্ড লাড্ডু আমাদের জয়েন্টগুলির জন্য একটি প্রাকৃতিক লুব্রিকেন্ট, তাই যাদের পিঠে এবং জয়েন্টে ব্যথা রয়েছে তাদের জন্য এটি দারুন উপকারি। কে কে এখন বানান বাড়িতে? বানালে কমেন্ট করে জানাবেন। যাই হোক যা বলছিলাম। হ্যাঁ এই গোণ্ড লাড্ডু শীতকালে খাওয়াই বেশি ভালো। গরমকালের জন্য একদম উপযুক্ত নয়। তাই শীতের শেষ বেলায় গোটা কয়েক গোণ্ড লাড্ডু হয়ে যাক আর কি!

২. পালং শাক ও সর্ষে শাকঃ

পালং শাক এবং সর্ষে শাকে অনেক ভিটামিন এবং খনিজ পদার্থ থাকে। শীতকালে জয়েন্টের ব্যথার সঙ্গে মোকাবিলা করতে দারুণ সাহায্য করে এই দুটি শাক। সর্ষে শাক বিশেষ করে বিটা ক্যারোটিন সমৃদ্ধ। চোখ এবং হাড়ের স্বাস্থ্যের উন্নতির জন্য আমাদের দেহের বিটা-ক্যারোটিন প্রয়োজন যা এই শাক দুটি সরবরাহ করে। সর্ষের শাকগুলিতে গ্লুকোসিনোলেটস নামক উচ্চ পরিমাণে ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট রয়েছে। এগুলি আমাদেরকে ফ্রি-র‍্যাডিক্যাল ক্ষতির থেকে দূরে রাখে। শীতের শেষে এই দুটি শাক পাওয়া মুশকিল। এগুলো সিজানাল শাক। তাই খেয়ে ফেলুন শীত শেষ হওয়ার আগে। পালং শাকের নানা রেসিপি ও সর্ষে শাক ভাজা। সর্ষে শাক দিয়ে বানানো পরোটা বানিয়ে খেয়ে নিন।

৩. শিকড় যুক্ত সবজিঃ

গাজর, মূল, শালগম, জাতীয় শিকড়ওয়ালা সবজি শীতে খেতেও ভালো লাগে আর এগুলো গরমে তেমন পাওয়া যায় না। মূল বা শিকড় যুক্ত শাকসবজির শিকড়ে প্রায়শই কন্দের বৃদ্ধি থাকে। বৃদ্ধিগুলি মূলত শীতের মাসগুলিতে উদ্ভিদের নিজেদের খাওয়ার জন্য খাদ্য সঞ্চয়। এই শিকড়গুলি পুষ্টি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর, ক্যালোরি কম। তাই গাজরের হালুয়া, মুলোর পরোটা, গাজরের স্যালাড, গাজরের চাটনি। যা যা পদ আছে খেয়ে নিন গরম আসার আগেই।

৪. ঘি খেয়ে ফেলুন জলদিঃ

ঘি

বিভিন্ন ধরনের শীতকালীন সমস্যার চিকিৎসায় ঘি একটি আয়ুর্বেদিক সমাধান। আয়ুর্বেদ অনুসারে বলা হয় ঘি একটি উষ্ণ খাবার। খাঁটি ঘি শরীরের জন্য সত্যি উপকারি। তবে অধিক মাত্রায় নয়! আপনি এটি সাবজিতে যোগ করতে পারেন, এটি দিয়ে ডাল বানাতে পারেন বা রুটির সাথে মাখিয়ে শীতের ঠাণ্ডা আবহাওয়া উপভোগ করতে পারেন। গরমকালে ঘি খাওয়া মানে পাচন ক্রিয়ায় সমস্যা। গ্যাস হওয়ার সম্ভাবনা। তাই গরম পরার আগে খেয়ে ফেলুন ঘি। বাঙালীর প্রিয় আলু সেদ্ধ ভাত ঘি দিয়ে গরম গরম খেতে কিন্তু ভুলবেন না।

Article Tags:
Article Categories:
Food-kitchen-insights

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *