বিরিয়ানি নামটাই যেন লোভনীয়তায় ভরপুর একটা নাম। বিরিয়ানি পছন্দ করে না বা খায় না এমন মানুষ কি আদৌও আছে? বিরিয়ানি নাম শুনেছেন আর জিভে জল চলে আসেনি এমন মানুষ কোথায় খুঁজে পাবেন না। ভারতবর্ষের প্রতিটি আনাচে কানাচে এমন বিরিয়ানি প্রেমিক পাওয়া যাবে অনেক। সেই চারশত বছর আগের মোঘল আমল থেকে এখন পর্যন্ত বিরিয়ানির স্থান আর অন্য কোন খাবার নিতে পারে নি। এতটুকুও কমেনি বিরিয়ানির দাম, মান। তাই তো সৈয়দ মুজতবা আলী বলেছিলেন যে ‘গোটা ভারতবাসীকে এক টেবিলে বসাতে পারে বোধ হয় দুটি জিনিস। যার মধ্যে একটি হল ক্রিকেট আর অন্যটি বোধহয় বিরিয়ানি’।
বিরিয়ানিকে মজাদার ও লোভনীয় করতে যার ভূমিকা সবচেয়ে বেশি তা হলো বিরিয়ানিতে ব্যবহার করা বিরিয়ানি মসলা। সঠিক পরিমাণ করে সব রকমের উপাদান যদি একত্রে করে মসলা তৈরি করা হয় তাহলেই বিরিয়ানি হবে মজাদার। আজ তাই আপনাদের নিকট হাজির হয়েছি এমনি এক মজাদার বিরিয়ানি তৈরির মসলা নিয়ে। চলুন দেখে নেয়া যাক-
বিরিয়ানির মসলা তৈরি
উপকরনঃ
- শুকনা লাল মরিচের গুড়া – ১ টেবিল চামচ
- কাশ্মিরি লাল মরিচ – ৪-৫ টি
- ধনিয়া – ৩-৪ টেবিল চামচ
- তেজপাতা – ৪-৫ টি
- জিরা গুড়া – ১ টেবিল চামচ
- শাহি জিরা গুড়া – ২ টেবিল চামচ
- গোটা শুকনা মরিচ – ৪-৬ টি,
- জয়ত্রী – ১ টেবিল চামচ
- দারচিনি – ২ -৩ স্টিক
- লবঙ্গ – ২ চা চামচ
- কালো এলাচ – ৪-৫ টি (এলাচের শুধু বীজ টা কাজে লাগবে)
- স্টার মসলা – ২-৩ টি
- কালো গোলমরিচ – ১ টেবিল চামচ
- সাদা গোলমরিচ – ১ টেবিল চামচ
- এলাচ – ১০-১২ টি (এলাচের শুধু বীজ টা কাজে লাগবে)
- গোটা মৌরি – ২ টেবিল চামচ
- গুঁড়া হলুদ – ১ চা চামচ
- জয়ফল গুঁড়া – ১ চা চামচ
- সবুজ এলাচ – ৫ টি (এলাচের শুধু বীজ টা কাজে লাগবে)
- তারা মৌরি – ২ টি
বানানোর পদ্ধতিঃ
১. প্রথমত আস্ত সব উপাদান গুলো একটি শুকনো প্যান বা তাওয়ায় ভেঁজে নিন। ভাজার সময় চুলার আচ অল্প থাকবে। হালকা আচে একটু সময় নিয়ে ভেজে নিতে হবে। এতে করে মসলাগুলো মচমচে হবে এবং মিহি গুড়া হবে। (মসলা ভাজার সময় প্যান বা তাওয়ায় কোন তেল দেয়া যাবে না।
২. গুঁড়া মসলা দুটো বাকি সব মসলার সাথে দেবেন না।
৩. সব মসলা ভাজার জন্য এক রকম সময় লাগে না। কিছু মসলাতে সময় বেশি লাগে আবার কিছু মসলায় কম সময় লাগে। যে মসলাতে সময় বেশি লাগে তা একটু আগে দিন প্যানে, কিছু সময় ভেজে নিয়ে তারপর যে মসলায় কম সময় লাগে সেগুলো দিয়ে দিন। এতে করে সব মসলা ঠিক মতো ভাজা হবে।
৪. সব মসলা ভালো মতো ভাজা হয়ে গেলে একটি পাত্রে নামিয়ে নিন এবং তা ঠান্ডা করে নিন। এরপর ঠান্ডা হয়ে গেলে ব্লেন্ডারে বা শিল পাটায় পিষে মিহি গুড়া করে নিন। মসলা গরম অবস্থায় কখনো ব্লেন্ডারে দিবেন না। এবং পাটাতেও পিষবেন না কেননা ঠান্ডা হলে মসলা বেশি মচমচা হয়। তাই সুন্দর ভাবে গুড়া করা যায়।
৫. গুড়া করে নেওয়া মসলার সাথে আগে থেকে রেখে দেয়া গুড়া মসলা মিশিয়ে নিন। তৈরি হয়ে গেল আপনার বিরিয়ানি মসলা। মসলা গুড়া করে সাথে সাথে বয়ামে রাখতে যাবেন না। কোন ট্রে বা থালায় করে নেড়ে দিয়ে মসলা টি ঠান্ডা করে নিন।
৬. এয়ার টাইট বক্স বা মুখবন্ধ বয়াম বা পাত্র নিন। বয়াম টি আগে থেকে ধুয়ে পরিস্কার করে শুকিয়ে নিন। শুকনো বয়ামে মসলা রেখে ভালোমতো মুখ বন্ধ করে দিন যাতে বাতাস ঢুকতে না পারে। বাতাস ঢুকলে মসলা নষ্ট হয়ে যাবে। এভাবে করে অনেক দিন সংরক্ষণ করা যাবে। তৈরি হয়ে গেল আপনার বিরিয়ানি মসলা। এবার যখন ইচ্ছে হবে তখনেই ঘরেই তৈরি করে ফেলুন হোটেল, রেস্তোরা বা অনুষ্ঠান বাড়ির মতো মজাদার বিরিয়ানি। পরিবারের সাথে মজাদার গরম গরম বিরিয়ানি উপভোগ করুন।
বিশেষ কথা
বিরিয়ানি রান্নার সময় একটি শুকনো চামচ দিয়ে পরিমাণ মতো মসলা তুলে নিন। এবং এরপর আবার পাত্রের মুখ বন্ধ করে দিন ভালো করে যাতে বাতাস ঢুকতে না পারে। বাতাস ঢুকলে মসলা নষ্ট হয়ে যাবে। মসলা তোলার সময় খেয়াল রাখবেন চামচটি যেন ভেজা না থাকে, জল না থাকে।
Very helpful for me to learn more about making humen food recipes. You send me moreover. Thanks
Hi Utpal, we keep on publishing new content everyday at currynaari.com. You can always stay updated.
Want more beneficial food recipes.
Yes, we keep on publishing new content everyday at currynaari.com. You can also follow our Facebook page https://www.facebook.com/CurryNaariBangla and stay updated on our food content.
Thank you so much this biryani masala is really very universal I add it to all my rice recipes and so many things.I have also shared its steps with my sister to try it out.
That’s great Supriya. I hope she will like it 🙂