গতকাল প্রয়াত হয়েছেন কিংবদন্তী সঙ্গীত শিল্পী লতা মঙ্গেশকর। টিভির পর্দা থেকে মুঠো ফোন সর্বত্র লতাজির ছবি, গানের ভিডিও। ওনার চলে যাওয়ায় যেন সকলের মনের মধ্যে একটা শূন্যতা বাসা বেঁধেছে! যা স্বাভাবিক। লতা মঙ্গেশকরের মত হাসি খুশি মিষ্টি মানুষটির অভাব সত্যি আমরা সকলে অনুভব করছি। তাই শোকের বাতাবরণ না বাড়িয়ে বরং মন ভালো করার কিছু কথা নিয়ে লিখছি ওনার সম্পর্কে।
কিংবদন্তি গায়িকা প্রয়াত লতা মঙ্গেশকরের রান্নার প্রতি খুব আগ্রহ ছিল এবং তিনি খাবারের অনুষ্ঠান দেখতে পছন্দ করতেন। খাওয়ার ব্যাপারে নানা বিধিনিষেধ থাকলেও তিনি খেতে খুবই ভালোবাসতেন। আর খাওয়া দাওয়ার গল্প মানেই আনন্দদায়ক। আর তাই আজ ওনার পছন্দের খাবার কি কি জেনে নেওয়া যাক।
লতা মঙ্গেশকরের প্রিয় কিছু খাবারঃ
- মশলাদার সামুদ্রিক খাবার তাঁর প্রিয় ছিল। তাঁর পিতা পন্ডিত দীনানাথ মঙ্গেশকর ছিলেন গোয়ার মঙ্গেশি গ্রামের বাসিন্দা। সামুদ্রিক খাবারের প্রতি তাই ছোটবেলা থেকেই ছিল টান। বিশেষ করে মাছ খেতে তিনি খুবই পছন্দ করতেন।
- তিনি নিজে মশলা দিয়ে স্বাদযুক্ত মাটন বানাতে পছন্দ করতেন। লতাজি মাটন এবং সামুদ্রিক খাবারের পাশাপাশি মশলাদার সমস্ত জিনিসের ভক্ত ছিলেন। মাটন কোথিম্বির, ধনে দিয়ে তৈরি মাটনের একটি রেসিপি, তাঁর সবচেয়ে প্রিয় ছিল। মাটন কাকোরি কাবাবও ছিল তাঁর অল টাইম পছন্দের একটি পদ।
- বাইরের খাবার কম খেতেন লতাজি। কিন্তু যখন খেতেন তখন তিনি চিকেন, মেথি চিকেন এবং ডাল মাখানি অবশ্যই অর্ডার করতেন।
- ফুচকা খেতে তিনি আর পাঁচটা মেয়ের মত ভালোবাসতেন। কিন্তু গলার কারনে কম খেতেন। তবে ফুচকা খাওয়ার সুযোগ পেলে তিনি তা কখনো হাতছাড়া করতেন না।
- যতীন্দ্র মিশ্রের গায়কের জীবনী ‘লতা: সুর গাথা’তে উল্লেখ আছে যে লতাজি কিমা সিঙ্গারা ও অতিরিক্ত জাফরান দিয়ে জিলিপি খেতে পছন্দ করতেন।
- ঝাল ও মিষ্টি দুই রকমের খাবার ছিল তাঁর খুব প্রিয়। বিশেষ করে মিষ্টির মধ্যে গাজরের হালুয়া ছিল তাঁর পছন্দের।
- লতাজি বাংলার মিষ্টি দই খেতে খুব ভালবাসতেন। কলকাতা এলে একবার হলেও তিনি তা খেতেন।
- পছন্দের খাবারের সাথে সাথে দৈনন্দিন জীবনে তিনি ভাত, রুটি, ডাল ও সবজি নিয়মিত খেতেন। ঠাণ্ডা জাতীয় কোন প্রকার খাবার তিনি খেতেন না। আইসক্রিম খেতে ভালবাসলেও তিনি তা থেকে দূরে রাখতেন নিজেকে।