মানকচু মানেই এর নানা রকমের বাটা দিয়ে ভাত খাওয়ার সুখ। তবে বাটা বা ভাজা ছাড়া এই কচু খাওয়ার একটা দুর্দান্ত উপায় আছে। আমি এই রেসিপির নাম দিয়েছে মানকচু মাথা। আর মাথা মানে যেহেতু বাঙালী তাই মাছের মাথা খাওয়ার আহ্লাদটাই বেশি। গ্রামের বাড়ি থেকে প্রায় এক বস্তা মত মানকচু এসেছে। প্রতিবেশীদের বিলিয়ে, মানকচু বাটা, ভাজা সব বানিয়ে খাওয়ার পরও অনেকটা পড়েছিল। ভাবলাম অন্য কিছু ট্রাই করি। এরকম এক্সপেরিমেন্ট আমরা সকলেই করি, যারা রাঁধতে ভালোবাসি। আমিও করলাম। আগেই ঠিক করে রেখেছিলাম খেতে দারুন লাগলে তবেই শেয়ার করবো। লিখছি যখন, তখন আর আলাদা করে এর স্বাদ বলছি না। এটুকু শুধু বলি, খেয়ে আপনারা আমার তারিফ করতে বাধ্য হবেন।
উপকরণঃ
- মাছের মাথা একটা
- মানকচু চৌক চৌক করে কাটা এক বাটি
- তেজপাতা একটা
- পাঁচফোড়ন ১/২ চামচ
- কাঁচা লঙ্কা ২ টো
- ধনেপাতা ছোট এক বাটি
- হলুদ ২ চামচ
- লবণ স্বাদ অনুযায়ী
- সরষের তেল ১/৩ কাপ
- ঘি ২ চামচ
পদ্ধতিঃ
মানকচুর ছোকলা ফেলে চৌক চৌক করে কেটে নিন। তারপর লবণ জলে ১৫-২০ মিনিট ভিজিয়ে রাখুন। এতে করে কচুতে গলা কুট কুট করবে না। তারপর সেই জল ফেলে কচুতে আবার জল দিয়ে সেদ্ধ করে নিন প্রেশার কুকারে।
কড়াইয়ে তেল গরম করে তাতে মাছের মাথা নুন হলুদ মাখিয়ে ভেজে তুলে রাখুন। এই তেলেই এবার পাঁচফোড়ন তেজপাতা, কাঁচা লঙ্কা ফোঁড়ন দিন। তারপর সেদ্ধ করা কচু জল ঝরিয়ে এতে দিয়ে দিন। সামান্য হলুদ আর স্বাদ অনুযায়ী লবণ দিয়ে কষান। কিছুক্ষণ পর ধনেপাতা কুচি দিয়ে দিন। অল্প জল দিয়ে ঢেকে ৫ মিনিট রান্না করুন।
ঢাকা খুলে মাছের মাথা যোগ করুন। মিশিয়ে নিন ভালো করে। নামানোর আগে ঘি ছড়িয়ে ঢেকে দিন। গরম ভাতের সাথে পরিবেশন করুন।