ছোট বাচ্চাদের দুধ খাওয়ানো এক প্রকারের যুদ্ধ অনেক মা-বাবার কাছেই। খেতে না চাইলেও জোড় করে খাওয়াতেই হয়। কারন একজন শিশুর শরীরের জন্য দুধের চেয়ে আর ভালো বন্ধু কে আছে। দুধে থাকা ক্যালসিয়াম বাচ্চাদের হাড় করে মজবুত শরীরে যোগায় পুষ্টি। তবে একদম যেসব বাচ্চারা দুধ খেতে চায় না তাদের রোজকার খাবারে রাখুন নিচে বলে দেওয়া কয়েকটি খাবার। এতে তাদের দুধের ঘাটতি অনেকটা হলেও পরিপূর্ণ হয়ে যাবে।
দুধ না খাওয়ার বায়না করলে কি কি খাওয়াবেনঃ
রোজ যেসব বাচ্চা দুধ না খাওয়ার বায়না করে তাদের পুষ্টিগুণ আর ক্যালসিয়াম যাতে সঠিক মাত্রায় শরীরে যায় তার জন্য এই পাঁচটি খাবার রোজ রাখুন তাদের জন্য। সামান্য সামান্য করে হলেও রোজ এগুলো খাওয়াবেন।
বাদামঃ
বাদাম রাখুন আপনার ছোট্ট সোনার রোজকার খাবারের চার্টে। কাঠবাদাম বিশেষ করে শিশুর জন্য খুবই উপকারি। কাঠবাদামে থাকে প্রচুর পরিমানে ক্যালসিয়াম। যা দুধের ঘাটতি পূরণে দারুন কাজ দেয়। সকাল, বিকেল দুবেলা কয়েকটা বাদাম আপনার ছোট্ট সোনাকে খাওয়ান। খেতেও ভালো লাগে আর ওর শরীরের জন্যও খুব ভালো। তাছাড়া যেকোনো বাদাম কিন্তু মাঝে সাঝে অল্প খাওয়াতে পারেন। যেমন কাজুবাদাম, আখরোট ইত্যাদি।
শাক সবজিঃ
আপনার সোনামণি যদি দুধ খেতে একদমই না চায়, তাহলে ওর রোজকার খাবারে বেশি করে সবুজ শাক সবজি রাখুন। সবুজ শাক সবজিতে থাকে অসংখ্য পুষ্টিকর জিনিস। ক্যালসিয়াম থেকে প্রোটিন কি নেই। তাই দুধের ঘাটতি হলে বা একদম খাওয়ানো না গেলে ওর প্রত্যেকবারের খাবারের মধ্যে শাক সবজি যোগ করে নিন। এতে ও হেলদি থাকবে সাথে সাথে ওর যাবতীয় প্রয়োজনীয় পুষ্টির যোগান ঘটবে।
সোয়াবিনঃ
ক্যালসিয়াম ও পটাশিয়াম সোয়াবিনে রয়েছে প্রচুর পরিমানে। তাই যেসব বাচ্চাদের জোড় করেও একদম দুধ খাওয়ানো যায় না তদের এটি খাওয়ান। আপনার বাচ্চার রোজকার খাওয়া দাওয়ার মধ্যে সোয়াবিন রাখুন। শিশুর শরীরের জন্য ভালো। তাছাড়া ক্যালসিয়াম ও পটাসিয়ামের মাত্রা নিয়ে কোন চিন্তা আপনার আর করতে হবে না।
কমলালেবুঃ
বাচ্চারা দুধ খেতে পছন্দ করুক আর না করুক কমলালেবু খেতে খুবই পছন্দ করে। ওদের শরীরের কোন কমলালেবুর চেয়ে ভালো বিকল্প আর কিছু নেই। লেবুতে থাকা নানা রকমের ভিটামিনের সাথে সাথে রয়েছে ক্যালসিয়াম যা ওদের ক্যালসিয়ামের অভাব ঘটতে দেয় না। তাই রোজ একটা করে কমলালেবু বাচ্চাকে খাওয়ান। এখন সারাবছর কমলালেবু পাওয়া যায়।
পেয়ারাঃ
বাঙালি ঘরে ফলের মধ্যে পেয়ারাকে ক্যালসিয়ামের রাজা বলা হয়। তাই দুধ না খাওয়ার বায়না ধরলে দুটো পেয়ারা কেটে বাটিতে রেখে বাচ্চার হাতে ধরিয়ে নিন। দেখবেন কিছুক্ষণের মধ্যে তার বাটি খালি। বাচ্চারা পেয়ারা খেতে খুবই ভালোবাসে। ওদের পছন্দের খাওয়াও হয়ে গেল আর সাথে শরীরে ক্যালসিয়াম যোগ হল।
ওটসঃ
ভিটামিন বি থাকার পাশাপাশি ওটসে আছে ক্যালসিয়াম। তাই সামান্য দুধে অনেকটা ওটস মিলিয়ে খাওয়ান আপনার সোনাকে। ওটস খেতেও ভালো লাগে আর ক্যালসিয়ামের ঘাটতিও পূরণ হয়ে যায়।