সরষে বাটা দিয়ে চিংড়ি, ইলিশ কিংবা পাবদা মাছের পদ বাঙালীর অতন্ত প্রিয় খাবার। তাছাড়াও করলা, বেগুন, পটল রান্নায় সরষে বাটা দিলে খাবারের স্বাদ বদলে যায়। কিন্তু সরষে বাটা ঠিকমতো না হলে রান্না করা খাবারের স্বাদ বাড়ানোর বদলে তেতো হয়ে যায়। যা বড়ই বিচ্ছিরি লাগে খেতে।
সরষে ইলিশের দিন শুরু করুন। বাজারে এখন ইলিশের রমরমা। তবে সরষে বাটা দিয়ে পাবদা, চিংড়িও মন্দ হয় না। সরষে যোগ করলে মাছ রান্না সুস্বাদু হয়। আর এটা রান্না করতে খুব একটা পরিশ্রম করতে হয় না। কিন্তু এর বাটা ঠিকমতো করা না হলে তা খাবারের স্বাদ বাড়ানোর বদলে তেতো হয়ে যায়।
আগেকার যুগে মা ও ঠাকুরমা শিল পাটায় দিয়ে সরষে পিষতেন। এখন সেই শীল-নোরার জায়গাটা মিক্সির দখলে। বেশিরভাগ মানুষই ফাঁদে পড়ে। আর এখন বাজারে তৈরি সরিষার পেস্ট পাওয়া যাচ্ছে। রেডিমেড এবং টিনজাত সরষের পেস্টের স্বাদ খুব একটা ভালো হয় না।
বরং বাড়িতে সরষের দানা নিয়ে গেলে এর স্বাদ ও গন্ধ দুটোই মন ছুঁয়ে যায়। তবে তা ভালোভাবে বাটতে হবে। অন্যথায় এর স্বাদ তিক্ত হবে। আজকে চলুন এমন কয়েকটি টিপস আপনাদের সাথে শেয়ার করি যা ব্যবহার করলে সরষে বাটা কখনই তেতো হবে না খেতে।
প্রথম উপায়ঃ
মাখার আগে সরষের দানাগুলো হালকা গরম লবণ জলে কিছুক্ষণ ভিজিয়ে রাখুন। আপনি চাইলে গরম জলের পরিবর্তে সাধারণ জলও ব্যবহার করতে পারেন। তবে লবণ মিশিয়ে নেবেন। তারপর সরষের দানা যোগ করে মিনিট ১৫ রেখে দেবেন। সময় হয়ে গেলে ভাল করে হাত দিয়ে দানা কচলে নেবেন। তারপর সামান্য জল দিয়ে আরেকবার ধুয়ে দানা বাটবেন। একটুও তেতো হবে না এর স্বাদ।
দ্বিতীয় উপায়ঃ
সরষে দীর্ঘদিন সংরক্ষণ করলে এর স্বাদ তেতো হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। অতএব, যদি এটি দীর্ঘ সময়ের জন্য সংরক্ষণ করা ঠিক নয়। যদি অনেকদিন রেখে এটা ব্যবহার করেন তবে প্রথমে দানা একটি থালায় ছড়িয়ে রোদে রাখুন এক ঘণ্টা। এক ঘণ্টা রোদে রাখার পর হালকা গরম চাটুতে রোস্ট করে নিন। তারপর ঠাণ্ডা করে সামান্য লবণ জলে ৫ মিনিট মত ভিজিয়ে নিয়ে বাটুন।
তৃতীয় উপায়ঃ
গ্রেট করা সরষের স্বাদ ভালো হয় না। খাবারে সরষের স্বাদ নিতে, কাঁচা লঙ্কা দিয়ে এটা বাটুন। এতে সরিষার তিক্ততাও কমবে। কাঁচা লঙ্কার সাথে বাটার পর নুন ও হলুদ মিশিয়ে সরষে বাটা রাখুন। আর কালো সরষের সাথে সাদা সরষে মিশিয়ে বাটতে পারেন। এভাবে সরিষার স্বাদ তেতো হবে না। এছাড়াও এর স্বাদও খুব ভালো হবে।
Recommended For You
Visual Stories
Follow Us 🙂