ঘরে যখন খাস্তা ভাজা পেঁয়াজ বা বেরেস্তা সহজেই ফ্রিজে স্টক করা হয়, তখন বিরিয়ানি, কোরমা, কাবাব তৈরি করা অত্যন্ত সহজ হয়ে যায়। এটিই আমি আমার মায়ের কাছ থেকে শিখেছি। আজ সেটাই আপনাদের সাথে শেয়ার করতে চলেছি। যেকোন সময় সহজে ব্যবহারের জন্য ফ্রিজারে বেরেস্তা সংরক্ষণ করার পদ্ধতিও বলে দেবো। হায়দ্রাবাদী বিয়ানি বা বোম্বাই বিরিয়ানি এমনকি আওধি বিরিয়ানি বানানো একদম সহজ হয়ে যায় যদি ফ্রিজারে সারা বছরই বেরেস্তার সহজলভ্য মজুদ থাকে। আমরা সাধারণত বিরিয়ানি তৈরিতে ব্যবহার করি এটা। তবে শুধু বিরিয়ানিই নয়, এই সোনালি ভাজা পেঁয়াজ বিভিন্ন খাবারে যোগ করা যায়। যেমন কোরমা, তরকারি, কাবাব, পুলাও ইত্যাদি। এই খাস্তা ভাজা পেঁয়াজকে বিরিস্তা বা বেরেস্তা বলা হয়। চলুন দেখে নেওয়া যাক এটি বানানোর সঠিক কৌশল।
উপকরণঃ
- দুই কিলো পেঁয়াজ পাতলা করে কাটা
- তেল ৪ কাপ ভাজার জন্য
বেরেস্তা বানানোর পদ্ধতিঃ
প্রথমে পেঁয়াজ খোসা ছাড়িয়ে ভালো করে ধুয়ে নিন। তারপর সেগুলো পরিষ্কার কাপড় দিয়ে মুছে শুকিয়ে নিন এবং পাতলা করে কেটে নিন। পেঁয়াজ স্লাইস করবেন সব একই সাইজে। একটি ভারী প্যানে বা কড়াইতে তেল গরম করুন। তেল গরম হয়ে গেলে, কাটা পেঁয়াজ দিয়ে দিন ও সেগুলি সোনালি এবং খাস্তা হওয়া পর্যন্ত ভেজে নিন। সবশেষে, এগুলিকে একটি পরিষ্কার রান্নাঘরের তোয়ালে ছড়িয়ে দিন এবং এটি ৭-৮ মিনিটের জন্য বসতে দিন। সময় হয়ে গেলে একটি পরিষ্কার এয়ার টাইট পাত্রে স্থানান্তর করুন এবং ফ্রিজারে সংরক্ষণ করুন।
বেরেস্তা স্টোর করাঃ
অনুগ্রহ করে ভাজা পেঁয়াজ রেফ্রিজারেটরে বা ঘরের তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করবেন না। এটি ফ্রিজারে হিমায়িত করুন। বেরেস্তা রেফ্রিজারেটরে বা ঘরের তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করা হলে ৪-৫ দিনের মধ্যে এটির শেলফ লাইফ এবং স্বাদ হ্রাস পায়। এগুলিকে ফ্রিজারে সংরক্ষণ করলে এটি এক বছরের জন্যও একেবারে ভাল থাকে।
বিশেষ কথাঃ
- অবশিষ্ট তেলটি ফেলে দেওয়ার দরকার নেই, এটি একটি ফ্রিজে এয়ার টাইট পাত্রে সংরক্ষণ করা যেতে পারে।
- আপনি আপনার স্বাভাবিক দৈনন্দিন খাবার তৈরিতে বেরেস্তা চাইলে ব্যবহার করতে পারেন। (সবজি, আমিষ, তরকারি, গ্রেভি ইত্যাদি)। এটি রান্নার গন্ধ এবং স্বাদ বাড়াবে।
- বেরেস্তা একবারে অনেকটা বানিয়ে রেখে সংরক্ষণ করতে হলে তা ফ্রিজারে রাখবেন।