ড্রাগন ফলের চামড়া, উজ্জ্বল লাল রঙ একে বাকি ফলের থেকে অনেক বেশি সুন্দর দেখায়। ড্রাগন ফল খেতে কিন্তু মিষ্টি হয়। এটি ক্যাকটাস পরিবারের অংশ এবং এতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, ভিটামিন সি এবং ভিটামিন বি রয়েছে। ড্রাগন ফল সঠিক কিভাবে খেতে হয় জানার সাথে সাথে একটি বিশেষ পদ্ধতিও জেনে নিন।
সঠিক ড্রাগন ফল নির্বাচন করুনঃ
পাকা ফল নির্বাচন করুন। ড্রাগন ফল উজ্জ্বল লাল বা গোলাপী রঙের হয়। এটি সম্পূর্ণ পেকে গেলে সবচেয়ে ভালো স্বাদ হয়। ড্রাগন উপর থেকে চাপ দিন বা টিপুন। আঙুলের চাপে এর উপরের অংশ ঢুকে গেলে বুঝবেন পেকে গেছে। যদি এটি খুব নরম হয়, তার মানে এটি অতিরিক্ত পাকা, এবং টেক্সচার ততটা ভালো হবে না। যদি কঠিন হয়, তাহলে কয়েকদিন পর খান। কালো দাগ বা ক্ষত, বাদামী শুষ্ক দাগ বা শুকনো কাঁটাযুক্ত ফল এড়িয়ে চলুন। এগুলোর স্বাদ ভালো হয় না। ধারালো ছুরি ব্যবহার করে ড্রাগন ফল অর্ধেক করে কাটুন। ভিতরে উজ্জ্বল সাদা মাংস দেখতে পাবেন যা ছোট কালো বীজে ভরা।
ড্রাগন ফল খাওয়ার সঠিক নিয়মঃ
একটি চামচ দিয়ে মাংস বের করে নিন। চামড়ার প্রান্ত বরাবর চামচ চালান এবং তারপর মাংস আলগা করার জন্য নীচে স্কুপ করুন। ফল পাকা হলে, খোসা থেকে মাংস সহজে আলাদা হয়ে যাবে। এবার ড্রাগন ফল খান। এটিকে সরাসরি চামচে তুলে মুখে পুরে দিন। খেতে দারুন লাগবে। আবার আপেলের মতো চার ভাগে কেটে নিয়েও খেতে পারেন। ড্রাগন ফলের স্বাদ বিশেষ করে ঠান্ডা হয়। ড্রাগন ফল ফ্রিজে রেখে তারপর কেটে খান দারুন স্বাদ পাবেন। ড্রাগন ফলের চামড়া বা উপরের রঙিন খোসা খাবেন না। তাছাড়া নিচে একটি রেসিপি বলে দিলাম। এরকম ভাবেও একবার খেয়ে দেখতে পারেন।
ড্রাগন ফ্রুট কাবাবঃ
- কাবাব বানানোর কাঠি বা শিক নিন। কাঠি ব্যবহার করলে তা জলে দশ মিনিট এক বাটি জলে ভিজিয়ে রাখুন। আপনি যদি শিক ব্যবহার করতে পছন্দ করেন তাহলে তা ভেজানোর দরকার নেই।
- ড্রাগন ফল চৌক চৌক করে কেটে নিন। চাইলে সাথে কিউইও কেটে নিতে পারেন এক সাথে। এবার একটা একটা করে শিকে ভরুন।
- শিকে ভরার পর গ্যাসের উপর আগুনে ধরুন দুই মিনিটের জন্য। আঁচ মিডিয়াম রাখবেন। পুড়ে না যায়। এভাবে এক একটা শিকের ফল আগুনে ঝলসে নিন। হয়ে গেলে উপর থেকে হালকা চিনির পাউডার বানিয়ে ছড়িয়ে দিন। গরম গরম খেতে পারেন। চাইলে ফ্রিজে রেখে থান্দা করেও এই কাবাব খাওয়া যায়।