ভারতে চা কতটা ব্যবহৃত হয় সে সম্পর্কে হয়তো বলার দরকার নেই। আপনাকে যদি প্রশ্ন করা হয় আপনি প্রতিদিন কত কাপ চা পান করেন, আপনার উত্তর কি হবে? দুই তিন কাপ। একজন ভারতীয় গড়ে দিনে অন্তত দুই কাপ চা পান করেন। এক্ষেত্রে চা পাতার ব্যবহার অনেকটাই হয়। যা ব্যবহারের পর আমরা অকেজো ভেবে ফেলে দিয়ে থাকি। তবে এই অকেজো জিনিসটি আসলে খুবই উপকারী এবং এর মাধ্যমে আপনার গৃহস্থালীর অনেক কাজ সহজেই করা যায়। যদি প্রচুর চা পান করেন এবং চা পাতা আবর্জনায় ফেলে দেন, তাহলে জেনে নিন এর ব্যবহার।
১. ব্যবহৃত চা পাতা থেকে দুর্গন্ধনাশক বা ডিওডোরাইজার বানানঃ
যদি আপনার ঘরের কোনো অংশে খুব দুর্গন্ধ হয় বা বর্ষাকালে স্যাঁতসেঁতে হওয়ার সমস্যা আপনাকে বেশি কষ্ট দেয়, তাহলে আপনি ব্যবহৃত চা পাতা ব্যবহার করতে পারেন। হয়তো জানেন না, তবে চা পাতা খুব ভালো ডিওডোরাইজার হিসেবে কাজ করতে পারে।
কিভাবে বানাবেনঃ
প্রথমে একটি প্লেটে কিচেন টিস্যু রেখে ভেজা চা পাতা শুকিয়ে নিন। ভালো করে শুকিয়ে গেলে মসলিন বা সুতির কাপড়ে বেঁধে নিন। এবার এই ব্যাগে কয়েক ফোঁটা এসেনশিয়াল অয়েল বা সুগন্ধি রাখুন। যেখানে গন্ধ আছে সেখানে ব্যাগটি ঝুলিয়ে রাখুন। কয়েক মিনিটের মধ্যে বাজে দুর্গন্ধ দূর হয়ে যাবে।
২. পরিষ্কারের জন্য চা পাতা ব্যবহার করুনঃ
আপনি পরিষ্কারের জন্য অবশিষ্ট চা পাতা ব্যবহার করতে পারেন কারণ এটি যে কোনও জিনিস থেকে তেল বা গ্রীস অপসারণের জন্য খুব ভালো কাজ করে।
কিভাবে বানাবেনঃ
ভেজা যা পাতা প্রথমে শুকিয়ে নিন। এর পরে, আপনি যা পরিষ্কার করতে চান যেমন চপিং বোর্ড, নোংরা বাসন, জানালা ইত্যাদি সেখানে রাখুন এবং একটি কাপড় বা স্ক্রাবার দিয়ে ঘষুন। পাত্র পরিষ্কারের জন্য এটি অনেক কাজে লাগতে পারে।
৩. বাগান করার জন্য চা পাতা ব্যবহার করুনঃ
আপনি হয়তো জানেন না, তবে চা পাতা খুব ভালো সার তৈরি করতে পারে। এটি শুকিয়ে বা তা ছাড়াই ব্যবহার করতে পারেন। শুধু মনে রাখবেন যে আপনি যদি খুব বেশি চিনি যুক্ত চা বানান সেক্ষেত্রে সেই চা পাতা ব্যবহার না করাই ভালো। এটি গাছের শিকড় নষ্ট করতে পারে।
ব্যবহৃত চা পাতা (চিনি ছাড়া) শুকিয়ে গাছের মাটির কাছে রাখুন, এটি আগাছা বাঁচাতে সহায়ক। যদি কম্পোস্ট তৈরি করতে আগ্রহী হন তবে এটি ব্যবহার করা যেতে পারে। সেদ্ধ চা পাতার জল ঠাণ্ডা করে গাছে দেওয়া যেতে পারে। এ কারণে তাদের বৃদ্ধি খুব ভালো হয়।