বাংলার হেঁশেলে কত যে পদ আছে তা গুনে শেষ করা সম্ভব নয়। কত রান্না আজ হারিয়ে গিয়েছে সময়ের সাথে সাথে। ঝিঙে কুমড়ো পাতুরি সেরকমই এক পদ। এত সুস্বাদু নিরামিষ খাবার আজকাল খুব কম খাওয়া হয়। এটা বানাতে বিশেষ উপকরণের ততটা প্রয়োজন হয় না। অপূর্ব স্বাদের এই পদ আজই বানিয়ে খান। ধোঁয়া ওঠা গরম ভাতের পাতে এই পাতুরি সবার মন জয় করে নেবে। একবার বানিয়ে খেলে বারবার বানিয়ে খেতে ইচ্ছে করবে।
উপকরণঃ
- খোসা ছাড়ানো ২ টি ঝিঙে
- কুমড়ো ২০০ গ্রাম
- হলুদ সরিষা দানা ৩ টেবিল চামচ
- কালো সরিষা দানা ১ টেবিল চামচ
- চাল এক চিমটে
- কাঁচা লঙ্কা চেরা ৫-৬টি
- নারকেল গ্রেড করা ৩/৪ কাপ
- সরিষার তেল ৫ টেবিল চামচ
- চিনি ১ চা চামচ
- নুন স্বাদ অনুযায়ী
- নারকেল ১ টেবিল চামচ গ্রেট করা, গার্নিশের জন্য
ঝিঙে কুমড়ো বানানোর পদ্ধতিঃ
ঝিঙে লম্বালম্বি ভাবে দুই ভাগে কেটে টুকরো করে নিন। তারপর ১৫ মিনিট নুন গোলা জলে ১৫ মিনিট ভিজিয়ে রাখুন। সময় হয়ে গেলে অতিরিক্ত জল ছেঁকে নিন এবং একপাশে রাখুন। কালো এবং হলুদ সরিষার দানা গরম জলে ২০ মিনিট ভিজিয়ে রাখুন। জল ঝরিয়ে নিন। সরিষার দানা, ২-৩টি কাঁচা লঙ্কা, এক চিমটি হলুদের গুঁড়ো, চাল এক চিমটে এবং ২-৩ টেবিল চামচ জল দিয়ে মসৃণ পেস্ট বানিয়ে নিন। একটি পাত্রে কুমড়ো খোসা ছাড়িয়ে পাতলা করে কেটে নিন। গ্রেট করা নারকেল, সরিষার পেস্ট, লবণ, চিনি এবং ৩ টেবিল চামচ সরিষার তেল যোগ করে ভালোভাবে মেশান।
একটি ফ্রাইং প্যান গরম করুন, তাতে ম্যারিনেট করা কুমড়ো আর ঝিঙে দিয়ে দিন। উচ্চ আঁচে ৪-৫ মিনিট ঘন ঘন নাড়তে নাড়তে এগুলো ভাজুন। এবার আঁচ কম করে সবজিগুলোকে সেদ্ধ হতে দিন। ঝিঙে কুমড়ো প্রচুর জল ছাড়ে তাই কোনও জল যোগ করার দরকার নেই। ঘন ঘন নাড়তে থাকুন যতক্ষণ না সবজি নরম হয়ে যায়। জল মজে গেলে গ্যাস অফ করে দিন। গ্রেড করা নারকেল এক চামচ ও সামান্য সরিষার তেল উপর থেকে ছড়িয়ে দিন। ঝিঙে কুমড়ো পাতুরি প্রস্তুত। গরম গরম ভাতের সাথে এই নিরামিষ পাতুরি পরিবেশন করুন।
Excellent
Thank you Pritikana 🙂