ফ্রিজে এমন অনেক উপাদান রাখা আছে, যা সবসময় ব্যবহার করা যায়। বিশেষ করে গরমকালে, লেবু তার মধ্যে একটি, যা আপনি বিভিন্ন উপায়ে ব্যবহার করেন। লেবু তাজা হলে সহজে রস বের করা যায়, কিন্তু শুকিয়ে গেলে রস বের করা যায় না। তবে আপনি চাইলে লেবুর রস বের করে সংরক্ষণ করতে পারেন। বিশেষ করে এই গরমে লেবুর জল প্রতিদিন কমবেশি সবাই খাচ্ছি। আপনি যখনই প্রয়োজন তখন সহজেই এটি ব্যবহার করতে পারেন।
সকালে জলে ভিটামিন সি সমৃদ্ধ লেবুর রস খেলে ওজন কমে। তাই প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় অন্তর্ভুক্ত জিনিসের মধ্যেও লেবু একটি প্রধান উপাদান। আপনি যদি মনে করেন লেবুর রস সংরক্ষণ করলে এর স্বাদ নষ্ট হয়, তাহলে আপনি ভুল ভাবছেন। আজ আমরা আপনাকে লেবুর রস সংরক্ষণের কিছু কৌশল জানাব, যার মাধ্যমে এটি স্বাদ নষ্ট না করে দীর্ঘদিন সংরক্ষণ করা যায়।
প্রথম উপায়ঃ
প্রথমে লেবুর রস বের করে একটি পাত্রে রাখুন। আপনি চাইলে জুসার ব্যবহার করে রস বের করতে পারেন। এবার একটি পাত্রে রসটি ছেঁকে নিন, যাতে এর বীজ সহজেই সরানো যায়। এবার একটি কাচের বয়ামে ভরে নিন, খেয়াল রাখবেন যেন বোতলে পুরোপুরি ভরে না যায়। বোতলের কিছু অংশ খালি রাখুন, যাতে বোতল পড়ে গেলে রস বের না হয়। এবার ফ্রিজে রেখে দিন। এই পদ্ধতি খুবই সহজ, তবে এই জুস এক বা দুই সপ্তাহ অনায়াসে ব্যবহার করা যায়।
দ্বিতীয় উপায়ঃ
লেবুর রস বের করার পর একটি পাত্রে ফিল্টার করুন, এবার একটি আইস কিউব ট্রেতে রাখুন এবং ফ্রিজে রাখুন। জমে গেলে একে একে বরফের টুকরোগুলো বের করে একটি জিপসহ প্লাস্টিকের ব্যাগে রাখুন। প্যাকেটটি বন্ধ করে রেফ্রিজারেটরে সংরক্ষণ করুন, যখনই প্রয়োজন হবে তখন বের করুন এবং একটি আইস কিউব ব্যবহার করুন। আপনি যদি সকালে লেবু জল পান করেন তবে একটি আইস কিউব বের করে গ্লাসে রেখে পান করুন। এ ছাড়া আপনি যদি বাড়িতে জুস তৈরি করে থাকেন তবে আপনি এটি তাতে দিয়ে পরিবেশন করতে পারেন।
তৃতীয় উপায়ঃ
যদি এক মাস বা দুই মাসের জন্য লেবুর রস সংরক্ষণ করতে চান তবে এই পদ্ধতিটি খুব কার্যকর। লেবুর রস দুই কাপ হলে তাতে ১/৪ চা চামচ লবণ মেশান। আপনি চাইলে লেবুর রসের পরিমাণ দেখে লবণের পরিমাণ বাড়াতে বা কমাতে পারেন। লেবুর রসে লবণ যোগ করা হচ্ছে কারণ এর স্বাদ তিক্ত নয়। এবার কাচের বোতলে ভরে ফ্রিজে সংরক্ষণ করুন। যখনই প্রয়োজন হবে তখন চামচের সাহায্যে লেবুর রস বের করে পরিবেশন করুন।
Very helpful idea
Thank you Sharmishtha 🙂