বাপ্পি লাহিড়ী, ভারতে ডিস্কো কিং গতকাল ১৬ই ফেব্রুয়ারি মুম্বাইয়ের ক্রিটিকেয়ার হাসপাতালে মারা যান। সঙ্গীত রচয়িতা এবং গায়ক ১৯৮০ সাল থেকে ১৯৯০-এর দশকে ডিস্কো সঙ্গীতকে জনপ্রিয় করেছিলেন গোটা ভারত জুড়ে। গতকাল মাত্র ৬৯ বছর বয়সে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। বাপ্পি লাহিড়ী ‘ডিস্কো ড্যান্সার’, ‘চলতে চলতে’, ‘ইয়ার বিনা চাইন কাহা রে’ ‘বাম্বাই সে আয়া মেরা দোস্ত’, এর মতো ব্লকবাস্টার গান আমাদেরকে উপহার দিয়েছেন।
মজার বিষয় হল, অনেকেই জানেন না যে কিংবদন্তি সঙ্গীতশিল্পী বাপ্পি লাহিড়ী ছিলেন একজন ভোজনরসিক। যিনি নিজে খেতে ও খাওয়াতে খুবই ভালোবাসতেন। বিশেষ করে বাঙালী খাবার ছিল তাঁর সবচেয়ে পছন্দের। তাঁর চলে যাওয়া সত্যি বেদনাদায়ক। চোখের জলে না, তাঁর গানে ও আর বাঙালী খাবারের প্রতি টানে তাঁকে আমরা স্মরণ করি। চলুন দেখে নেওয়া যাক বাপ্পি লাহিড়ীর পছন্দের খাবারের তালিকা।
বাপ্পি লাহিড়ীর প্রিয় কিছু খাবারঃ
- বয়স বাড়ার সাথে সাথে অনেক খাবার বাপ্পি লাহিড়ীর খাওয়া মানা ছিল। কিন্তু কখন কখন তিনি তাঁর পছন্দের মিষ্টি দই, রাবড়ি, সন্দেশ খেতে খুবই ভালোবাসতেন।
- শুধু নদীর মাছ তিনি খেতেন, সামুদ্রিক মাছ তিনি খেতে পছন্দ করতেন না। অনুষ্ঠানের জন্য কলকাতায় এলে, তিনি ইলিশ, রুই এবং ভেটকি মাছ নিয়ে বম্বে ফিরতেন। চিতল মাছ মশলা দিয়ে স্টাফ করে খেতে খুবই পছন্দ করতেন বাপ্পি লাহিড়ী। সরিষার তেলে দিয়ে মাছের পদ খেতে ভালোবাসতেন। যাকে বলে খাঁটি ফিস লাভার।
- যেদিন যেদিন নিরামিষ খাওয়ার খেতেন সেদিন আলু পোস্ত, পটল এবং বেগুনভাজা, আলু দম এবং পাপড় দিয়ে তৈরি তরকারির সাথে ভাত খেতেন। আলু পোস্ত তাঁর সবচেয়ে প্রিয় নিরামিষ খাবার ছিল। প্রায়শই তিনি ভাত বা রুটি দিয়ে এটি খেতেন।
- ছুটির দিনে সকালে তাঁর প্রিয় জলখাবার ছিল লুচি, বেগুনভাজা দিয়ে টমাটোর চাটনি।
- কলকাতার ফুচকা খেতে পছন্দ করতেন বাপ্পিদা। বিশেষ করে ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালের বাইরের ফুচকা তাঁর সবচেয়ে প্রিয় ছিল।
- বাড়ির খাবারের পাশাপাশি তিনি চাইনিজ খাবার খেতে খুব ভালোবাসতেন। বিদেশী খাবারের মধ্যে চাইনিজ ফুড তাঁর অল টাইম ফ্রেবারিট ছিল।
- রাত জেগে রেকডিং থাকলে তিনি চা আর বিস্কুট মাঝে মাঝেই খেতেন। রেকর্ডিং না থাকলে সকালে তিনি একটি ব্রাঞ্চ করতেন – এটি ব্রেকফাস্ট কাম লাঞ্চ – বিকেল দুটোয়। এতে ভাজা ডিম, টোস্ট, কফি এবং ফল (আপেল, চিকু এবং কলা) থাকতো।
- রেড মিট মানে খাসির মাংস ভালবাসলেও শরীরের কারনে তা অনেক বছর আগে থেকেই খাওয়া বন্ধ করে রেখেছিলেন।
শিশুর মত সহজ সরল মানুষ ছিলেন বাপ্পিদা। তাঁর পছন্দের খাওয়া দাওয়াও ছিল সিম্পল। সত্যি আপনাকে আমরা বড্ড মিস করবো ডিস্কো কিং বাপ্পিদা।