বিশ্বব্যাপী রন্ধনপ্রণালীর প্রতি আমাদের মুগ্ধতা এবং সমস্ত রান্নায় বিরিয়ানির জনপ্রিয়তা অনস্বীকার্য। সারা দেশে বিরিয়ানি নানাভাবে তৈরি হয়। হায়দ্রাবাদি বিরিয়ানি কলকাতার বিরিয়ানি থেকে উল্লেখযোগ্যভাবে আলাদা, তবে একটি সাধারণ কারণ যদি এই বিরিয়ানির বেশিরভাগই ভাতের টেক্সচার হয়। বিরিয়ানি চাল যদি ঠিকঠাক তৈরি করা হয়, তাহলে সেটা কোনো ভোজের থেকে কম নয়। কিন্তু অনেক সময় বিরিয়ানি চাল শুধু আঠালোই হয় না, খুব ভেজা বা নরম হয়ে যায়। ফলে অনেক সময় তলা ধরে যায়। তখন স্বাদের বিরিয়ানির টেস্ট নষ্ট হয়ে যায়। এখানে আমরা কিছু টিপস দিচ্ছি কিভাবে বিরিয়ানি ভাতকে আঠালো এবং চটচটে হওয়া রোধ করা যায়। পাশাপাশি যাতে তলা ধরে না যায় সেই বিষয়েও কিছু কথা জেনে রাখুন।
বিরিয়ানির তলা কেন ধরে যায়?
আপনার বিরিয়ানি ভাত যাতে ভিজে না যায় তা নিশ্চিত করার জন্য আপনাকে সঠিক ধরনের ভাত বেছে নিতে হবে। দীর্ঘ দানা বাসমতি চাল দৃশ্যত অনেক শেফের মতে সেরা। শস্যের আকার যত ছোট হবে, তাদের বৃদ্ধির সম্ভাবনা তত বেশি, কারণ এগুলি লম্বা দানার চেয়ে স্টার্চীয়। ফলে আঠালো হওয়ার সম্ভাবনা অনেক কম। আর আঠালো না হলে বিরিয়ানির তলা ধরে যাওয়ার কোন চান্সই নেই।
এই বিষয়গুলো খেয়াল রাখলে তলা ধরে যাবে না আরঃ
১. চাল ভিজিয়ে রাখাঃ
রান্নার আগে বিরিয়ানির চাল ভালো করে ধুয়ে অন্তত ৩০ মিনিট জলে ভিজিয়ে রাখা উচিত। এটি করলে ভাতকে নরম হওয়া থেকে অনেকটা বাঁচানো যায়। রান্নার সময় চালের জল শোষণ করার ক্ষমতা কমাতে সাহায্য করে। ফলে বিরিয়ানি আঠালো হয়ে যায় না বা একদম নরম হয় না। সেই জন্য তলা ধরে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে না।
২. ভাত বেশি রান্না না করাঃ
ভাত বেশি রান্না করবেন না, যখন আপনি চাল সিদ্ধ করছেন, তখন অতিরিক্ত সেদ্ধ করবেন না। প্রায় পাঁচ মিনিট ফুটানোর পর, চামচ ব্যবহার করে কিছু চাল বের করে নিন। সব চাল অর্ধেক সিদ্ধ বা কিছু কাঁচা রয়েছে কিনা তা পরীক্ষা করে দেখুন। এর ফলে সঠিক মাত্রায় চাল সিদ্ধ করার প্রবণতা থাকবে। ভাত গলে যাবে না।
৩. লেবুর রসের ব্যবহারঃ
কিছু লোক ভাত রান্না করার সময় লেবুর রসও ব্যবহার করে, কারণ এতে চাল একে অপরের সাথে লেগে যাওয়া প্রতিরোধ করার জন্য একটি সহজ হ্যাক। আপনি আপনার ‘হান্ডি’ বা পাত্রের নীচে তেজপাতা রাখতে পারেন। মনে রাখবেন যে নীচের অংশে প্রয়োগ করার জন্য খুব বেশি তেজপাতা ব্যবহার করবেন না, কারণ তাদের গন্ধ চূড়ান্ত হয়ে বিরিয়ানিতে আসতে পারে।
৪. পরিমাপ অনুযায়ী দইঃ
মেরিনেশনে ব্যবহৃত দইয়ের পরিমাণ খুব বেশি হওয়া উচিত নয়, যার কারণে বিরিয়ানির তলা ধরে যাওয়ার চান্স থাকে। সঠিক পরিমাপ বজায় রেখে দইয়ের ব্যবহার করবেন।
৫. বিরিয়ানির পাত্র বড় হওয়া উচিতঃ
এমনকি আপনার বেছে নেওয়া রান্নার পাত্রটি যথেষ্ট বড় হওয়া উচিত যাতে এটি রান্নার জন্য ভাতকে যথেষ্ট জায়গা দেয়। না হলে বিরিয়ানির তলা ধরে যাবে।