মুড়ি বাঙালীর কাছে একটা ইমোশান। সকালের জলখাবার থেকে বিকেলের আড্ডা। আচমকা খিদে পেলে এক কাপ চায়ের সাথে মুড়ি, আরও কত কি! মুড়ি এমন একটি খাবার যে প্রতিটি বাঙালী বাড়ির হেঁশেলে উঁকি দিলে চোখে পড়বে। মুড়িবিহীন জীবন অচল। রোজকার জীবনের সাথে যুগ যুগ ধরে জড়িয়ে রয়েছে এই মুড়ি।
যাইহোক আসল কথা হচ্ছে মুড়ি অনেক সময় নেতিয়ে যায় বা মিইয়ে যায়। তখন সেগুলো খেতে খুবই বাজে লাগে। না হলে জলে চিনি আর নেতানো মুড়ি মিশিয়ে খেতে হয়। আজ এমন কয়েকটা টিপস বলবো যা সহজে ব্যবহার করে নেতিয়ে যাওয়া মুড়ি আবার পুনরায় মুচমুচে করে নেওয়া যায়।
মুড়ি নেতিয়ে বা মিইয়ে গেলে যা করবেনঃ
মুড়ি কৌটো সঠিক ভাবে না রাখার দোষে হাওয়া ডুকে এটি মিইয়ে যায়। তাই সবার প্রথম এটা ভালো ভাবে কৌটোতে ভরে ঢাকনা আটকে রাখা জরুরি। যাইহোক মানুষ মাত্রই ভুল হয়। তাই কোন কারণে মুড়ি নেতিয়ে গেলে যা যা করবেন-
১. লবণ দিয়ে ঠিক করাঃ
বড় কড়াই নিয়ে তা গরম করুন। তারপর আঁচ কমিয়ে তাতে এক চিমটে লবণ দিন। এবার নেতিয়ে যাওয়া মুড়ি যোগ করে মিনিট পাঁচেক নাড়ুন। দেখবেন আসতে আসতে মিইয়ে যাওয়া মুড়ি মুচমুচে হয়ে উঠছে। তবে এক্ষেত্রে লবণের মাপ মুড়ির মাপের উপর নির্ভর করে হবে। যদি বড় এক বাটি মোট মুড়ি হয় তাহলে এক চিমটে লবণ। না হলে বেশি বা কম মুড়ির পরিমাপ বুঝে।
মুড়ি কড়াইয়ে ঢালার পর ক্রমাগত নাড়তে থাকবেন। না হলে নিচের দিকের মুড়ি পুড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থেকে যাবে। আর কম আঁচে এটি করবেন। মুড়ি গরম করে নেওয়ার পর এটা ঠাণ্ডা করে তারপর কৌটোতে ভরবেন। না হলে আবার মিইয়ে যাবে।
২. রোদে শুকিয়ে নেওয়াঃ
মুড়ি একটি থালায় ঢেলে তারপর নেট দেওয়া ঢাকনা দিয়ে কড়া রোদে একদিন টানা রাখলে নেতিয়ে যাওয়া মুড়ি মুচমুচে হয়ে যাবে। এটি করলে মাঝে মাঝে ছাদে গিয়ে মুড়ি থেকে ঢাকনা সরিয়ে নেড়েচেড়ে দিয়ে আবার কভার করে দেবেন। এতে করে সব মুড়ি সঠিক ভাবে মুচমুচে হবে।
৩. মুড়ি এভাবে রাখুন মিইয়ে যাবে নাঃ
একাধিক এয়ার টাইট কন্টেনার পাওয়া যায় আজকাল বাজারে৷ সেগুলিতে মুড়ি রাখতে পারেন৷ এছাড়া, একটি ছোটো কাপড়ে বেকিং সোডা সামান্য ভরে কাপড়ে মুখ আটকে মুড়ির বয়ামে রাখুন। মুড়ি মুচমুচে থাকবে মিইয়ে যাবেনা৷
আপনি চাইলে মুড়ির প্যাকেট বা বয়াম ফ্রিজে রাখতে পারেন৷ এতে মুড়ি অনেক দিন পর্যন্ত মুচমুচে থাকে, একদমই মিইয়ে যায় না৷
