উপোষ রাখলে খাবার সহজ এবং সহজে হজমযোগ্য হওয়া উচিত। তাই উপোষ রাখার সময় হালকা খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। খালি পেটে বেশি তৈলাক্ত ও মশলাদার খাবার খাওয়ার ভুল স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। উপোষ রাখার সময় কিছু জিনিস খাওয়া স্বাস্থ্যের ক্ষতি করতে পারে। আসুন জেনে নিই এমনই কিছু খাবারের কথা, যেগুলো উপোষ রাখলে তা ভাঙার পর বা আগে খাবেন না।
১. রিফাইন অয়েল বা পরিশোধিত তেলঃ
উপবাসের সময় দেশি ঘি, ঘরে তৈরি সাদা মাখন, বাদাম তেল বা বাদাম তেলে তৈরি খাবার খান। রিফাইন অয়েল বা পরিশোধিত তেল, সরিষার তেল, সূর্যমুখী তেল এবং সয়াবিন তেলে রান্না করা খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। কারণ এই সব তেলে রান্না করা খাবার সেই সময় স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।
২. সাধারণ লবণঃ
সাধারণ লবণের পরিবর্তে উপবাসের দিনে রক সল্ট বা লবণ খান। কারণ এই সময় শরীরে সোডিয়ামের প্রয়োজন হয়, যার ঘাটতি শিলা লবণ দিয়ে পূরণ করা যায়।সাধারণ লবণ দিয়ে তা সম্পূর্ণ হয় না।
৩. মসলাঃ
হলুদ, হিং, সরিষার তেল, মেথি, গরম মসলা ও ধনে গুঁড়ো এই দিন খাবারে রাখবেন না। খাবারের স্বাদ বাড়াতে চাইলে জিরা, জিরার গুঁড়ো, কালো গোলমরিচের গুঁড়ো, সবুজ এলাচ, লবঙ্গ, দারুচিনি, ক্যারাম বীজ, ডালিমের গুঁড়ো এবং জায়ফল খাবারে যোগ করতে পারেন। এসব মসলাতে ক্ষতি নেই কোন এই সময়।
৪. টমেটোঃ
ফাস্ট ফুড তৈরি করার সময় টমেটো এতে রাখবেন না। এই সময় টক জাতীয় খাবার খাওয়া ঠিক নয়। টমেটো না খাওয়াই ভালো। এতে ভালো পরিমানেই টক থাকে। তাই এটা এড়িয়ে যান।
৫. ঠান্ডা পানীয় বা কোল্ড ড্রিঙ্কসঃ
শরীরে জলের অভাব মেটাতে ঠান্ডা কোল্ড ড্রিঙ্কস এবং প্যাকেটজাত জুস পান করা থেকে বিরত থাকুন। যাইহোক, এগুলিতে কৃত্রিম মিষ্টি এবং প্রিজারভেটিভ থাকে, যা স্বাস্থ্যের ক্ষতি করে। তার বদলে মিছরির জল, ডাবের জল এসব খান।
৬. ভাত বা রাইস জাতীয় খাবারঃ
উপোষ বা উপবাসের সময় ভাত খাওয়া উচিত নয়। ভাত খেতে ভালো লাগলে সামা ভাত বা পোলাও বানিয়ে খেতে পারেন।
৭. পেঁয়াজ এবং রসুনঃ
উপবাসে পেঁয়াজ ও রসুন বিশেষভাবে নিষিদ্ধ বলে মনে করা হয়। তাই এই দিনে নিজে খাবেন না বা বাড়ির অন্য মানুষের সাধারণ খাবারে দেবেন না।
৮. অন্যান্য জিনিসঃ
ওটস, ভুট্টার দানা, ভুট্টার আটা, ডাল, লেবু, সুজি, ময়দা, দই, গম এবং চালের আটা দিয়ে তৈরি রুটি খাবেন না। এসব খাবার গ্যাস তৈরি করে দেয় এই সময়। তাই এগুলো এড়িয়ে যাওয়া ভালো।