আঁচার সংরক্ষণ করা খুবই সহজ, কারণ রোদে শুকিয়ে ও তেলে মজিয়ে আঁচার বানানো হয়। ফলে এক বছরের বেশি বিনা চিন্তায় তা খাওয়া যায়। তবে চাটনি দুদিনের বেশি রাখলেই নষ্ট হয়ে যায়। আমি জাস্ট কয়েকদিন আগে একটা লেখা পড়তে পড়তে জানলাম যে চাটনি চাইলে এক সপ্তাহ থেকে এক বছর পর্যন্ত সংরক্ষণ করা যায়। তাই আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করছি।
কি দিয়ে চাটনি বানানো হচ্ছে সেটার উপর নির্ভর করে সংরক্ষণ। আম, জলপাই, তেঁতুল, পেঁপে, ফলের চাটনি বা ঝাল লঙ্কার চাটনি কিংবা রসুনের চাটনি। এই প্রত্যেকটি চাটনি সংরক্ষণের সময়সীমা এক নয়। কোনটার লাইফ সেল কম কোনটার বা বেশি। সংরক্ষণের প্রক্রিয়াও আলাদা আলাদা।
চাটনি সংরক্ষণ করার উপায়ঃ
- চাটনি বহুদিন ধরে রেখে খেতে চাইলে তা কিন্তু করা যায় সেক্ষেত্রে তা বানানোর পর প্রথম ঠাণ্ডা করে নিন ভালো করে।
- ঠাণ্ডা হওয়ার পর পরিষ্কার কাঁচের এয়ার টাইট কন্টেনারে ভরে রাখুন। এতে ভরার আগে কন্টেনার ভালো করে গরম জল দিয়ে ধুয়ে মুছে নিতে হবে। কন্টেনারের ভেতরে যেন জল না থাকে।
- চাটনি কন্টেনারে ভরার পর ভালো করে ঢাকনা দিয়ে ফ্রিজে রাখুন। এভাবে রাখলে দুই সপ্তাহ পর্যন্ত চাটনি একদম ফ্রেশ থাকে।
- একমাস অবধি রাখতে চাইলে যিপ লক প্লাস্টিকের ব্যাগে ভরে ফ্রিজারে রাখুন।
- চাটনি ফ্রিজে রাখলে ফ্রিজ যেন ভালো ভাবে ঠাণ্ডা হয় সেটা লক্ষ্য রাখা বাঞ্ছনীয়।
কোন কোন চাটনি বেশি দিন ভালো থাকেঃ
- আম ও জলপাইের চাটনি উপরে বলে দেওয়া উপায়ে রাখলে এক থেকে দুই মাস ষ্টোর করে খাওয়া যায়।
- তেঁতুলের চাটনি বানিয়ে এয়ার টাইট কন্টেনারে বা কাঁচের বোতলে করে ফ্রিজে রেখে ছয় মাসের বেশি সময় ধরে খেতে পারেন।
- লঙ্কার চাটনি বা রসুনের চাটনি যিপ লক প্লাস্টিকের ব্যাগে ভরে নর্মাল ফ্রিজে একমাস অবধি টাটকা থাকে।
- সবুজ যেকোনো চাটনি যেমন- ধনেপাতার চাটনি, পুদিনার চাটনি বা কারিপাতার চাটনি যিপ লক প্লাস্টিকের ব্যাগে ভরে ফ্রিজারে রাখলে একমাস ধরে খাওয়া যায়।
- পেঁপের চাটনি এয়ার টাইট কন্টেনারে এভাবে রাখলে মাত্র তিনদিনের বেশি ভালো থাকে না।
- মিক্স ফ্রুট বা ফলের চাটনি যিপ লক প্লাস্টিকের ব্যাগে করে ফ্রিজে রেখে এক সপ্তাহ ধরে খেতে পারেন।
চাটনি সংরক্ষণ করে খেলে টেস্ট কি একই থাকে?
এখন সবার মনে প্রশ্ন এসেছে যে চাটনির টেস্ট বজায় থাকছে কিনা? আজ্ঞে হ্যাঁ তা বজায় থাকছে।
- আম, জলপাই, তেঁতুলের চাটনি একদম বানানোর পর খেতে যেমন লাগে তেমনটাই থাকে।
- পেঁপে বা মিক্স ফ্রুটের বানানো চাটনি সংরক্ষণ না করে খাওয়াই ভালো। স্বাদ কমে যায়। হালকা টকের পরিমান বেড়ে যায় এতে।
- বাকি সবুজ চাটনি যেমন- ধনেপাতার চাটনি, পুদিনার চাটনি বা কারিপাতার চাটনি সংরক্ষণ করে খেলে বেশি টেস্টি লাগে।
- লঙ্কার চাটনি বা রসুনের চাটনি হালকা শুকিয়ে যায় তবে স্বাদের তফাৎ হয় না।